চালের মুল্য ৯ মাস স্থিতিশীল থাকার পর যখন নির্বাচন (দ¦াদশ জাতীয় সংসদ ) হল ঠিক তখনই সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহন, মন্ত্রীসভা গঠনের সময়টাতেই অযৌক্তিকভাবে বেড়ে গেল চালের দাম। লোভ সামলাতে পারলোনা ব্যবসায়ীরা ’ বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চšদ্র মজুমদার। তিনি খাদ্য ব্যবসায়ীদের দিকে ইংগীতে দুঃখ করে বলেন, আমরা খুব লোভি হয়ে গেছি। যেন আমরা কেউ কবরে যাবনা , কেউ চিতায় চড়বোনা ।’
মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনার নির্দেশ ,ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ ’ এই নীতিতে আমাদের চলতে হবে। মন্ত্রী সাধন চšদ্র মজুমদার সোমবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ‘চালের বাজারদর নিয়ন্ত্রনে করনীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভায় তিনি আরো বলেন, চালের দাম বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারদের দোষে, পাইকাররা মিল মালিকদের দায়ী করে আর মিল মালিকরা দোষ দেয় কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের। কিন্তু আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই সভায় উপস্থিত মিল মালিক, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী , আড়তদার, মিল মালিক এবং কর্পোরেট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কথা শোনার পর বলেন, একে অপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই। ধানচালের দাম নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকতে হবে। কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা দু’চার জন মিলে চালের দাম বাড়াবে আর অন্যরাও সেটা অনুসরণ করে মজা লুটবে এসব আর চলতে দেয়া হবেনা।
চালের দামানোর কিছু কৌশল তুলে ধরে তিনি বলেন , এরা শেয়ালের মতো একজন চালের দাম বাড়ালে অন্যরাও শেয়ালের মত হুক্কাহুয়া রবে চালের দাম বাড়ায় । যারা এটা করে তারা আসলে শেয়ালের চেয়ে ধুর্ত !
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই সভায় বক্তব্য রাখেন, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস,জেলা পুলিশ সুপার সুদিপ কুমার চক্রবর্র্ত্বি সহ জেলা খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা , কৃষি কর্মকর্তা , মিল মালিক , খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ী ও মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ ।