দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সীমান্ত সড়কের কাজ; বদলে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃশ্যপট
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
সীমান্ত সড়কে বদলে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃশ্যপট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ৩১৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৫৭ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সড়কটি নির্মাণ হওয়ার ফলে পাহাড়ি জনপদগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই সড়কের নির্মাণ কাজ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।
সম্প্রীতি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ,বিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার কোড়ের প্রধান মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এনডিসি পিএসসি, সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।
এসময় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শরিফ মনি, পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সবি মোঃ জাকির হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব-গৌতম চন্দ্র পাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে কাজ শেষ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। এই সীমান্ত সড়কটি বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি থেকে শুরু হয়ে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটি রাঙ্গা হয়ে রামগড় উপজেলা সীমান্তে গিয়ে শেষ হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে আরও ১০ বছর সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমি উল্লাহ নুরী বলেন, দুর্গম এলাকায় কাজ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এখানে কাজের মান বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীকে দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।
সচিব আরও বলেন, সড়ক নির্মিত হলে এখানকার মানুষের ভাগ্যর দ্বার খুলে যাবে। নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে এখানে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, যোগাযোগ ও ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নতি, মাদক, মানব, অবৈধ অস্ত্রোপচার রোধ, কৃষি পণ্য পরিবহন সুবিধা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশি-বিদেশি পর্যটক বৃদ্ধি, শিল্পকারখানা স্থাপন, আত্মসামাজিক উন্নতিসহ পুরো সীমান্ত অঞ্চলে সরকার নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্তে সড়ক নির্মাণ করছে।
পার্বত্য অঞ্চলের পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ হলে পুরো সড়ক নির্মাণ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের যেমন প্রসার ঘটবে, তেমনি যোগাযোগব্যবস্থা ও পর্যটনশিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। পুরো পাহাড় এলাকা নিরাপত্তার মধ্যে চলে আসবে। পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চল সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ