ঠিক যেন কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না অবস্থা! ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের বিশেষ সুযোগে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করেন কক্সবাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি মোহাম্মদ আলী (৪০)। কারাগারেও ছিলেন বেশ কিছুদিন। আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হন তিনি। এরপর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কথা কিন্তু না। পুরনো পেশা বদলাতে পারেননি মোহাম্মদ আলী। আবারো জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে।যেন মাদক কারবার তার নেশা!

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকা থেকে মোহাম্মদ আলীকে
গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। টেকনাফের মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা মৃত হাজী কালা মিয়ার পুত্র তিনি। তার বিরুদ্ধে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত মাদক, অস্ত্র, হত্যা চেষ্টাসহ কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে।

র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গত রাত্রে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, র‍্যাব ১৫ এর একটি বিশেষ দল দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলীকে নজরদারিতে রাখে। অবশেষে তাকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়।
তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে আটক দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সুচতুর মোহাম্মদ আলী নিজেকে রক্ষার জন্য ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে আবার মাদক ব্যবসায় জড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ ও ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ মডেল থানায় দুটি মাদক মামলা দায়ের হয়। এর পূর্বে ২০১৯ সালের জুন মাসে ইয়াবা ব্যবসায়ের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া টেকনাফের ৭৪ ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইন্টেলিজেন্স বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং ইন্টেলিজেন্স বিভাগের যে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়, তার মধ্যেও ছিল গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আলীর নাম।