ঢাকা-২০,ধামরাই আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩২ এএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩২ এএম
ঢাকা শহরের বাইরে ঢাকা জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এ আসনের নির্বাচনী হিসেব-নিকেশ একটু ভিন্নতা দেখা দিয়েছে।
৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে কার কি শিক্ষাগত যোগ্যতা- কে কেমন- কে কর্মী বান্ধব এ নিয়েও নির্বাচনী মাঠে চলছে নানা আলাপ আলোচনা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী মোহাদ্দেছ হোসেন।
জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের- লাঙ্গল) মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি খান মোহাম্মদ ইসরাফিল খোকন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী রেবেকা সুলতানাসহ ছয়জন বাছাইপর্বে টিকে আছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা না থাকলেও নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের নিয়ে ইতোমধ্যে চায়ের দোকান, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন স্তরে স্তরে এমনকি পরিবারের মধ্যেও চলছে আলাপ আলোচনা ।
প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ, সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মালেক এইচএসসি ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন দাখিল, সাবেক এমপি খান মোহাম্মদ ইসরাফিল এইচএসসি, মিনহাজ উদ্দিন এইচএসসি এবং রেবেকা সুলতানা স্নাতকোত্তর ও এলএলবি পাস হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আসন থেকে বেনজীর আহমদ নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভোটে নির্বাচিত হন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বেনজীর আহমদ মনোনয়ন না পাওয়ায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হন এমএ মালেক। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন খান মোহাম্মদ ইসরাফিল খোকন দুইবার দলটির এমপি ছিলেন।
মোহাদ্দেছ হোসেন গত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনী এলাকায় তাঁদের প্রত্যেকের পরিচিত রয়েছে।
তবে অপর দুই প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন ও রেবেকা সুলতানার নির্বাচনী এলাকায় পরিচিতি নেই বললেই চলে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মালেক ও মোহাদ্দেছ হোসেন বিগত প্রায় তিন বছর ধরে বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে আসছিলেন।
এখন তাঁরা (মালেক ও মোহাদ্দেছ) দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের অনুসারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। এতে বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বেনজীর আহমদ।
এর মধ্যে বেনজীর আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের( বায়রা) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে (২০১৬-২০১৮ ও ২০১৮-২০২০ মেয়াদে) দুই বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের (তিনবার) নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধকালীন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন এবং ধামরাই থানা মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
এমএ মালেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
মোহাদ্দেছ হোসেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে থেকে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর দল তাকে যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে আবার তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও ধামরাই সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। কোন নির্বাচনেই তিনি পরাজিত হননি।
খান মোহাম্মদ ইসরাফিল জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন লাঙল প্রতীকের দুইবার এমপি ছিলেন। ওই সময় শিল্পপতি ও দানবীর হিসেবে এলাকায় বেশ আলোচনায় ছিলেন। সময় পরিবর্তনে এ সুনাম ধরে রাখতে পারেননি।
অপর দুই প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন ও রেবেকা সুলতানার এলাকায় পরিচিতি নেই বললেই চলে। তবে আলোচনায় আছেন।
সব মিলিয়ে যোগ্যতার বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত কে এগিয়ে যাবেন সে অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটাররা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, সমালোচনার ঝড়
বড় জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল দ. আফ্রিকা
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল