মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক কলেজ ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলার নবগ্রাম এলাকার শশিকর গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। আজ শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে এ বিয়ে বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে সন্দেহ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এলাকা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আলোকসজ্জা করে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামে ওই কলেজ ছাত্রীর নিজ বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তার পরিবার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ ওই বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ইউএনওর নির্দেশনায় শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে ডাসার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এদিকে এ বিয়ে বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে এলাকার এক যুবককে সন্দেহ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন, শিক্ষার্থীর পরিবার বাল্য বিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দেন এবং বিয়ে বন্ধ করেন।
কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ
স্টাফ রির্পোটার মাদারীপুর
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদারীপুরের কালকিনিতে মো. সোহরাব হোসেন রাড়ী-(৬৮) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রমজানপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
এলাকা, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের উত্তর রমজানপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের সাথে একই এলাকার রিয়াজুল রাড়ীদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সকালে রিয়াজুল রাড়ীর নেতৃত্বে জগরুল রাড়ী ও রিফাত রাড়ীসহ বেশ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সোহরাব হোসেন রাড়ীর ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে এ হামলার ঘটনায় আহত সোহরাবের ছেলে আসলাম হোসেন বাদী হয়ে রিয়াজুল রাড়ী, জগরুল রাড়ী ও রিফাত রাড়ীসহ ৫জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগকারী আসলাম হোসেন বলেন, আমার বাবাকে কুঁপিয়ে আহত করেছে রিয়াজুল রাড়ী, জগরুল রাড়ী ও রিফাত রাড়ীসহ বেশ কয়েকজনে। তাই আমি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
আহত সোহরাব হোসেন বলেন, আমার জমি দখলে নেয়ার জন্য আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে রিয়াজুল, রিফাত ও তাদের লোকজন। আমি তাদের বিচার চাই।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।