পটুয়াখালীর
সাগরকন্যা খ্যাত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পরে পর্যটকে চাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছে।
শনিবার ছুটির দিন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চোখে পড়ার মতো পর্যটক দেখা গেছে। জানাযায়, ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির ডাকা টানা অবরোধ কর্মসূচিতে পর্যটন বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। তবে হরতাল ও অবরোধ না থাকায় সৈকতের তীরে ছুটে এসেছেন বহু পর্যটক।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। আগত পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠছেন। আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ডেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রংপুর থেকে ঘুরতে আসা মাহাবুব আলম বাবু দম্পতি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। অনেক দিন আগে থেকে আসার ইচ্ছে কিন্তু অবরোধের কারণে সাহস হচ্ছিল না। সাপ্তাহিক ছুটি পেয়ে বেড়াতে এসেছি। মৌসুমের শুরুতে সূর্যাস্তটা উপভোগ করলাম। দীর্ঘদিন পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয় পর্যটন পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছেন।
হোটেল কানসা ইন ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন,আমাদের হোটেলে অনেক রুম বুকিং রয়েছে। একমাসের বেশি সময়ে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এখন সবাই চেষ্টা করছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন,ছুটিরদিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের ভীড়। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত এখন কুয়াকাটা সৈকত।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
রাহাত গাওহারী জানান, ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে