অছাত্রদের হল থেকে বের করাসহ ৫ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে সমাবেশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অছাত্রদের হল থেকে বের করাসহ ৫ দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- জাবিতে সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের পদত্যাগ, যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতি দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন দানবের বিরুদ্ধে। ধর্ষক মোস্তাফিজ শুধু একজন ব্যক্তি নয়, তার পক্ষে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে একটা মহল। এ মহলের সাথে যুক্ত আছে ক্ষমতা, প্রশাসন ও নির্দিষ্ট গোষ্ঠী৷ আমাদের এ লড়াইয়ে জিততে হবে। ন্যায়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দানবের বিরুদ্ধে জিততে হবে। প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবো।'
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের প্রফেসর সোহেল আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয়েছে তারা ধর্ষক, নিপীড়ক, মাদকাসক্ত হয়ে ভর্তি হয়নি। কিন্তু তাহলে তারা কেন ধর্ষক, নিপীড়ক হয়েছে? এ দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না। সম্প্রতি যে সংকটগুলো হয়েছে এতে যদি প্রশাসন সক্রিয় থাকতো, বিচারের আওতায় আনতো তাহলে ধর্ষণের মতো এতো জঘন্য ঘটনা ঘটতো না৷ এ বিচারহীনতা শিক্ষার্থীদের অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট সিনেটর ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে উদাসীন তা নতুন করে আবারো প্রমাণিত হলো মাদক ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায়৷ আমাদের এ আন্দোলনের মাধ্যমে যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষক, যৌন নিপীড়নের ঠাঁই নেই বলে প্রমাণ করে দিতে পারি, তাহলে আমরা দেশে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো৷ বিশ্ববিদ্যালয় মাদকে সয়লাব অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিকতর উন্নয়নে টাকা পয়সা ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে ব্যস্ত৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অছাত্রদের বের করার নামে নন-এলোটেড শিক্ষার্থী ও যাদের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা নেই তাদের বের করার চেষ্টা চালচ্ছে। প্রশাসন আমাদের এক ধরণের চোখে ধুলো দিচ্ছে। অথচ অনেক ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা একাই হলের একটি করে কক্ষ দখল করে রেখেছে৷'
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রফেসর শামছুল আলম সেলিম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে কারা সিট বাণিজ্য করছে তাদের খুঁজে বের করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কিন্তু সময় ঠিকই ফুরিয়ে যাচ্ছে অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন টালবাহানা শুরু করেছে৷ তারা অছাত্রদের বের করার নামে শুধু নন-এলোটেড শিক্ষার্থীদের বের করছে। বাকি অছাত্ররা হলে থাকছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাগুরায় প্রাইভেট মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ও রিকসা উল্টে ৩ জন নিহত আহত এক
শেখ হাসিনা ছিলেন দেশের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী: মাদারীপুরের রাজৈরে চরমোনাই পীর
মব জাস্টিস : নিষ্ঠুরতার এক নৃশংস চিত্র, প্রতিরোধে প্রযুক্তির ব্যবহার
পরাজিত শক্তি পাহাড়ে অরাজকতা করতে চায়: জাগপা
বিএনপি নেতা মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে শোকজ
মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩ মামলা
আবু সাঈদ হত্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বেরোবিতে তদন্ত কমিটি গঠিত
কুতুবদিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২
বিরলে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
কলাপাড়ায় যাত্রীবাহী বাস-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশু সহ আহত-৫
গাজীপুরে কলোনিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট
মেরিনারের দায়িত্ব নিলেন সামির কাদের চৌধুরী
বাফুফের সভাপতি পদে এবার দৃশ্যপটে তাবিথ
সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা হিজাব পরতে পারবেন
ঢাবিতে মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে