বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নাম থেকে মুছে দেয়া ইসলামি শব্দ প্রতিস্থাপনের দাবিতে সোচ্চার নেটিজেনরা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক

৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ এএম

জাহাঙ্গীরনগর (মুসলিম) বিশ্ববিদ্যালয় নয়, নবাব সলিমুল্লাহ (মুসলিম) হল, ফজলুল হক (মুসলিম) হল, কবি কাজী নজরুল (ইসলাম) কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা থেকে মুছে দেওয়া মুসলিম ও ইসলাম শব্দ প্রতিস্থাপনের দাবিতে সোচ্চার নেটিজেনরা।

বিভিন্ন সময়ে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থেকে "ইসলাম" ও "মুসলিম" শব্দ বাদ দিয়েছে। এমনকি নিজেদের নাম থেকেও "মুসলিম" শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগে পরিণত হয়েছে ফ্যাসিবাদী দলটি।‌

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নাম থেকে বাদ দেয়া 'মুসলিম' ও 'ইসলাম' শব্দ প্রতিস্থাপনের দাবি উঠেছে সর্ব মহল থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সর্বসাধারণ এই দাবি তুলেছেন।

এই আলোচনা নতুন রূপ নেয় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির এক ফেসবুক পোস্টের পর। সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‌‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।

এরপর জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন। এরপর নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নামের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করছেন।

জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, শুধু জাহাঙ্গীরনগর (মুসলিম) বিশ্ববিদ্যালয় নয়, নবাব সলিমুল্লাহ (মুসলিম) হল, ফজলুল হক (মুসলিম) হল, কবি কাজী নজরুল (ইসলাম) কলেজ নাম থেকে মুসলিম ও ইসলাম শব্দ মুছে দেয়া হয়েছিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে কুরআনের ছবি ও আয়াত মুছে দেয়া হয়েছিল একসময়। একইভাবে কুয়েটের মনোগ্রাম থেকে কুরআনের আয়াত মুছে দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির মনোগ্রাম থেকে কুরআনের আয়াতের বাংলা অর্থ সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো আমাদের জানা থাকা প্রয়োজন।

তারিকুল ইসলাম লিখেছেন,
মুক্তিযুদ্ধের পর সংশোধনের নামে "মুসলিম" শব্দ বাদ দিয়ে করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলিম নাম-নিশানা মুছে দেওয়ার নাম মুক্তিযুদ্ধ নয়। কথিত সেক্যুলাররা মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম ও মুসলিম চেতনার বিরুদ্ধে হাতিয়ার বানাইসে।

মাইন উদ্দিন জহির মিয়া লিখেছেন,
কাজী নজরুল ইসলাম হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থেকে "ইসলাম" "মুসলিম" শব্দ বাদ দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ। এবং কি নিজেদের নাম থেকেও "মুসলিম" শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগে পরিণত হয়েছে ।

আব্দুল মুমিন লিখেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নাম থেকে বাদ দেয়া 'মুসলিম' ও 'ইসলাম' শব্দ প্রতিস্থাপনের এখনি উপযুক্ত সময়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দাবি মেনে অবশ্যই শব্দগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে হবে।

বিভাগ : বাংলাদেশ