বাজেটে কার্বন করের বিষয়টি যৌক্তিক নয় : বারভিডা সভাপতি

Daily Inqilab অর্থনৈতিক রিপোর্টার

০৬ জুন ২০২৩, ০৬:১১ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ০৬:১১ পিএম

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী একাধিক গাড়ি থাকলে দিতে হবে কার্বন কর। তবে বাজেটে কার্বন কর আরোপের বিষয়টি মোটেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ্ ডন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

বারভিডা সভাপতি বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে একাধিক গাড়ি থাকলে গুণতে হবে কার্বন কর। তবে অনেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো পরিবেশবান্ধব। এক্ষেত্রে গ্রাহককে কেন কর দিতে হবে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ ছাড়া বারভিডা জাপান থেকে সর্বাধিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং পরিবেশ বান্ধব গাড়ি আমদানি করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব গাড়ি থেকে কার্বন নিঃসরনের সুযোগ নেই। তাই প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী এসব গাড়ির ব্যবহারকারীদের পরিবেশ সারচার্জ বা কার্বন কর প্রদানের বিষয়টি মোটেই যৌক্তিক নয়। এ বিষয়টিতে সুষ্পষ্ট দিক নির্দেশনা ও পরিষ্কার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।

এর আগে গত ১ জুন প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, একাধিক গাড়ি যাদের রয়েছে তাদের ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে কার্বন কর দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে আগামী বাজেটে দেশের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠা শিল্প কারখানাগুলোতে যাতায়াতের নিরাপদ বাহন হিসেবে ব্যবহার করা জিপ গাড়ির সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল বলেও জানান বারভিডা সভাপতি। তিনি বলেন, প্রস্তাব অনুযায়ী সিসি সø্যাব ও সম্পূরক শুল্ক কমানো হলে এসব গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হত। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, জ্বালানি ও বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের কারণে আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময় পার করছি। এমন পরিস্থিতিতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানি ও ব্যবহার বৃদ্ধি আমাদেরকে বড় রকমের স্বস্তি দিতে পারে। এ জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ির বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। হাবিব উল্লাহ্ ডন বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, চীন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি ও ব্যবহারে ব্যাপক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ মোটরযানে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমে আসায় বাংলাদেশেও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় পরিবেশ সুরক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি উৎসাহিত করতে এসব গাড়িকে সব ধরনের শুল্ক-কর হতে অব্যাহতি দেয়া জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হক, সংগঠনের সহ-সভাপতি আসলাম সেরনিয়াবাত, সহ-সভাপতি রিয়াজ রহমান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আনিসুজ্জামান পিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : অর্থনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এই খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ
হঠাৎ বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল, ভারতের উদ্দেশ্য কী ছিল?
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও স্বাভাবিক বাংলাবান্ধা, নেপালে গেল ১৪৭ টন আলু
নতুন রেকর্ড সোনার দামে, ভরি মাত্র ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
আরও
X

আরও পড়ুন

সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা তৈরিতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের

সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা তৈরিতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের

বায়ুদূষণে পঞ্চমে ঢাকা, শীর্ষে চীনের চারটি শহর

বায়ুদূষণে পঞ্চমে ঢাকা, শীর্ষে চীনের চারটি শহর

চৈত্র সংক্রান্তিতে আজ কনসার্ট, বর্ষবরণে কাল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

চৈত্র সংক্রান্তিতে আজ কনসার্ট, বর্ষবরণে কাল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

বিদেশ যাওয়া নিয়ে উপহাস করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

বিদেশ যাওয়া নিয়ে উপহাস করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

এবারও হচ্ছে না সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

এবারও হচ্ছে না সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়ে রিটের শুনানি আজ

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়ে রিটের শুনানি আজ

গুপ্তচরবৃত্তিতে চীনের সাবেক সামরিক কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গুপ্তচরবৃত্তিতে চীনের সাবেক সামরিক কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এবার বরিশালে প্রায় ৩ লাখটন গোলআলু উৎপাদন হলেও দরপতনে হতাশ কৃষিযোদ্ধাগন

এবার বরিশালে প্রায় ৩ লাখটন গোলআলু উৎপাদন হলেও দরপতনে হতাশ কৃষিযোদ্ধাগন

গাজার আবাসিক এলাকায় ২৩ দিনে ২২৪ বার ইসরায়েলি হামলা

গাজার আবাসিক এলাকায় ২৩ দিনে ২২৪ বার ইসরায়েলি হামলা

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে আজ

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে আজ

নামাজ পড়েন শাহরুখ-সালমান! কি বললেন ফারাহ?

নামাজ পড়েন শাহরুখ-সালমান! কি বললেন ফারাহ?

মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনা

মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশে নেতানিয়াহুকে জুতাপেটার খবর ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশ

বাংলাদেশে নেতানিয়াহুকে জুতাপেটার খবর ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশ

পারমাণবিক চুক্তি: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা

পারমাণবিক চুক্তি: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা

চালু হচ্ছে দেশের পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর

চালু হচ্ছে দেশের পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর

লেবাননে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ সামরিকঘাঁটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

লেবাননে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ সামরিকঘাঁটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, বাঁচল মোবাইল ও কম্পিউটার

ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, বাঁচল মোবাইল ও কম্পিউটার

ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা

ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা

কোন দলের কে কে ছিলেন ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে

কোন দলের কে কে ছিলেন ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে

কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির গুদাম

কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির গুদাম