ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হলো ফেনী ইউনিভার্সিটির প্রথম সমবর্তন। এতে ইউনিভার্সিটির তিন অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত ২০ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ইউনিভার্সিটির খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

'গ্যাস্ট অব অনার' হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ সাহা মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের।

সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সনদ ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশ ও সমাজ আজ আপনাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাই দেশ ও সমাজের কাছে আপনারা ঋণী। অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও মনন দিয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণ করতে পারলে সে ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কখনো হতাশ হবেন না, মনে সাহস রাখবেন। মনে রাখবেন, সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে হলে আপনাদের অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।

গ্যাস্ট অব অনার অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, আজকের গ্র্যাজুয়েটরা আগামী দিন প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই ন্যায়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, প্রথম সমাবর্তনে মোট ৩৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। এদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৯৩ জন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ১৭০ জন, কলা, সমাজ বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। ১০ জনকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক এবং ১০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর পদক দেয়া হয়। এদের মধ্যে দু'জন বর্তমান ফেনী ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে কাজ করছেন। একজন হলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান বুশরাত জাহান বিপাশা এবং অন্যজন ইইই ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক তানভীর হোসেন। তারা দুই জনই প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।

সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক মনোজ্ঞ কনসার্টে অংশ নেয় ব্যান্ড দল শিরোনামহীন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনার করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ঋতু ঘোষ এবং আইন বিভাগের প্রভাষক সাখাওয়াত সাজ্জাত সেজান।