যশোরের শার্শা উপজেলায় গৃহবধূ হালিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে
২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৭ এএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের গৃহবধূ হালিমা দম্পতির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি ফেরত চান তার সন্তানকে। সন্তান না পেলে তারা বাঁচবেন না, তাদের আকুতি, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের সন্তান ফেরত চাই।
হালিমা বেগম জানান গাইবান্ধা সদরের গোবিন্দপুর নেকির-ভিটা গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে হালিমা বেগম (২১)। পাঁচ বছর আগে যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের হত-দরিদ্র বাবুরালী মোল্লার (২৫) সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
হালিমা দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে হত-দরিদ্র স্বামীর বাড়ি থেকে সে বাপের বাড়ি গাইবান্ধায় চলে যায়। সেখানে তার প্রসব বেদনা উঠলে তার মা মোমেন বেগম গাইবান্ধা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা দেন। দিনমজুরের স্ত্রী মোমেনা বেগম মেয়ের সিজার করানোর জন্য প্রতিবেশী রুবেল-হাসি দম্পতির কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন।
চলতি বছরের (১৯ আগস্ট) হালিমা একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। সন্তান জন্মের পর বাচ্চাটিকে তার কোলে দেওয়া হয়। সন্তান পেয়ে হালিমা খুব খুশি হন। এদিকে সন্তান জন্মের দ্বিতীয় দিন থেকে শারীরিক দুর্বলতায় তিনি জ্ঞান হারান। পরে যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন জানতে পারেন তার সন্তানকে একই গ্রামের রুবেল ও হাসি দম্পতি নিয়ে গেছে।
তিনি তখন সন্তানের শোকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের শরণাপন্ন হন। চেয়ারম্যানের পরামর্শে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে হালিমার কোলে ফিরিয়ে দেন।
হালিমা বলেন, নবজাতককে পুলিশ আমার কাছে দেওয়ার পর ওইদিন গভীর রাতে রুবেল তার লোকজন নিয়ে এসে জোর জবরদস্তি করে নবজাতককে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আমি আমার কোলের সন্তানকে ফিরে পেতে বিভিন্ন জায়গায় দেন-দরবার করেছি কিন্তু ফল পায়নি।
নাড়িছেঁড়া ধন কোলের শিশুকে কাছে না পেয়ে হালিমা এখন পুত্র শোক ও দুধের যন্ত্রণায় দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানান হালিমার স্বামী বাবুরালী।
শিশু ছিনতাইকারী নিঃসন্তান রুবেল-হাসি দম্পতি বলেন, হালিমা বেগমের মা মোমেনা খাতুন শিশুটিকে আমাকে দত্তক দিয়েছে। এজন্য আমি শিশুটির গর্ভকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করেছি। এ পর্যন্ত আমার ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শিশুটিকে ফিরিয়ে নিতে হলে ৮০ হাজার টাকা আমাকে দিতে হবে।
শিশুটি রাখার বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, থানা পুলিশের লিখিত রয়েছে আমার কাছে। বাবু-হালিমা দম্পতির কথা এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। হালিমা জানায়, আমার মায়ের সহযোগিতা থাকতে পারে। তবে আমরা আমাদের সন্তান ফেরত চাই। এ ব্যাপারে অসহায় মা তার শিশু সন্তানকে কোলে ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইউক্রেনকে সহায়তা করলে রাশিয়া জবাব দিবে পুতিনের হুমকি
শীত মৌসুমে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার নির্দেশনা
আশুলিয়ায় বেকারীর মেশিনে কাটা পড়ে কর্মচারী নিহত
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে অবসরে পাঠালো সরকার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার ২ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পেল নতুন ভিসি
বাবাকে না বলে আন্দোলনে যান নাফিসা, ফেরেন লাশ হয়ে
পর্তুগালে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
ট্রাম্প ঝুঁকিপূর্ণ, কমলাকে ভোট দিন: মিশেল ওবামা
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৫৩,লেবাননে ২১
দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা খুনি হাসিনার, যা বলছেন নেটিজেনরা
পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গোলাম দস্তগীরের বাসায় অভিযান : ডিএমপি
কুড়িগ্রামে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
জাপানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন পার্টি
শেরপুরে এইচপিভি টিকা দিয়ে অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থী
অনন্য মামুনের 'মেকআপ' সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড
জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হাসিনার পরিকল্পনা ফাঁস
নববধূ ও প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা, যা বলছেন নেটিজেনরা