চাঁদপুরে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউনের অংশ হিসেবে বিকেলে শহরের বিভিন্ন সড়কে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে শাসকদের নেতাকর্মীরা। অস্ত্রের মুখে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।

এরপর শহরজুড়ে তান্ডব চালায় শাসকদল। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে জেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে। আমার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা করেছে। জেলা যুবদল সভাপতির মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন এ জালেম সরকারের কাছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

এদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পালটা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে টোরাগড় ও আলীগঞ্জ এলাকায় এঘটনা ঘটে। এতে ৫জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে লাঠিসোটা নিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও বহিরাগতদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় আমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে স্যার এবং তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছি। সবাই প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, বহিরাগতরা পুলিশের ওপর হামলা করে।এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।