বরিশাল অঞ্চলের সরকারী হাসপাতালে সাড়ে ১২ হাজার ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন ৩৬ জন
২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
ডেঙ্গু বরিশাল অঞ্চলের নতুন মৃত্যুদুতে পরিনত হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারী হাসপাতালেই ৩৬ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে চলতি মাসেই মারা গেছেন ২৫ জন। গত তিন মাসে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ এ বিভাগের সরকারী হাসপাতালগুলোতে সাড়ে ১২ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও এ পর্যন্ত সর্বমোট কত মানুষ ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়েছেন তার হিসেব স্বাস্থ্য বিভাগ সহ স্থানীয় সরকার প্রশাসন সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছেও নেই। কারণ ডায়রিয়ার মত ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশীরভাগই প্রাথমিক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন না। এমনকি ইতোমধ্যে সরকারী হাসপাতালগুলোতে ৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হলেও এর বাইরে মৃত্যুর কোন পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে।
তবে পরিস্থিতি যে মোটেই সুখকর নয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগনও। এমনকি গত ১৫ আগষ্ট থেকে শণিবার সকাল পর্যন্ত ১২ দিনে বরিশাল বিভাগে প্রায় ৩ হাজর ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হলেও এসময় মৃত্যু হয়েছে আরো ১৩ জনের। এ নিয়ে চলতি মাসেই সরকারী হাসপাতালগুলোতে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ডেঙ্গু রোগী।
শণিবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ৮১০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। যারমধ্যে পূববর্তি ২৪ ঘন্টায়ই ভর্তি হয়েছেন ২৩৭ জন। এসময়ে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সহ জেলার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে ৩৫৪ জন, পটুয়াখালীতে ১৮৭ জন, বরগুাতে ১০৫ জন, পিরোজপুরে ১শ জন, ভোলাতে ৫২ জন ও বরিশাল মহানগরীর পাশের ছোট জেলা ঝালকাঠীর বিভিন্ন হাসপাতাল সমুহে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, ইতোমধ্যে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে বরিশাল শের বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, পটুয়াখালীতে ২ হাজার ৬শ, পিরোজপুরে ২ হাজার ১৯, ভেলাতে প্রায় ১৪শ, বরগুনাতে ১৩শ এবং ঝালকাঠীতে প্রায় সাড়ে ৩শ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সরকারী হাসপাতাল সমুহে ভর্তি হয়েছেন।
বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে ডেঙ্গুর দাপট অব্যাহত থাকলেও স্থাণীয় সরকার প্রশাসনগুলোর তেমন কোন হেলদোল নেই। খোদ বরিশাল মহানগরীতে মশক নিধনে তেমন কোন তৎপড়তাও লক্ষণীয় নয়। মাত্র ১২টি ফগার মেশিন ও কিছু হ্যান্ড স্প্রেয়ার দিয়ে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ‘মশক নিধনের মহড়া’ হচ্ছে বলে মনে করছেন বেশীরভাগ নগরবাসী। নগরীর ড্রেন সহ ঝোপঝাড় গুলোও নিয়মিত পরিস্কার হচ্ছে না। একই পরিস্থিতি এ অঞ্চলের বেশীরভাগ পৌরএলাকা গুলোতেও।
স্বাস্থ্য বিভাগ বারবারই মশক নিধনে ক্রাশ প্রগ্রাম বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়ে আসছে বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ বিভিন্ন পৌরসাভাগুলোকেও। ২৬-৮-২০২৩.
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের