কারফিউতে কক্সবাজারে আটকে পড়া ১০ সহস্রাধিক তাদের গন্তব্যে ফিরেছেন। পর্যটকদের বিশেষ ব্যবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছানো ব্যবস্থা করেছেন জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সহযোগিতায় সর্বশেষ মঙ্গলবার ৭১টি বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ফিরছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক।
মঙ্গবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে পর্যটকদের নিয়ে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওয়ানা গাড়িগুলো।

এ নিয়ে গেল চারদিনে প্রায় দশ হাজার পর্যটক ফিরে গেছেন। এরআগে কারফিউ জারির পর থেকে পর্যটকদের ভ্রমনের পাস দিতে কন্ট্রোল রুম খোলে জেলা প্রশাসন। শুরুর দিকে স্বল্প সংখ্যক পর্যটক পাস সংগ্রহ করলেও সোমবার সারাদিন পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্রমন পাস সংগ্রহ করেন তারা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিম খান বলেন, কক্সবাজাড়াতে এসে
কারফিউতে আটকে পড়েন পর্যটকরা। তাদের নিরাপদে ফেরাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়। অনেক পর্যটক বিমানযোগে ফিরে গেলেও
বাস ও রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গন্তব্যে ফিরতে পারেননি অনেকে।
যারা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্য জেলা প্রশাসন গাড়ির ব্যবস্থা করেছে।

সর্বশেষ পর্যটকদের তালিকা করে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ৭১টি বাসে ২৫০০ জন এবং প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস করে আরও ৫০০ জন মিলে মোট ৩০০০ জনকে ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, বিপদে পড়া পর্যটকদের তাদের পক্ষ থেকে নামে মাত্র বিল ধরা হয়েছে। যারা দিতে পারেননি ফিরে গিয়ে বিল পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যসজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, গেল ২০ জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় দশ হাজার পর্যটককে নিরাপদে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তিনধাপে ৩০০০ হাজার পর্যটক ফিরে গেছেন। পথিমধ্যে যেকোন ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রটোকল রয়েছে বলেও জানান তিনি।