ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি হয়ে আলোচনায় শহিদুল
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০০ পিএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
শেরপুর-৩ শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী আসনের নবনির্বাচিত এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা প্রবল আত্মবিশ্বাস, অদম্য সাহসী, মিষ্টভাষী একজন মানুষ। শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই তার পথচলা শুরু। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ধাপে ধাপে উঠে এসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পদে পদে বাধা অতিক্রম করে আজকের এ সফলতা অর্জন করেছেন।
এবার শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের অন্য পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে সর্বশেষ শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত শহিদুল ইসলাম বিগত ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলার খড়য়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দল থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন চান। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। এলাকায় পোস্টারিং সভা-সমাবেশ ও গেট নির্মাণ করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার পর শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এডিএম শহিদুল ইসলাম শেরপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। নাইম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ২২৮ ভোট।
এমপি নির্বাচিত হয়ে এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাতারের একজন মানুষ। তৃণমূল মানুষের চাওয়াটাকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবো।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন