খুলনায় ছাত্রদল নেতাকে থানায় ঝুলিয়ে নির্যাতন, সাবেক ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
থানায় নিয়ে ছাত্রদল নেতাকে ঝুলিয়ে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনার ১ যুগ পর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নির্যাতিত খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হক টিটো বাদী হয়ে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।তিনি খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া মেইন রোডের এস এম এমদাদুল হকের ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- সাবেক এসআই মো. শাহ আলম, মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন, তৎকালীন পুলিশের সোর্স কাসেম, জাহিদ, তারক, ইস্রাফিল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তৎকালীন কমিশনার শফিকুর রহমান ও তৎকালীন ডিসি (সাউথ)।
আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ১৭ অক্টোরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে কেএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ আসামিরা মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি ও সরকারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাহমুদুল হক টিটো ও ফেরদৌস রহমান মুন্নাকে আটক করে। তাদের হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে ও চোখ গামছা দিয়ে বেধে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে মাহমুদুলকে হ্যাণ্ডকাপ পরা অবস্থায় থানা অভ্যন্তরে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশের বেধড়ক মারধরে বাদী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কামরুজ্জামান তখন পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘শালার জ্ঞান ফেরা, আমাদের আরো কাজ বাকি আছে।’ তখন আসামি এসআই মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন চোখে মুখে পানি দিয়ে তার জ্ঞান ফেরান।
তিনি কোনভাবেই বসতে পারছিলেন না। আসামিরা তাকে বার বার লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে তৎকালীন ওসি বাদীর পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। বলে-‘ শালাকে ক্রসফায়ারের জন্য গাড়িতে উঠা, সব জানতে পারবো। তখন বাদী মেঝেতে পড়িয়া থাকলে পুনরায় আসামিরা পিটাতে থাকে। এতে তার হাড় ভেঙে যায় ও জখম হয়ে জ্ঞান হারান। পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশে পরে তাদের জেলহাজতে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার প্রধান আসামি বাদী ও ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস রহমান মুন্না।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল (রোববার) হরতালের সময় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদল নেতা এসএম মাহমুদুল হক টিটো চোখ বেঁধে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন ওসি কামরুজ্জামান। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ সিপাহী আবু সুফিয়ান, সিপাহী মামুন আখতার এবং ওসি’র গাড়িচালক সুধাংশুকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জার্মানির
১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে হাসিনা সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
মহেশখালীতে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন
লুটপাট ও পাচার না হলে বাংলাদেশের অবস্থান মালেয়শিয়ার লেভেলে থাকতো
সরকারি নির্ধারিত জায়গায় না বসিয়ে মহাসড়কে কাঁচা বাজার--যানজটে ভোগান্তি
শেখ হাসিনা ও তার দোসররা সব টাকা নিয়ে পালিয়েছে : লুনা
চাঁদপুরে চুরি হওয়া ১৪টি গরু কুমিল্লা থেকে উদ্ধার
কবি মার্জেনা চৌধুরী আমাদের মাঝে আর নেই, দাফন হবে শেরপুরের নকলায়
‘বিএনপি ঠেকানোর নামে যেভাবে আমরা হাসিনাকে মনস্টার বানালাম’
গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি ও সাংবাদিকদেরও বিচার হবে: নাহিদ
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
ফের ৫ দিনের রিমান্ডে গোলাম দস্তগীর গাজী
তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রশংসা সর্বমহলে
প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মতিঝিল রুটে চললো মেট্রোরেল
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
ইমাম বাটনের শেয়ার কারসাজি, হাসিবকে ১ কোটি জরিমানা