জনবহুল এলাকায় পৌরসভার ময়লার ডাস্টবিন, চড়াচ্ছে দুর্গন্ধ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরের উত্তর তেমুহনীতে। এটি জনবহুল এলাকা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার লোকের সমাগম থাকে এ স্থানে।
গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ করে রাখায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নাক চেপে ধরে হাটতে হয় লোকজনকে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকতে হয় তাদের।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্জ্য রাখার জন্য নেই নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। ফলে পৌর এলাকা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য এনে জমা করে এনে রাখতে হচ্ছে উত্তর তেমুহনীতে।
তবে স্থানীয় লোকজন জনবহুল এলাকা থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার বাসাবাড়ি থেকে প্রতিদিন ছোট ছোট ভ্যানে করে বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার কর্মীরা। পরে সেগুলো ফেলা হয় লক্ষ্মীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র উত্তর তেমুহনীতে। পরবর্তীতে কয়েকদিনের স্তুপ করা বর্জ্য পিক-আপ গাড়ি ভরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্দিষ্ট ল্যাণ্ডফিল্ডে। কিন্তু উত্তর তেমুহনীর যে স্থানটিতে বর্জ্য রাখা হয়, সেটি একেবারে জনবহুল এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য লোকজনকে উত্তর তেমুহনীতে আসতো হয়। বর্জ্যের স্তুপের পাশে বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড। এতে বর্জ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হতে হয় লোকজনকে। এছাড়া মহাসড়কের পাশে হাওয়ায় বর্জ্যের স্তুপের পাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। বাধ্য হয়ে তাদেরকে নাকে হাত চেপে ধরে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী মেহেরাব হোসেন বলেন, উত্তর তেমুহনীতে থাকা ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে হাঁটাচলা কষ্ট হয়ে পড়ে। নাক চেপে ধরে হাঁটতে হয়। ময়লার স্তুপের বিপরীত পাশেই পৌর কার্যালয়। জনগণের চলাচলের দুর্ভোগের বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে আছে। জনবহুল এলাকা থেকে ময়লার স্তুপটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহেল বলেন, ময়লার স্তুপের পাশেই আমাদের সিএনজি স্ট্যান্ড। প্রতিদিন ময়লার পাশেই আমাদেরকে বসে থাকতে হয়। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি। এছাড়া যাত্রীরাও ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা হয়।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ যেখানে পৌর বাসিন্দাদের দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবে, সেখানে পৌরসভার ময়লার স্তুপের কারণেই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে লোকজন। জনবহুল স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ কোনভাবেই কাম্য নয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌর কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর পৌর সভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সেটি নির্মাণ করা হবে। পৌরসভা ওই প্রকল্পের জন্য সাইড নির্ধারণ করে দিবে।
তিনি জানান, সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ হলে সেখানেই বর্জ্য ফেলা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ