ঘাঘটের ভাঙনে মানুষ হচ্ছে বাস্তুহারা নেই নদীশাসন ব্যবস্থা
০৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫১ এএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫১ এএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঘাঘট নদী। আঁকাবাঁকা এ নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।কিন্তু নেই নদীশাসন ব্যবস্থা। ফলে তীরবর্তী মানুষেরা দিনদিন হারাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি। আর ভাঙন আতঙ্কে অনেকের রাত কাটছে নির্ঘুমে। দীর্ঘ যুগে নদীশাসন ব্যবস্থা না থাকায় এমন ক্ষতি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বনগ্রাম, জামালপুর, দামোদর-পুর ও নল-ডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে- নদী ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের মুখে শোনা গেল ভাঙন-রোধের নানা দাবি-দাওয়ার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আঁকা-বাঁকাভাবে বয়ে চলা ঘাঘট নদীটি বনগ্রামের টুনির-চর থেকে শুরু হয়ে নল-ডাঙ্গার শ্রীরামপুর গিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সীমানায় ঠেকেছে।এখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি অবাধে বালু উত্তোলন বাণিজ্য করায় নদী ভাঙন আরও বেশি আকার ধারণ করছে। অথচ ভাঙন-রোধে সরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ।কোন কোন স্থানে জিও ব্যাগ, ব্লক স্থাপন করা হলেও তা টিকসই হচ্ছে না। যার কারণে গত একযুগে সাদুল্লাপুরের ঘাঘট নদীর ভাঙনে সহস্রাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। এই নদীর অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধেই আশ্রয় হয়েছে বাস্তুহারা কিছু সংখ্যক পরিবারের। একই সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চলে গেছে নদীগর্ভে। বর্তমানে শত শত পরিবার নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।বিদ্যমান পরিস্থিতি কয়েক যুগেও ঘাঘট নদীশাসন না করায় সিট জামুডাঙ্গা (মুন্সিপাড়া),উত্তর ভাঙ্গা-মোড় (কুটি-পাড়া), জামুডাঙ্গা, টুনির-চরসহ আরও একাধিক স্থানে ভাঙন অব্যাহত।এছাড়া চাঁন্দেরবাজার, মহিষ-বান্দি, ছোট দাউদ-পুর, হামিন্দপুর ও শ্রীরামপুর গ্রামের নদীতীরবর্তী পরিবারদের দিন কাটছে আতঙ্কে। প্রতি বছরের বন্যা আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। কেউ কেউ মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
উত্তর ভাঙ্গা-মোড় (কুটি-পাড়া) নামক স্থানের বাসিন্দা সাজু মিয়া, ও বাকী মিয়াসহ আরও অনেকে বলেন, এই মৌজাস্থ ঘাঘটে বাঁক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এ স্থানে লুপ কাটিংয়ে গতিপথ সোজা করা হলে নদী ভাঙন থেকে রক্ষাসহ চাষযোগ্য হবে জমি। এ নিয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান তারা।
প্রফুল্য চন্দ্র নামের এক বাসিন্দা বলেন, পূর্বে নদীটি সোজা ছিল কিন্তু ইদেনিং নদী ঘন ঘন বাঁক নিয়েছে। আর মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন আরও বেড়েছে। প্রতি বছরেই নদী ভেঙে ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে যাচ্ছে।আর নদীর পেটে বেশি পরিমাণ পলি ধারণ করেছে। তাই নদীটি শাসন করা জরুরি।
ইতোমধ্যে ওই নদীর একাধিক পয়েন্টে ভাঙন-রোধে কাজ করা হয়েছে। আবারও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হবে জানিয়েছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা