কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের ছোড়া ‘গুলিতে’ দুই ভাই আহত
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতেরা হলেন—একই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)। তাঁরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা পেশায় জেলে।
তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, সামাজিক দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘ছররা গুলিবিদ্ধ দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুল খালেকের সঙ্গে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য খালেক ও তাঁর দুই ছেলে রিপন এবং লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তাঁরা নিয়মিত জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসব নিয়ে ১০-১৫ বছর ধরে ওই গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। আজ সকালেও দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেছে।
তাঁর দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। অতীতের ঘটনায় কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের ছেলে রিপন আলী মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেছিল। সে জন্য তাঁরাও প্রতিপক্ষকে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তাঁরা। অতীতেও কয়েকবার সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বশত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন