ফরিদপুরে শিশুকে হত্যা গনপিটুনিতে নিহত হত্যাকারী

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নসিপুর গ্রামে তাহিয়া নামের এক শিশুকে হত্যা করার অপরাধে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকেও পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

জানা যায়, নিহত ঐ শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। নাম মাহিয়া। গতকাল আসরের পর মাহিয়া নিখোঁজ হলে পরিবারের লোক খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় ভাবে মাইকিং করা হয়।

পড়ে নিহতের চাচাতো দাদার ঘরে বস্তা বন্দী অবস্থায় ওর লাশ ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখার খবর পেয়ে অভিযুক্ত হায়দার মোল্লাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা।

বুধবার(১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে সদর থানার চরনাসিরপুর গ্রামে। স্থানীয়রা ইনকিলাব কে জানায় ফরিদপুর সদর থানার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নসিপুর গ্রামের মোজা মোল্লার শিশু কন্যা তাহিয়া মঙ্গলবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। বুধবার বিকালে পুলিশ স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মোল্লার ঘর তল্লাশি করে বারান্দায় রাখা বস্তার ভেতর থেকে লাস উদ্ধার করে।

এ সময় শিশুটির গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচানো ছিল। অমানবিক এ হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশেপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ ওই বাড়িতে জড়ো হয়। ঘর ভেঙে চুড়ে ভেতরে ডুকে হত্যাকারীকে মেরে ফেলে উওেজিত গ্রামবাসী ৮০ বছর বয়সী সামার মিয়া ইনকিলাব কে বলেন

তারা হত্যার দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে টিনের ঘরটির বেড়া ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘাতক হায়দার মোল্লাকে গণপিটুনিতে দিয়ে হত্যা করে। এতে আমাদের কোন দোষ নেয়ই।তার বাবার নাম মোঃ জহিরুল মোল্লা।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো্ আসাদউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইনকিলাব কে বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘাতক হায়দারের অত্যাচারে তার আপন বড় ভাইয়ের বউও বাপের বাড়ী চলে যেতে বাধ্য হয়। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে চাকরি করে দেশে ফিরলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করেননি। চাউর আছে তার এক ভাইকেও তিনি মেরে ফেলেন।

বিভাগ : বাংলাদেশ