শরীয়তপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যেহেতু ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে গোসাইরহাট ও শরীয়তপুরের এই অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পায়রা বলেন, মংলা বলেন যেভাবে বলেন না কেন, সব কিছুর সাথে এই নৌপথ যুক্ত থাকবে বলে আমি মনে করি। এই এলাকার আগামী দিনের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মঙ্গলবার শরীয়তপুরের গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এ কথা বলেন তিনি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, সমগ্র পৃথিবীর সভ্যতা করেছে এই নদীর অববাহিকায়, প্রান্তিক পর্যায়ে এই এলাকাগুলো এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গাটা হচ্ছে নৌপথ। এই নৌপথ যাত্রীদের থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য যোগান দিবে বেশি। যখন নদীবন্দর হয়ে যাবে তখন বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল ঠিক করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছি, বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো ড্রেজার আমাদের সংরক্ষণে আছে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারী পর্যায়ে। নৌপথ সচল রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ এরমধ্যে এই নৌপথটি একটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় চায় নদীকেন্দ্রিক এই জেলার মানুষ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা যেন পায় সেই জায়গাটা আমরা তৈরি করতে চাই, তারও একটি অংশ এই নদী বন্দর। ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিএ এর আরো অনেক কার্যক্রম আমরা এই শরীয়তপুরে দেখতে পারব। ভবিষ্যতেও এই নদী বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করতে যা যা দরকার তা আমরা করবো।

এ সময় এই নৌ বন্দর নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনারা খুব সৌভাগ্যবান যে নাহিম রাজ্জাক এর মত একজন জন প্রতিনিধি পেয়েছেন। শরীয়তপুরের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে তিনি একটি নৌবন্দর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের থেকে আদায় করেছে এবং এটি বিআইডব্লিউটিএ এর ৪৫ তম নৌ বন্দর।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. নাহিম রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শেখ ইউসুফ হারুন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম এবং শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।