দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সারাদেশে প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারণা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম থেকে ১২টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। তবে ঘটনাটি গত রোববার রাতে ঘটলেও মঙ্গলবার মামলা হওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে চুরি হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসক।

গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, আসলে ফরিদপুর জেলায় ছুরি ঘটনা বেশি ঘটতেছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম থেকে ১২টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর জন্য তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফরিদপুর জজ কোর্ট, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেলা জজের বাসভবনের উত্তরে লাল রঙের একটি দোতলা ভবনে রেকর্ড রুমের অবস্থান। এই ভবনের উত্তরে সড়কের পাশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। ভবনটির সামনে সীমানা প্রাচীর এবং প্রাচীরের উপরে গ্রিল দিয়ে ঘেরা। সামনে একটি ফটক রয়েছে। লাল ভবনে ঢুকতে একটি কাঠের দরজা এবং এর পর একটি কলাপসিবল গেট পার হতে হয়। সে কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত। চুরির ঘটনায় ফরিদপুরের রেকর্ড কিপার মো. আবু বকর সিদ্দীক (৫২) বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রথমে দরজার কবজা ভেঙে চোরেরা ভবনের ভেতরে ঢোকে। পরে তারা কক্ষের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে ল্যাপটপগুলো চুরি করে। এজাহারে আরও বলা হয়, অফিস টেবিল হতে পাঁচটি ল্যাপটপ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আলমারি হতে চারটি ল্যাপটপ এবং অফিস সহকারীর আলমারি হতে তিনটি ল্যাপটপসহ সর্বমোট ১২টি ল্যাপটপ খোয়া গেছে। রেকর্ডরুম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. লিটন আলী বলেন, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ও ভবনের ক্রুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, রেকর্ড রুমে চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।