দালালদের খপ্পরে রোগীরা
০৭ জুন ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
ডাক্তারের নিকট মানুষ সহজে যেতে চায় না। বিশেষ করে গ্রামের মানুষগুলো বিরাট কোনো বিপদ না পড়লে ডাক্তারের কাছে যায় না। এর পেছনে কতগুলো কারণের মধ্যে হয়রানি একটি। নানা ধরনের হয়রানির মধ্যে দালালদের দৌরাত্ম্য অন্যতম কারণ। ওরা সরকারি হাসপাতালগুলোর সামনে নানা প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের সর্বস্ব লুট করে নেয়। তারা তাদের পছন্দ মতো ক্লিনিকে ভর্তি করার জন্য যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে টানাটানির জন্য রোগীরা আরো বেশি কাতর হয়ে যায়। বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হলে প্রথমে রোগীরা টেস্ট হয়রানির সম্মুখীন হয়। সাধারণ জ্বরের জন্য গেলেও রোগীকে অন্তত পাঁচ/সাতটি টেস্ট দেয়। টেস্টের মূল্যও রাখা হয় অস্বাভাবিক হারে। টেস্ট করতে করতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সময় ও অর্থ দুইই যায়। ধৈর্যেরও একটা ব্যাপার আছে। রোগী ব্যথায় কাতরায়, কিন্তু টেস্ট ছাড়া তারা রোগীর চিকিৎসা করেন না। যত রোগী আসে সব রোগীকেই বিভিন্ন টেস্ট দেয় ফলে রিপোর্ট প্রস্তুত করতেও দেরি হয়। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে কোনো কোনো সময় লাইসেন্স বিহীন ডাক্তাররাও সিজার করে থাকে বলে খবর প্রকাশিত হয়। ফলে রোগীরা নানা জটিলতায় পড়ে। চিকিৎসার নামে অসংখ্য টেস্ট রোগীর হাসপাতাল ভীতি বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময় দেখা যায়, ডাক্তার টেস্ট রিপোর্ট ভালোভাবে না দেখেই প্রেসক্রিপশন করে দেয়। কারণ, তিনি হয়তো জানেন, এসব টেস্ট তো করার দরকার ছিলো না। প্রেসক্রিপশনে আবার অনেক রকমের ঔষধ লেখা হয়। প্রয়োজন থাকলেও লেখা হয়, আবার প্রয়োজন না থাকলেও লেখা হয়। ডাক্তারদের সঙ্গে দেশের প্রায় সকল ঔষধ কোম্পানির একটা অলিখিত চুক্তি থাকে। তাই হয়তো, প্রতিটি প্রেসক্রিপশনে যত বেশি সম্ভব কম্পানির ঔষধ রাখতে হয়। ইদানিং আবার ডাক্তারদের ভিজিটও বাড়ছে। বর্তমান এই লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের বাজারে ডাক্তাররাও যদি এমন হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? মানুষ, মা-বাবার পর ডাক্তারদেরই ভরসা করে। কিন্তু কিছু কিছু ডাক্তারের আচরণ অত্যন্ত কঠোর। রোগীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, এমন কি মারধরও করে। এসব অনৈতিক ব্যবহার থেকে ডাক্তারদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক আগে থেকে নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি হয়ে আসছে। কেউই সেভাবে নজর দেয়নি। এখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত আছেন, সবাইকে বলব, আমরা সবাই মানুষ, আসুন আমরা সবাই মানবিক হই।
সাঈদুর রহমান লিটন
মধুখালী, ফরিদপুর
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড
সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে