মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশে গুম বলে কিছু ছিল না। জিয়াই এদেশে গুম ও খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জিয়া ও মোশতাক চক্র খুনের রাজনীতি শুরু করেন। একটি পরিবারকে নয় বরং সেদিন তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খুন করেছিল। ১৯৭৭ সালে বিমান বাহিনীর প্রায় ১৩-১৪’শ কর্মকর্তাকে গুম ও খুন করা হয়। এক্ষেত্রে কোর্ট মার্শাল বা নিয়ম কানুন কিছুই মানা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের বিচাচের দাবী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মারা যাওয়ার পর কারো বিরুদ্ধে মামলা বা বিচার করা সম্ভব নয়। তাই একটি কমিশন গঠন করে ১৯৭৫ আত্বসীকৃত খুনি ছাড়া যারা নেপথ্যের নায়ক ১৯৭৭ সালের গুম ও বিচার বহিভূত হত্যাকান্ডের কুশলীদের বিচার করা হবে। যা ইতিমধ্যেই আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে মায়ের কান্না সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়া ও খালেদা জিয়ার গুম –খুন অগ্নি সন্ত্রাসে ভুলন্ঠিত মানবাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হুইপ ইকবালুর বলেন, খুনির সকল বিচারের দাবীর সাথে একমত প্রশন করে বলেন, ক্ষমতার লোভে অগ্নি সন্ত্রাস সৃষ্টির দায়ে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, সেংশন হলে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। তিনি অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত তথ্যচিত্রগুলি বিদেশীদের দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ পরবর্তী এবং ১৯৭৭ অক্টোবরে সংগঠিত গুম ও হত্যার শিকার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা বিচারের দাবী জানান।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন দীপ্ত টেলিভিশনের সিইইউ ফুয়াদ চৌধুরীসহ হত্যার শিকার বিভিন্ন শ্রেনীর ও পেশার নিহতদের স্ত্রী সন্তানেরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন, নাহিদ এজাহার খান এমপি। তার আগে ১৯৭৭ এর গুম ও হত্যা এবং ২০১৪ তে বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের উপর পৃথক পৃথক দুটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।