সাভারে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর আটকে রেখে ধর্ষন, ছয় মাসেও বিচায় পায়নি পরিবার
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
ঢাকার সাভারে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর আটকে রেখে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও গত ছয় মাসেও ন্যায় বিচার পায়নি ওই কিশোরী শিক্ষার্থীর পরিবার। উল্টো আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য পরিবারটিকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী ১৪বছর বয়সী স্কুলছাত্রী জানায়, সে অত্যান্ত অসহায় পরিবারের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে গত বছরের ১০ জুলাই বিকালে প্রাইভেট পরতে শিক্ষকের কাছে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে ইমান্দিপুর চৌরাস্তার মাঝামাঝি পৌঁছালে প্রভাবশালী এনায়েত হোসেন নবীর ছেলে সালমান আহমেদ শাওন (২২) ও তার সহযোগীরা মিলে আমাকে ঘিরে ধরে মুখ চেপে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে রাতে সাভার বাসস্ট্যান্ডের চাঁদ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। টানা তিনদিন হোটেল কক্ষে আটকে তাকে ধর্ষন করে সালমান।
একপর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে মজিদপুর এলাকার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর ফেলে চলে যাওয়ার সময় মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দরিদ্র পিতা আলী হোসেন সরকার বলেন, ঘটনার দিন মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরদিন সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী (নং-৮৮২) করি। কিন্তু পুলিশ ডায়রীর কোন তদন্তই করেনি। মেয়েকে যখন অসুস্থ অবস্থায় পাই এবং আটকে রেখে ধর্ষন করেছে মেয়ের মুখ থেকে শুনে সাভার মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে মিমাংসা করার প্রস্তাব দেয়।
পরে কোন উপায় না পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৯(০১)/৩০ ধারায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল আদালতে একটি পিটিশন মামলা (নং-২৩৩/২০২৩) দায়ের করি। পরে আদালতের নির্দেশে সাভার মডেল থানা পুলিশ মামলাটি নথিভূক্ত করেন।
মামলায় পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার এনায়েত হোসেন নবীর ছেলে ধর্ষক সালমান আহমেদ শাওন (২২) তার সহযোগী জীবন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী আলী হোসেন সরকার বলেন, ধর্ষক সালমান জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা গরীর বলে গত ছয় মাসেও আমরা কোন ন্যায় বিচার পাইনি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রাজীব সিকদার বলেন, আসামী জামিনে রয়েছে। মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভিকটিমের মেডিক্যাল রিপোর্ট ও এক্সরে রিপোর্ট দরকার। মেডিক্যাল করা হলেও টাকার জন্য রিপোর্ট আনা হয়নি। বাদীকেও একাধিকবার বলা হয়েছে, আসেনি। এক্সরে করার জন্য বলেছি যায়নি। তাহলে আমি কি করবো। আমাকে দোষ দিয়েতো লাভ নাই। তাছাড়া আসামীকে তো আমি চিনি না, তাকে দেখিও নাই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান