হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দৌলতখানের জনজীবন। হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এতে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। আয়-রোজগার কমে গেছে রিক্সাচালক, ভ্যানচালক ও দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে নিম্নআয়ের মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে দুপুরের পরেও সূর্যের দেখা মিলছে না। রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে। জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গ্রামগঞ্জের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছ। এদিকে তীব্র শীতে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ-বালাই বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা । হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ।
রিক্সাচালক নুরে আলম জানান, ঠান্ডার মধ্যে পেটের দায়ে রিক্সা চালাই। শীতের কারণে মানুষ রাস্তাঘাটে বের হচ্ছে না। তাই আমাদের আয় কমে গেছে। আমরা শীতেও কষ্ট পাচ্ছি ভাতেও কষ্ট পাচ্ছি।
দিনমজুর রহিজল জানান, শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। কিন্তু কোন কাজ পাইনি।
চা বিক্রেতা ওলিউল্লা বলেন, শীতের কারণে দোকানে আগের মতো ক্রেতা আসে না। দোকানে বেচাকেনা কমে গেছে।
ষাটোর্ধ রতন মিয়া বলেন,কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়ছে, বেঁচে থাকাই দায়।
সবজি বিক্রেতা ইউছুফ আলী বলেন, ভোরে শীতের মধ্যে ক্ষেত থেকে সবজি তুলে হাটে বিক্রি করতে আসছি।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আমিন সরকার বলেন , হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ একটু বেশি। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি । এ সময় শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় পড়তে হবে।
দৌলতখান উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ বশির আহম্মদ বলেন, শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । এজন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি।
দৌলতখান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।