মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় অবশেষে ভূক্তভোগী ভাইকে জামিন দিয়েছে আদালত । মাদারীপুরের অবকাশকালীন আদালতের বিচারক ও জেলা দায়রা মো: ইসমাইল হোসেন আজ ভূক্তভোগী যুবককে পুলিশ প্রতিবেদন পযৃন্ত জামিন মঞ্জুর করে। মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ শিরোনামে গত ৭ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে।অবশেষে ১৫ দিন হাজতবাসের পর আজ ভুক্তভোগী জামিন পেলেন ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতের আদেশে ন্যায়বিচার প্রাপ্তীর স্বস্তি প্রকাশ করে।

মামলার অভিযোগ ও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামের আজিজুল পেদার ছেলে প্রান্ত পেদার (২৫) সাথে প্রতিবেশি এক কিশোরীর (১৭) প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীকে কিশোরীকে ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে কিশোরী অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। তখন ওই কিশোরী বিয়ের জন্য প্রান্তকে চাপ দিয়ে প্রান্ত ও তার পরিবারের লোকজন ৩০ নভেম্বর কিশোরীকে মারধর করে। পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত শনিবার ধর্ষণ ও মারধরের বিষয় মাদারীপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দেয়ার পর প্রান্তর পরিবারের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এই অভিযোগের বিষয় তদন্ত করার কথা বলে মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর সদর থানার এস আই কামাল হোসেন বাদী ও কিশোরীকে থানায় ডেকে আনেন। পরে এস আই কামাল হোসেন বাদীকে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার মিমাংসায় রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রান্তে পরিবার। মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাগরসহ ৪জন ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি তল্লাসী করার কথা বলে ঘরে ঢুকে। পরে ধর্ষিতা কিশোরী ও তার ভাইকে তল্লাসী করে। এসময় ধর্ষিতা কিশোরীর ভাইয়ের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে এমন অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় এবং স্থানীয় লোকেররা ও কিশোরীর পরিবার প্রতিকার চেয়ে গত বুধবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

পত্রিকার সংবাদ আদালতের নজরে এনে মামলার বিষয় বিস্তারিত শূনানীতে অংশ নিয়ে সিনিয়র আইনজীবি সাইফুর রহমান ও সাইদুর রহমান সাগর বলেন একটি জঘন্যতম অপরাধ ঢাকতে গিয়ে আরেকটি অপরাধ করে আসামীকে জড়িত করা হয়েছে। আদালতে বিচারক নথী র্পালোচানা ও পত্রিকার প্রকাশিতসংবাদ দেখে সার্র্বিক বিবেচনায় আসামীকে গ্রেফতারের ১৫ দিন পর এ জামিন দেন।

এদিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা মামলা হয়েছে এবং ইয়াবার ঘটনাটি তদন্তে জন্য পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। কার কাছ থেকে কিভাবে পুলিশ তথ্যে পেয়ে ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিষয়টি তদন্ত হলেই রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে। যদি কোন পুলিশের অপেশাদার আচরণ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।