ব্রহ্মপুত্রের নদের ভাঙনে বসতভিটে বিলীন
৩০ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ফের ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে গত এক সপ্তাহে আরও বিশটি পরিবার বাস্তহারা হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকার আরও সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও হুমকিতে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক। গৃহহীন ওই পরিবার গুলোর দাবী এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনো ধরণের সহযোগীতা মেলেনি। শুধু তাই নয় এখন পর্যন্ত ওই এলাকার প্রায় এক একক ফসলি জমি ও সড়ক নদের মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। একদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি, অন্যদিকে ভাঙনের তীব্র গতি। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলের কৃষিজীবি ও দিনমজুররা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকের স্থান হয়েছে সরকারী আবাসণ ঘরে। তবে বেশির ভাগ উদ্বাস্তু পরিবারের এখনো মাথা গোঁজার স্থায়ী কোনো জায়গা হয়নি বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী এলাকায় গত এক সপ্তাহে আরও অন্তত বিশটি পরিবার ভিটেবাড়ি হারিয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের থাকার জায়গা হারিয়ে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ভাঙন কবলিত ওই পরিবারদের পাশে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের আশ্বাস মেলেনি। ওই এলাকায় পৌছায়নি সরকারি বা বেসরকারি সহযোগীতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী, বৈলমনদিয়ারখাতা, চড়ুয়াপাড়া, তেলিপাড়া ও গাজীরপাড়াসহ ইউনিয়ন জুড়েই ভয়াবহ ভাঙনের রুপ ধারন করেছে। বসতভিটা বিলিনের পর নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই ইউনিয়নের প্রায় ১০০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে নদের কিনারের পাশেই পাটের শোলা ও টিন দিয়ে ছাপড়া ঘর উঠিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। গৃহহীন এসব পরিবারের এখনো কোনো স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন সরকারের দেয়া আবাসন ঘরে, কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে। আবার কেউ জমি লিজ নিয়ে নতুন করে ঘর নির্মাণ করছেন। ভাঙনের শিকার পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ায়নি সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা, এমনকি জন প্রতিনিধিরাও।
সরকারী আবাসনে আশ্রয় নেয়া সদ্য ভাঙনের শিকার শাখাহাতী চরের নুরুল হক জানান, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আমার ভিটে মাটি নদের পেটে চলে গেছে। এখন আপাতত আবাসণের ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। কোথাও যাবার জায়গা নেই।
ওই এলাকার মল্লিক খাতুন বলেন, কয়েকদিনের মাথায় আমার বাড়িটি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। আমি সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। আমরা রিলিফ চাইনা নদী ভাঙ্গন বন্ধ চাই।
একই গ্রামের মহসিন মিয়া বলেন, আমার ঘরবাড়ি ও গাছপালা সব নদীতে ভেঙ্গে গেছে। নিজের জায়গা না থাকায় নদীর পাশেই ছাপড়া তোলে কোন মতো ঠাই করে আছি। সরকারের কাছে দাবী, নদীটা যেন বানদি দেয়।
ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙনকবলিত পরিবার গুলোকে পূনর্বাসন করা না হলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব বিপদে পড়বে এই এলাকার বাসিন্দারা। আর যাতে নদী না ভাঙ্গে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম জানান, গতকাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য। আর যারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তাদের পূর্নবাসনের জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা