ঢাকা নগর উন্নয়ন প্রকল্পের কী হলো?
০৪ মে ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য ও অসভ্য নগরী হিসেবে ঢাকা অনেক আগেই চিহ্নিত হয়েছে। অথচ ঢাকা দেশের হৃৎপিন্ড হিসেবে পরিচিত। দেশের অর্থনীতি, প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু থেকে শুরু করে সবকিছু ঢাকাকে ঘিরে আবর্তিত হয়। মানুষের স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা, কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঢাকা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট জিডিপির শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ যোগান দেয় ঢাকা। যে ঢাকা অযোগ্যতার দুর্নাম নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এতটা সহায়তা করছে, সে ঢাকা যদি বাসযোগ্য ও সুশৃঙ্খল হতো, তাহলে অর্থনীতির ভিতটা কত শক্তিশালী হতো, তা কল্পনাও করা যায় না। অথচ ঢাকাকে সচল ও সুন্দর করার জন্য যুগ যুগ ধরে কত অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেসব পরিকল্পনার কিয়দংশও যখন বাস্তবায়ন হতে দেখা না যায়, তখন হতাশ হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না। ঢাকার উন্নয়ন নিয়ে মানুষ অনেক বড় বড় পরিকল্পনার কথা শুনেছে। এসব যে পরিকল্পনার মধ্যেই থেকে গেছে, তা ঢাকার চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। ঢাকার এই শোচনীয় অবস্থার মধ্যেই নতুন কাঠামো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হোক বা না হোক, নির্দিষ্ট মেয়াদন্তে রুটিন মাফিক একটা নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হয়। কয়েক বছর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় রাজউক ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি ‘নগর উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় একটি খসড়া পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিল। পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল দেড় কোটি, ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৬০ লাখ। এই জনসংখ্যা বিবেচনা করেই সেবা সংস্থাগুলোর প্রসার ও বিন্যাসের কথা চিন্তা করা হয়েছিল। তবে এখনই ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সে যাই হোক, পরিকল্পনায় পুরো ঢাকা মহানগরকে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। ঢাকা মহানগরকে কেন্দ্র করে প্রতিটি অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের নগর কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠবে আরও পাঁচটি অঞ্চল। এগুলো হলো, গাজীপুর সদর উপজেলা নিয়ে উত্তরাঞ্চল, রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জ নিয়ে পূর্বাঞ্চল, নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল, কেরাণীগঞ্জ নিয়ে হবে দক্ষিণ-পশ্চিমা এবং সাভার এলাকা নিয়ে হবে পশ্চিমাঞ্চল। পরিকল্পনায় চারটি সিটি করপোরেশন যেমন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরস্থ পাঁচটি পৌরসভা এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ঢাকা নগরীর আয়তন কত হবে তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠে, ‘সিটি করপোরেশনের এলাকা আছে, আছে ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্পের এলাকা, অবার রাজউকের নির্ধারিত এলাকাও আছে, তাহলে কোনটাকে ঢাকা বলা হবে? আমরা জানি, ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। সংবিধানেও আছে ঢাকা রাজধানী। তাহলে সেই রাজধানীর আয়তন কত বড় হবে এবং কত লোক থাকবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। আগে ধরা হতো রাজউকের আওতাধীন এলাকাই ঢাকা। এখন রাজউকের মানচিত্রে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরও ঢুকে পড়েছে। তাহলে কি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকেও ঢাকা বলা হবে? রাজধানীর নির্দিষ্ট সীমা থাকাই যুক্তিযুক্ত। তা না হলে, কোনটিকে রাজধানী বলা হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়া স্বাভাবিক। ঢাকার সাথে আশপাশের আরও জেলা যদি একের পর এক যুক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তো গোটা দেশই একটা সময় রাজধানীর আওতাভুক্ত হয়ে পড়বে। রাজউকের খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী দেখা যায়, রাজধানীর আয়তন হবে ১৬২৪ বর্গকিলোমিটার। ভবিষ্যতে যে এর আয়তন বাড়বে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
দুই.
কল্পণাপ্রবণ হয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে পরিকল্পনা করা সহজ। এর বাস্তবায়ন অনেক কঠিন ও জটিল কাজ। ঢাকাকে নিয়ে এ পর্যন্ত যত উন্নয়নমূলক একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেসব পরিকল্পনায় অনেক সুন্দর সুন্দর প্রস্তাবনা ছিল। এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন খুব কমই হয়েছে। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হতো, তবে ঢাকার বর্তমান এই দুরবস্থার কিছুটা হলেও সুরাহা হতো। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ঢাকার উন্নয়নে প্রথম মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল ১৯৬০ সালে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ২০ বছর মেয়াদের পরিকল্পনা নেয়া হয়। ইতোমধ্যে এই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ঢাকার চেহারা সুন্দর হয়নি। এর মধ্যে ঢাকার কী উন্নয়ন হয়েছে, তা বোধকরি নগরবাসী জানেন। এরপর আরও ২০ বছর মেয়াদের নতুন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বরাবরের মতো এ পরিকল্পনাতেও আকর্ষণীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নগর এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ঐসব অঞ্চলে নাগরিক ও কর্মসংস্থানের সুবিধা বিবেন্দ্রীকরণ করা হবে। ঢাকা শহরে দ্রুতগামী পরিবহণসুবিধা থাকবে। চারদিকে থাকবে বৃত্তাকার সড়ক। মূল শহরের সঙ্গে অঞ্চলগুলোর সংযোগও থাকবে। ভূমি স্বল্পতাকে বিবেচনায় নিয়ে এসব পরিকল্পনা করা হবে। শহরের চারপাশে থাকবে বিশেষায়িত জোন। ট্রানজিট স্টেশনকে কেন্দ্র করে কর্মক্ষেত্রের চারপাশে মানুষের বসতির সুযোগ থাকবে। প্লটের পরিবর্তে ব্লক হাউজিংয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। নদী, খাল, জলাশয়, সংরক্ষণা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা হবে। এসব পরিকল্পনার কথা শুনলে যে কারও মনে কোনো বেসরকারী আবাসন কোম্পানির আকর্ষণীয় ও চটকদার বিজ্ঞাপনচিত্র ভেসে উঠতে পারে। খসড়া পরিকল্পনায় কেবল রাজধানীকে প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাজধানীর বিদ্যমান সমস্যাগুলোর ওপর তেমন কোনো আলোকপাত করা হয়নি। এসব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে, তার কোনো দিক নির্দেশনা নেই। রাজধানী যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে রয়েছে, তার কিভাবে সমাধান হবে, তারও কোনো পরিকল্পনা নেই। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝারি ধরনের বন্যা হলে ঢাকার অধিকাংশ এলাকা ডুবে যাবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা অন্যতম। ঢাকার ৭৮ হাজার ভবন ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প হলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। অন্যদিকে, প্রতিদিনই ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে। আগামী কয়েক দশকে এই চাপ আরও বাড়বে। অপরিকল্পিত ভবন, অবকাঠামো নির্মাণ, জনসংখ্যার আধিক্য বিশ্বের অন্য বড় শহরের তুলনায় ঢাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট এসব ঝুঁকির কারণে বিপুল প্রাণহানি ঘটতে পারে। নতুন পরিকল্পনায় এসব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে, তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। ঢাকার নতুন কাঠামো পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের নগর বিশেষজ্ঞরা এ পরিকল্পনাকে যথাযথ মনে করছেন না। তারা বলেছেন, এ পরিকল্পনা প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় নগর বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে এ পরিকল্পনা বাস্তবমুখী নয়। ঢাকার সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে রাজউকের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের যে সমন্বয় প্রয়োজন, তার প্রতিফলন এখানে নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে বসে লাইন টেনে পরিকল্পনা করলে হবে না। সবার মতামতের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
তিন.
ঢাকার সীমাহীন সমস্যা নিয়ে বহু লেখালেখি ও বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। তবে এসব মতামত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা আমলে নেয় না। তারা তাদের মতো করেই কাজ করে যাচ্ছে, হোক সেটা পরিকল্পিত কিংবা অপরিকল্পিত। তাদের কর্মকা- নগরবাসীর উপকারের পরিবর্তে বছরের পর বছর ভোগান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। যে যানজটে মানুষের নাভিশ্বাস, তার সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীন ও অসময়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি যুক্ত হয়ে এক দুঃসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে। এমনিতেই রাজধানীর ৮০ শতাংশ সড়ক সরু ও অপরিকল্পিত। তার উপর যদি বছরের পর বছর ধরে খোঁড়াখুঁড়ি চলে, তবে নগরবাসীর যন্ত্রণা কমার কোন কারণ থাকতে পারে না। যানজটের প্রধান কারণ সম্পর্কে নগরবিদরা বলছেন, পূর্ব-পশ্চিমমুখী সড়কের সংযোগ না থাকা, রিং রোডের অনুপস্থিতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রযুক্তির অভাব, পার্কিংয়ে কোনো শৃঙ্খলা না থাকা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, গণপরিবহণে বিশৃঙ্খলা। এর পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও যানজট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। রাজধানীর পানিবদ্ধতা নিয়ে বহু ধরনের কথা হয়েছে। এর সিংহভাগ এলাকায় এখনও ওয়াসার কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। কোনো দেশের মেগাসিটিতে ড্রেনেজ সিস্টেম এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে কাজ করা ওয়াসা কী করল, তাই এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে প্রাকৃতিক যেসব খাল, পুকুর ছিল নিদেনপক্ষে সেগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারত। এ কাজটি করতে পারলে রাজধানীতে পানিবদ্ধতা বলে কিছু থাকত না। ওয়াসার হিসাব মতেই রাজধানীতে ৪৩টি খাল ছিল। এর মধ্যে ১৭টির কোনো খোঁজ নেই। বাকি ২৬টি খালের ৫টি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নিয়েছে অসাধু চক্র। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, ওয়াসার সম্পদ দখল-বেদখল হয়ে যাচ্ছে, আর তারা তা রক্ষা করতে পারছে না। দখল হয়ে যাওয়া খালও উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাহলে এমন সংস্থার কার্যকারিতা কি? অন্তত দখল হয়ে যাওয়া একটি খাল উদ্ধার ও বিদ্যমান খালগুলোর যথাযথ সংস্কারের উদ্যোগ নিলে পানিবদ্ধতা অনেকটাই কমে যেত। এ কাজটি কেন তারা করছে না? শুধু খালই নয়, রাজধানীতে এক সময় অনেক পুকুর ছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীতে পুকুরের সংখ্যা ১৯৮৫ সালে ছিল ২ হাজার। এখন সরকারি হিসেবে আছে দুইশ’র মতো। এসব পুকুর ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার অভাবে নগরীর পুকুর ও জলাশয় হারিয়ে গেছে। নগর উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থা এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে দখল বন্ধ করা যাচ্ছে না। নগর পরিকল্পনা করলেও পুকুর জলাশয় রক্ষায় কোনো পরিকল্পনা নেই। এ ধরনের পরিকল্পনা না থাকায়, কোথাও আগুন লাগলে পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। রাজধানীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটারের বেশি নেমে গেছে। প্রতিবছর এ স্তর ২.৮১ মিটার করে কমছে। এর ফলে মাটির স্তর দেবে যাচ্ছে এবং ভূমিকম্পের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপের কথা নতুন পরিকল্পনায় দেখা যাচ্ছে না।
চার.
নগর উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় যে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হবে কিনা, নাকি কেবল পরিকল্পনার মধ্যে সমীমাবদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে সংশয় থাকা স্বাভাবিক। আগে বিভিন্ন মেয়াদী যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেগুলো কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু জানা যায় না। নতুন পরিকল্পনা পেশ করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও তা জনগণকে জানায় না। সঙ্গতকারণেই নগরবিদরা বলেছেন, যে পরিকল্পনা নেয়া হয়, আগে ঠিক করা উচিৎ, সেটি কবে বাস্তবায়ন হবে। আমরা কি শুধু পরিকল্পনা করব, নাকি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন করব? বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব মন্তব্য ও প্রশ্ন উঠত না, যদি আগের পরিকল্পনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন হতো। দিন দিন রাজধানী যে বসবাসের অযোগ্য ও অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেবল পরিকল্পনা করে বসে থাকলে হবে না, এর দ্রুত বাস্তবায়ন অপরিহার্য। পরিকল্পনায় যানজট, পানিবদ্ধতা, পরিবেশ দূষণের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা থাকাসহ নাগরিকদের সব ধরনের সেবার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, যানজট ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে এনে সমন্বিতভাবে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।
darpan.journalist@gmail,com
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জানা গেল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ব্রাজিলের একাদশ
বাংলাদেশে ন্যায্য রুপান্তরে অর্থায়নের জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান
গোপালগঞ্জে কারাগারে থাকা বাবার অবশেষে জামিন মঞ্জর
ওসমানী বিমান বন্দরে বিদেশী বিমান উঠা-নামার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী- প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে সিলেটে স্মারকলিপি
ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৬
জানুয়ারি পর্যন্ত ছিটকে গেলেন এনগিডি
দুবাইয়ে নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেলের সাথে বাংলাদেশ রেডিমেড গার্মেন্টস ট্রেডার্স আজমানের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুবিধা নিশ্চিতে দেওয়া হবে ইউনিক আইডি কার্ড
যে কারণে হারপিকে মেতেছে নেটিজেনরা
আ.লীগের মতো পরিবারতন্ত্র করবে না বিএনপি: তারেক রহমান
প্যারাগুয়ে ম্যাচে কেমন হবে আর্জেন্টিনার একাদশ
অর্থাভাবে ব্যক্তিগত বিমান ভাড়া দিয়েছেন শন ডিডি, বিক্রি করবেন বাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রেনী কক্ষে অসুস্থ ১০ শিক্ষার্থী
ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নরসিংদীতে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
পুলিশ সংস্কার ও একটি কৌশলপত্র
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে কেন উপদেষ্টা করতে হবে?
শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি এই অবহেলা অমার্জনীয়
নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ