মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়াকে আটক করেছে র্যাব-১৪
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের পর অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে গর্ভপাত সহ হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়াকে (৩২) আটক করেছে র্যাব-১৪।
র্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব-১৪ এর একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার সাতাশি গ্রামের তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আসামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আতকাপাড়া গ্রামের মোঃ আলাল উদ্দিন তার মেয়ে সুফিয়া খাতুন (২৭), তার আট ও ছয় বছরের ০২ সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার চন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল হক মেম্বারের কলোনীতে থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত। একই জেলার দূর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের আসামী মোঃ সোহেল মিয়া (৩২) একই কলোনীতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তারা একই জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া তাদের সাথে শখ্যতা গড়ার মাধ্যমে মোঃ আলাল উদ্দিনের বাসায় প্রায়শই আসা যাওয়া করত। আলাল উদ্দিনের বাসায় আসা যাওয়ার সুযোগে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া আলাল উদ্দিনের বিবাহিত মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী সুফিয়া খাতুন (২৭) এর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রাজমিস্ত্রির কাজ না থাকায় আলাল উদ্দিন তার মেয়ে এবং মেয়ের দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে আসলে, আসামী মোঃ সোহেল মিয়া প্রায়শই আলাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসত। এক পর্যায়ে আসামী মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাবেক স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটায় এবং গত ২০২৩ সালের ২১ মার্চ তারিখ সহ পরবর্তী বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে তার নিজ বসত ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম এক পর্যায়ে অন্তঃসত্বা হলে সুফিয়া খাতুন আসামী সোহেল মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ঐ সময় আসামী মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাপ দেয়। কিন্তু ভিকটিম সুফিয়া খাতুন তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ আগষ্ট মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিমের বসত ঘরে গিয়ে পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ পর তার মৃত্যু হয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ আলাল উদ্দিন বাদী এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স