টানা দুইদিনের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতেপর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম
কক্সবাজারের পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান অবরোধে । এই সময়ে ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনেছে কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা। পর্যটনের মৌসুম শুরু হলেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আশানুরূপ পর্যটক ছিল না। তবে এবারের বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকের আগমনে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জেলার পর্যটন খাতে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হবে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। বিকেলের মধ্যেই পুরো সৈকত পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠবে। সেই সঙ্গে স্বস্তির সুবাতাস বইছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্রমণপিপাসুরা সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সমুদ্রস্নান ও আনন্দ মেতেছেন। বালিয়াড়িতে বসে শিশুর সঙ্গে খেলাতে মেতেছেন বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। আবার অনেকেই প্রিয় মুহুর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যেও নেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতা ও পর্যটন ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের মৌসুমের শুরুতে হরতাল ও অবরোধের প্রভাবে পর্যটক শূন্য ছিল। কিন্তু বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মিনহাজ বলেন, ট্রেনে করে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু রুম খালি না থাকায় কিছুটা ভোগান্তি পড়তে হয়েছে। পরে অতিরিক্ত দাম দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। তবে, সমুদ্রে গোসল করতে পেরে সব কষ্ট মুছে গেছে।
কুষ্টিয়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটক মরজিনা আকতার বলেন, ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা শেষ। বছরও শেষের দিকে। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।শাহেদ নামক আরেক পর্যটক বলেন, কক্সবাজারে প্রথমবার আসলাম। ভালো লাগছে। তবে এখানে প্রশাসনের একটু আন্তরিকতার ও দায়িত্বের অভাব আছে। টমটম চালকরা যে হারে ভাড়া নিচ্ছে সে ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। তাই এটা একটু মনিটরিং করা দরকার।
কক্সবাজারে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, কটেজ ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব হোটেলের অধিকাংশই আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। এ ছাড়া ১৫ তারিখ থেকে ১৭ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিনগামী জাহাজের কোনো টিকেট নাই। হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার এবিষয়ে বলেন, অক্টোবর থেকে পর্যটনের ভরা মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভরা মৌসুমেও পর্যটন শূন্য ছিল কক্সবাজার। তবে আশার কথা হচ্ছে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গেল ১৪ ডিসেম্বর থেকে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল ও কটেজের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আপাতত বুকিং রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, বুধবার থেকে কক্সবাজারে লাখের কাছাকাছি পর্যটক রয়েছে। বিজয় দিবসে এ সংখ্যা বেড়ে দেড় লাখ হবে বলে আমরা আশাবাদী। সভাপতি বলেন, অবরোধের কারণে শুধু হোটেল সেক্টরে প্রতিদিন কর্মচারী বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জেনারেটরসহ অন্যান্য খাতে একটি হোটেলে কমপক্ষে গড়ে ৩০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে। সেই হিসেবে থাকার আবাসন খাতেই দিনের খরচ বাবদ লোকসান হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটককের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। পর্যটক বাড়তে থাকায় নিরাপত্তার দিক দিয়ে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটক হয়রানি হলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী