ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ২৭ অভিযোগ, বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিল
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম
কথার অবাধ্য হলে মার্কস কমিয়ে দেয়া, মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, যৌন হয়রানি ও ছাত্রদের সমকামিতায় বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষকের নাম হাফিজুল ইসলাম। তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে তথ্যটি জানা গেছে। চিঠি সূত্রে, গত ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভিসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভার ৪৪ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (e) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ২২ ডিসেম্বর থেকে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্তত ২৭টি অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাকে অপসারণের দাবি জানান। অভিযোগ তদন্তে ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির কাছেও অভিযোগগুলো জমা দেয় শিক্ষার্থীরা। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিকসহ সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা হাতে পুরো ক্যাম্পাসে মিছিল করেন তারা। মিছিল শেষে তারা ক্যাম্পাসের ফটকের সাথে কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে তাতে জুতা ও থুতু নিক্ষেপ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক যৌন হয়রানিসহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে হেনস্থা করেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চারিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করেন। এ ছাড়া ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করা, মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন এবং মেয়েদের নর্তকী, বাজারের মেয়েসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ছাড়াও এটেনডেন্সের বিনিময়ে ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কমিয়ে দেয়া, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে মারার হুমকি, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা, ক্লাসের শিডিউল দিয়ে ডেকে এনে জোরপূর্বক তার জন্মদিন পালন করানোর অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আ. লীগের ফেব্রুয়ারিতে হরতালের ডাক, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য এনে গ্রেপ্তার হলেন দুই ভারতীয়
বরুণের স্পিন ঘূর্ণির পরেও জিতে সিরিজে টিকে রইল ইংল্যান্ড
ব্যাপক সংঘর্ষের পর বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
তৃতীয় দফায় বাড়ছে রিটার্ন জমার সময়
গণধিকৃত সংগঠনে পরিণত হয়েছে শিক্ষক সমিতি : ঢাবি সাদা দল
ধামরাইয়ে কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুদকের অভিযান, ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় তাওহীদুল ইসলাম ২য়
হাইকোর্টের আদেশ গাছ কাটতে লাগবে অনুমতি
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মেলায় পণ্য প্রদর্শনীতেই সন্তুষ্ট বৃহত্তর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো
প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধের দাবীতে জানতার সাথে আয়োজক কমিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ১০
ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ষড়যন্ত্রের বীজ রোপণ করছে- পরশুরামে রফিকুল আলম মজনু
নতুন ৫ দাবি যোগ করে ফের সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
হ্যাকিং অ্যাপসে প্রতারনা, সিলেটে এক নারীর ৭ লাখ টাকা রক্ষা করলো পুলিশ
সাত কলেজ নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও চাঁদাদাবীর অভিযোগ ওসিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
টেকসই কৃষি নিয়ে ১০ হাজার চর কৃষকের পাশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ফ্রেন্ডশিপ
সংস্কারের নামে অহেতুক সময় বিলম্ব করা হলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে- প্রিন্স
জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করলে পরিণতি কী হয়, তা আমরা ৫ আগস্ট দেখেছি: তারেক রহমান