গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা রেললাইন এলাকায় বনের জমিতে সাম্রাজ্য করেছেন অনেকেই। বনবিভাগের মূল্যবান এসব সম্পত্তি দখল করে একটি অসাধু চক্র মাস গেলেই ভাড়া গুনছেন লাখ লাখ টাকা। এসব অবৈধ আয়ের সিংহভাগই চলে যাচ্ছে রাঘব মোড়লদের পকেটে বলে জানিয়েছেন অবৈধ দখলদারেরা। কথায় আছে রক্ষক যেখানে ভক্ষক, সচেতনরাও সেথায় চুপ। গত শুক্রবার ওই এলাকায় উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে গত ৩০ আগষ্টের মধ্যে স্ব স্ব দোকান উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়, উঠিয়ে না নিলে আজ ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ দখলে থাকা দোকানগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হবে। এরকম হুমকিতে নড়েচড়ে বসে অবৈধ দখলদারেরা। উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের তেল মর্দনে ব্যস্ত হয়ে পরে অবৈধ দোকান দখলদাররা। গত বুধবার পর্যন্ত তাদের তেল মর্দন কোন কাজে হয় নাই। পরে অবৈধ দখলদারেরা তাদের স্থাপনা খুলতে শুরু করে। হঠাৎ অজ্ঞাত কারনে অভিযান স্থগিত করে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাড়াটিয়া দোকানদার বলেন, আমাদের সবার কাছ থেকে ৫ হাজার করে টাকা উত্তোলন করেছে। টাকা উঠিয়ে নাকি উপর মহলে দিতে হবে। কে এই উপর মহল! স্থানীয়দের জানার ইচ্ছে। যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় অবৈধ দখলদার দালাল কমিটির সাথে। তারা টাকার বিষয় টি স্বীকার করলেও উপর মহলের নাম বলতে নারাজ। শত চেষ্টা করেও জানা যায়নি উপর মহলের নাম। স্থানীয় সচেতন মহল দাবি করেন, এর আগে দেখেছি মাইকিং হলে অভিযান হতো। এবারই দেখলাম প্রশাসনও হুমকির নামে প্রহসন দেয়। এদিকে যারা দোকান ভেঙ্গে নিয়েছিল। তারা পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে দোকান ঘর। অবশেষে উপর মহলের নাম জানা যায়নি। এ বিষয়ে চন্দ্রা বিট কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, এই অভিযানের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। মাইকিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন থেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, পরবর্তীতে অভিযানের তারিখ জানানো হবে।