১৩ লাখ টাকার নতুন ব্রীজের আয়ু ৫ মাস!
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
পাঁচ মাস আগে ১৩ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি নতুন ব্রীজ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর না পেরোতে একই স্থানে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে আরো একটি বক্স কালভার্ট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কন্যাদহ গ্রামে এই অপচয়মুলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে পাঁচ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ব্রীজটি এখন ভেঙ্গে ফেলতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কণ্যাদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জিকে সেচ খালের উপর গত ৫ মাস আগে নির্মাণ করা হয় ব্রীজটি। ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করে। জিকে সেচ খালের উপর নির্মিাত ব্রীজের গায়ে এখনও মোড়ানো রয়েছে নতুন পলিথিন।
অথচ একই স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে ওই স্থানে আবার একটি কালভার্ট নির্মাণ করবে বিভাগটি। ফলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও দুই বিভাগের সমন্বয়ের অভাবে সরকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কন্যাদহ গ্রামের আরশেদ আলী নামে এক কৃষক বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের করা ব্রীজটি নির্মাণেও অনিয়ম করা হয়েছে। সড়কের প্রস্তস্থ অনুযায়ী ব্রীজ না করায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রীজটি যখন নির্মাণ করা হয় তখন তারাই বলেছিলো কয়েকদিন পর আবারো নতুন ব্রীজ হবে। আমার নিষেধ করার পরও তারা নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করে। রাশেদ হক নামে আরেক গ্রামবাসি প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকারের কত টাকা হয়েছে যে, ৫ মাসের মাথায় নতুন ব্রীজ ভেঙ্গে আবারো ব্রীজ করতে হচ্ছে ? নতুন ব্রীজই যদি করবে, তখন এই ব্রীজটি করার কি দরকার ছিলো ?। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপথ সমন্বয় করলে সরকারের এই বাড়তি টাকা গচ্ছা যেত না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, জিকে সেচ খাল যেহেতু আমাদের আওতাধীন তাই আমরা ব্রীজটি নির্মাণ করেছিলাম। কারণে অনেকদিন আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছিলো।
সেই ভোগান্তি দুর করতেই আমরা ব্রীজটি নির্মাণ করেছি। সড়ক ও জনপথ যদি ওই স্থানে ব্রীজ করে তাহলে আমাদের কাছ থেকে এনওসি নিয়ে করতে হবে। কিন্তু তারা এনওসি না নিয়েই স্টিমেট করেছে। আগামীতে সওজ বা এলজিইডি যদি জিকে সেচ খালের উপর ব্রীজ করে আমাদের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করলে এই ভুলবোঝাবুঝি হবে না। এ ব্যাপারে আমরাও সচেষ্ট থাকব। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ব্রীজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময় করা। ব্রীজটি যখন নির্মাণ করা হয় সেসময় আমার আগের নির্বাহী প্রকৌশলী দু’দফা চিঠিও দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সমন্বয় করা যায়নি। ব্রীজটি নতুন হলেও এলাকার মানুষের চলাচলের অনুপযোগী। তাই এলাকার মানুষের ভোগান্তি দুর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে নতুন ব্রীজের কাজ শুরু হবে। এতে আশা করি এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ