ঢাকা   সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ আশ্বিন ১৪৩১

বিচার বিভাগের ইতিহাসে স্মরণীয় ঘটনা, ১১ প্রধান বিচারপতি এক ফ্রেমে

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

সত্যিই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে ঘটল বিরল ঘটনা। হয়ে গেল বর্তমান ও সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মিলনমেলা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ১৯ নম্বর হেয়ার রোডের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সমবেত হয়েছিলেন দেশের সাবেক ১০ জন প্রধান বিচারপতি। মূলত এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তার একান্ত উদ্যোগের কারণেই ১১ জন প্রধান বিচারপতি এক ফ্রেমে ক্যামেরাবন্দি হলেন। আর এ মাধ্যমে বিচার বিভাগের ইতিহাসে দুর্লভ একটি মুহূর্তের আত্মপ্রকাশ ঘটল।বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা এই ১১ জন প্রধান বিচারপতি হলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজাল, সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. তফাজ্জাল ইসলাম, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিকেল ৪টা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতিদের স্বাগত জানানোর জন্য পায়চারি করছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর একে একে নিজেদের স্মৃতি বিজড়িত হেয়ার রোডের বাসভবনে প্রবেশ করেন সাবেক ১০ জন প্রধান বিচারপতি। এর মাধ্যমে যেন আলোকিত হয়ে ওঠে হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন। এরপর প্রথমেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ইতিহাস সম্বলিত বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ফলক উন্মোচন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতিরা। তারপর ফটোসেশনের জন্য সারিবদ্ধভাবে আসন গ্রহণ করেন তারা।

বর্তমান প্রধান বিচারপতি যখন তার অগ্রজদের হাতে ধরে একে একে চেয়ারে বসিয়ে দিচ্ছিলেন সেই দৃশ্য কখনোই ভোলার নয়। ফটোসেশন শেষে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আঙিনায় উন্নত জাতের ১১টি আম গাছের চারা রোপণ করেন ১১ জন প্রধান বিচারপতি। প্রথমে গোপাল ভোগ জাতের আমের চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্রম অনুযায়ী গাছ রোপণ করেন সাবেক ১০ জন প্রধান বিচারপতি। এর মধ্যে মসজিদ থেকে ভেসে আসে মাগরিবের আজানের সুর। এভাবে একটি সুন্দর আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান ও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন।

এ বিষয়ে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা দেশের ১১ জন প্রধান বিচারপতি আজ সমবেত হয়েছিলেন। আমার জানামতে এর আগে কখনো ১১ জন প্রধান বিচারপতি একত্রিত হননি। বর্তমান প্রধান বিচারপতির উদ্যোগের কারণেই এ অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার

বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার

কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?

কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?

এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী

এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে

রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি

রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি

নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা

নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা

ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে

ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে

দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী

দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী

ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়

ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়

বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি

বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি

পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক

শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক

অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল

অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল

‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’

‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’

হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী

হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী

মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান

মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান

সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান

সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান

ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স

ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স