মজুদ শেষের কারণে ৩০ আগষ্ট থেকে দিনাজপুর বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে
৩০ আগস্ট ২০২৩, ০১:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০১:১৯ পিএম
দেশের একমাত্র কয়লা খনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভের চলমান কোল ফেসে’র (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ বুধবার (৩০ আগষ্ট) যে কোন সময় থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে । বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে উৎপাদিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চালু থাকা একটি ইউনিটের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের পর উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। এই ফেসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আজ বুধবার (৩০ আগষ্ট থেকে) খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সূত্র মতে বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিসিএমসিএল এর ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ আছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুৎ সচল রাখা সম্ভব হবে।
কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক জানান,খনির ১১১৩ ফেসের কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় এবং নতুন ফেস ১৪১২ চালু করার জন্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করার জন্য ৩০ আগষ্ট বুধবার থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে তিনি বলেন, ১৪১২ ফেইসে নতুন করে ওপেন আব কাট নির্মাণ, ১১১৩ ফেইস হতে সকল ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ ও যথাযথ মেইন্টেন্যান্স করে ১৪১২ ফেইসে স্থাপন কাজ করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। আশা করা যায় সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ নতুন ফেস থেকে আবারও উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে। ধারানা করা হচ্ছে ১২১৪ নতুন ফেস থেকে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা পাওয়া যাবে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, বর্তমানে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের ২৭৫ মেগা ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।
তিনি এক প্রশ্নের জাবাবে বলেন, তাপ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ওভার হোলিং এর কারনে দুই নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে আছে এবং কয়লা স্বল্পতার কারণে ২০১৯ সাল থেকে এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুর বিভাগে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে মাত্র ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট উৎপন্ন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু রাখতে গেলে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের