দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ ও দলীয় প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপির বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। সভায় প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিধি অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দিন ও সময়সূচি ছাড়া কোনো ধরণের নির্বাচনি প্রচার নিষিদ্ধ। যদিও এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি বলে জানিয়েছেন ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। সভায় উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- ওই সভায় এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংসদ সদস্য নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। আগামীতে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল নৌকা মার্কা পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে কথা হয়েছে। সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়। শিবগঞ্জের বিভিন্ন হোটেল থেকে ১ হাজার চিকেন বিরিয়ানি নেয়া হয় ওই সভায়। ওই সভার একটি ভিডিও সংরক্ষণ রয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারে লিখা- ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা’। আয়োজনে ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠন। সংসদ সদস্য মতবিনিময় সভায় আবারও তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। তিনি আবার নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য বিপুল সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মতিন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী বেগম, শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কারিবুল হক রাজিন, পাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল মাস্টার, উপজেলা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলুর রশিদ সনু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইছাহাক ও মশিউর রহমান বাচ্চুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি। তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এটা নির্বাচনী প্রচারণার বিষয় ছিলনা। এ বিষয়ে জানতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, তফসিল হওয়ার পর কমিশন ঘোষিত প্রচার-প্রচারণার জন্য নির্ধারিত দিন ও সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন কোনো প্রার্থী। এছাড়া কোনো প্রার্থী অগ্রিম ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন না। এটাই কমিশনের বিধিবদ্ধ নিয়ম। কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে কমিশনের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া কেউ চাইলে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ দিতে পারেন বলেও জানান এই রিটার্নিং কর্মকর্তা।