টেকনাফে অপহৃত শিশু ২১ দিন পরে উদ্ধার, গ্রেফতার-১৭
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬)কে কুমিল্লা লালমায় থানা এলাকা থেকে ২১ দিন পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অপহরণ চক্রের মাস্টার মাইন্ড আনোয়ার সাদেকসহ বিভিন্ন সময়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার সহ মুক্তিপনের ৪ লাখ টাকা ও
৪টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-টেকনাফের মৌচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনোয়ার সাদেক,নাগু ডাকাত,আয়েশা বেগম,হোসনে আরা,রনি।এবং এর আগে ১২ জন গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শনিবার ( ৩০ মার্চ) রাতে কুমিল্লা লাল মায় থানা এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে উদ্ধার পরে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
অপহরণের এ ঘটনার বিষয় রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল আহমেদ জানান,
গত শনিবার( ৯ মার্চ)দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পানখালী এলাকা হতে আবু হুরায়রা মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা অপহরণ করে।
শিশু অপহরণের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে টেকনাফ মডেল থানার ওসি'র নেতৃত্বে পুলিশের টিম অপহৃত শিশুটি উদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
পরবর্তীতে ২১ দিন পরে শনিবার( ৩০ মার্চ) রাতে কুমিল্লার লালমায় থানা এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারের পর,অপহরণকারী চক্রের মাস্টার মাইন্ড মৌচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনোয়ার সাদেক,নাগু ডাকাত,আয়েশা বেগম,হোসনে আরা,রনিকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত আরো ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন,ভিকটিম উদ্ধারের অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায় শিশু অপহরণের মাস্টারমাইন্ড আনোয়ার সাদেক এর পরিকল্পনায় বাদীনির ভাড়াটিয়া পুরাতন রোহিঙ্গা নাছের এবং মাজুমার নেতৃত্বে উম্মে সালমা, শাহীন এবং সিএনজি ড্রাইভার নাসির আলম মাদ্রাসা হতে বাসায় যাওয়ার পথে শিশুটিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অতপর কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি ড্রাইভার নাছির এবং উম্মে সালমাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আনোয়ার সাদেক, শাহীন, তোহা, নাগু ডাকাত, মধু, হোসনে আরা এবং তাদের পরিবারের সদ্যস্যরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল হিসাবে মহেশখালী থানাধীন কালারমারছড়া দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ভিকটিমের মাকে বারং বার মোবাইলের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এমনকি মুক্তিপন না দিলে শিশুটি হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।
মুক্তিপন আদায়ের লক্ষ্যে অপহৃত শিশুকে বিভিন্ন সময় নির্মমভাবে মারধর করে ভিকটিমের মাসহ পরিবারের লোকজনদেরকে কান্নাকাটির শব্দ শোনায়।ইতোমধ্যে অপহরণ চক্রের মাস্টার মাইন্ড আনোয়ার সাদেক সহ এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবং অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ'র মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা সহ অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে
পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা