সেই আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদুল গ্রেপ্তার

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা

০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

র‍্যাবের অভিযানে সৃষ্ট উত্তেজনা থামাতে কৌশলি ভূমিকায় ছেড়ে দেয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদুলকে র‍্যাব ও পুলিশের শারাশি অভিযানে মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সন্ধা ৬টার সময় শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আওলাদুল সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের হামলা ও হত্যা মামলার আসামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, আজ বুধবার ৬ নবেম্বর বিকাল ৪টার দিকে র‍্যাবের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের হামলা ও হত্যা মামলার আসামি আওলাদুলকে গ্রেপ্তারের জন্য গাজিরখামার ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এসময় আওলাদুল চেয়ারম্যানকে ইউপি পরিষদ থেকে আটক করে র‍্যাব। আটকের পরে চেয়ারম্যানের ডাক-চিৎকারে এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা সমর্থকরা লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে চার দিক থেকে র‍্যাবকে ঘিরে ফেলে মার মুখি আচরণ করে। এমন পরিস্থিতিতে র‍্যাব ও জনতার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। জননিরাপত্তা কথা বিবেচনা করে এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য সহনশীল ভূমিকা নেয় র‍্যাব। এ সময় উত্তেজিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরিষদের পাশের বিল দিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ ও র‍্যাব চতর্মূখী অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে পুলিশ সন্ধা ৬টার সময় শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকা থেকে আওলাদুলকে গ্রেপ্তার করে।

এব্যাপারে র‍্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শুধুমাত্র পরিস্থির কারণে ওকে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছিলো। ওই মূহুর্তে বল প্রয়োগ করলে রক্ত ঝরতে পারত। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করা হয়েছিলো। ইতিমধ্যে সে গ্রেপ্তার হয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি জোবায়েদ ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুলকে আটক করা হয়েছে। কারা তাকে ছিনিয়ে নেয় তা জানার চেষ্ঠা চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিভাগ : বাংলাদেশ