শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ সড়ক পাকা হলেও নয়াবিল ইউনিয়নের একটি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতে পথচারীসহ কোনো যানবাহন চলতে পারে না এই সড়ক দিয়ে। চরম ভোগান্তির স্বীকার গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার বাঘবেড় খড়িয়া পাড়া মসজিদ থেকে মৌয়াকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে সিধুলী-রাতকুচি মসজিদ মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার পথচারী চলে এই সড়ক দিয়ে। কাদায় পরিপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে পথচারীসহ কোনো যানবাহন চলতে পারে না। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তার কারণে কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য নিয়ে পড়েন বিপাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সিধুলি, রাতকুচি, মৌয়াকুড়া গ্রামের মানুষেরা বেহাল এই রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। চরম ভোগান্তির স্বীকার পথচারীরা। গ্রামের প্রধান এই সড়কটি বছরের প্রায় ছয়মাস থাকে কাদায় পরিপূর্ণ। আর ছয়মাস রাস্তায় উড়ে ধূলোবালি। অবহেলিত এই রাস্তাটির কারণে গ্রামবাসীর দুর্ভোগের যেন নেই শেষ। এই রাস্তা দিয়ে আত্মীয় একবার বাড়িতে আসলে ভোগান্তির ম্বীকার হয়ে আর কোনোদিন আসেন না বলে জানান এলাকাবাসী। এমনকি রাস্তার কারণে এই গ্রামে বিয়ের সম্বন্ধ করতেও নারাজ হন অনেকেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ নজর দেননি এই রাস্তাটির দিকে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসমত আলী হাসু, মুনসুর আলী, মোন্নাস ফকির, আঃ বারেক, ইউসুফ আলী সহ অনেকেই জানান, ২৫ বছর ধরে অবহেলিত এই রাস্তা। নেংটি দিয়ে যেতে হয় রাস্তা দিয়ে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা পাকা করার দাবি জানান তারা বেগম মতিয়া চৌধুরীর কাছে।
৭নং ওয়ার্র্ডের ইউপি সদস্য নুর ইসলাম জানান, জনদুর্ভোগ চরমে থাকা সত্বেও সড়কটি দীর্ঘদিনেও পাকা হয়নি।
নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন- জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। রাস্তাটির কোড নম্বর ফেলেছি। খুব শীঘ্রই টেন্ডার হবে বলে। নকলা-নালিতাবাড়ীর এমপি, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন।