ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

গোটা দেশই এখন খেলার ময়দান

Daily Inqilab রিন্টু আনোয়ার

২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ এএম

রাজনীতি-অর্থনীতি-কূটনীতি সব দিক থেকে তলে আর উপরে মিলিয়ে গোটা দেশই এখন খেলার ময়দান। কমতি করছে না কোনো পক্ষই। খেলার চূড়ান্ত ফলাফল জানা-বোঝার অবস্থাও নেই। পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে সকাল-সন্ধ্যা। কে কার পক্ষ-বিপক্ষ তাও পরিষ্কার নয়। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। ৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত করা, তাদের ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা, ভোটারদের কাছে প্রচারণার কাজ চলছে। এতে অ্যাবসলিউট ম্যাজরিটি নেয়ার যাবতীয় আয়োজন রয়েছে সরকারের। এই পথে কোনো বাধা দেখছে না সরকার।

তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত অন্তহীন খাটাখাটুনি করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য এবং দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নানাজনের সঙ্গে, যা তাকে ঢাকার রাজনীতি-কূটনীতিতে টক অব দ্য ডিপ্লোম্যাটে পরিণত করে তোলে। অথচ, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোর গুজব রটে, ওয়াশিংটনে তলব করা হয়েছে হাসকে। তবে গুজবটি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। হালে পানিও পায়নি। এ সময়ে কেন গেছেন, এ নিয়ে নানা প্রশ্নের কোনো হিল্লা হয়নি এখনো। পরে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দুপুর দেড়টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। কারও ধারণা, দীর্ঘ ক্লান্তি কাটাতে অবকাশে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে গেছেন এ কূটনীতিক, যা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

সম্প্রতি নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাছে চিঠি পাঠান। সেই চিঠি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে হাতে হাতে পৌঁছে দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ধাক্কাকে এখন আর গায়ে মাখছে না সরকার। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, তারা অবাধ-সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে বলে যাক। তারা শুনে যাবে এবং যথারীতি নির্বাচন করে নেবে। তা গ্রহণযোগ্যও হবে, এমন বিশ্বাসে অটল সরকার। আর সেই বার্তা ‘বর্তমান বাস্তবতায় অর্থপূর্ণ সংলাপ সম্ভব নয়’ বলে যুক্তরাষ্ট্রকে তথা ডোনাল্ড লুর চিঠির জবাবেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজনীতি এবং কূটনীতিতে লু’কে হাওয়া-ঝড় ইত্যাদি নাম দেওয়া হলেও সরকারের কাছে সেটা গুরুত্বহীন।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের একাধিক চুক্তি ও সমঝোতাও হয়ে গেছে। এলএনজি চুক্তি বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ। ‘দক্ষতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এবং উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ ও ঝুঁকিসহিষ্ণু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের যৌথ অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড ও ইউএস আর্মি ফার্স্ট স্পেশাল ফোর্সেস গ্রুপ (এয়ারবর্ন) একসাথে যুক্ত হয়েছে।’ এ চুক্তির কথাও সরকার জানায়নি। ১৪ নভেম্বর জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশস্থ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে।

ভারতের বার্তাও পরিষ্কার। ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা তলে তলে নয়, একবারে উপরে উপরেই জানিয়ে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গোলমাল তো এখানেই। দেশের বিরোধীমতের বেশিরভাগ দল চায় দলীয় সরকারের নয়, নিরপেক্ষ বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের তাগিদ সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার এতে কেয়ার করতে নারাজ। ভারতের সমান্তরালে চীনও চায় সংবিধানের আওতায় নির্বাচন। দেশটি সফর করে এসেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। আবার তিন দিনের শুভেচ্ছা সফর শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ। সরকার এতে অনেকটাই নির্ভার

এসব ঘটনা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণে গোটা পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে। স্থানিক রাজনীতিও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। প্রধানবিরোধী দল বিএনপি আর মাথা তুলতে পারবে না বলে সরকার নিশ্চিত। জাতীয় পার্টিকে আজ্ঞাবহ করে রাখার সব সরঞ্জামই আছে সরকারের কাছে। জামায়াত তিনভাগে টিকে আছে। বাদবাকি ইসলামিক দলগুলো বড় জোর দু’চারটা সিট চায়। আর বাম ঘরানা ইনু-মেননে যথেষ্ট। সিপিবি-বাসদসহ অন্য দলগুলোতে কিছু যায় আসে না। এমন সমীকরণে সরকার একদম নির্ভার। এ সমীকরণ শেষতক কতোটা মিলবে সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিষয়ে তার অবস্থান বদল করেনি বলে জানান দিচ্ছে বেশি বেশি করে। বলছে, তারা কোনো দলের পক্ষে নয়, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে। আর জনগণ চায় একটি সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াও তাই। ডোনাল্ড লু বড় তিন দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টিকে শর্তহীন সংলাপে বসার আলাদা চিঠি দিয়েছেন, এ চিঠি বিতরণের পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আবার ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রতিনিধিদের নিয়ে বাসায় একান্ত ভোজসভাও করছেন। পিটার হাস নতুন ঘটনা ঘটিয়েছেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দূতাবাসের সহকর্মীদের নিয়ে বাংলার মানুষের জন্য রক্তদানের মাধ্যমে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ও ফেসবুকে দূতাবাসের সহকর্মীদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের রক্তদানের একটি ভিডিও পোস্ট করে দূতাবাস। ভিডিও পোস্টটির বর্ণনায় বলা হয়, ‘সকলের স্বাস্থ্যের জন্য রক্তদান অপরিহার্য! ঢাকার দূতাবাসে আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমাদের দায়িত্বটুকু পালনের চেষ্টা করি। রক্তদান করুন, জীবন বাঁচান’। কূটনৈতিক ঘটনা হিসেবে এটি একেবারেই ভিন্ন মাত্রার। যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে মাত্রাগত দিক থেকে আরো ব্যতিক্রম ঘটনার জন্ম দিয়েছে রাশিয়া। অর্ধশতাব্দী পর চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ার রণতরী ভেড়ার ঘটনা কূটনীতির অন্যতম ঘটনা। তাও একটি নয়, রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের তিন তিনটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে।

ঢাকায় রুশ দূতাবাসের ফেসবুক থেকে তা পোস্টও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশে রাশিয়ার বন্ধুত্বের সফর। ৫০ বছর পর কেন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে বন্ধুত্বের জানান দেয়া লাগলো রাশিয়ার, প্রশ্নটি কূলকিনারাহীন। রাজনীতির এই কঠিন সময়ে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাশিয়ান নৌবাহিনীর বাংলাদেশ আগমনে বন্ধুত্বের উদ্দেশ্য এত সোজা ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করা কঠিন। তাও আবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন রাশিয়া ব্যস্ত। এর আড়ালে বাংলাদেশের উপর ভারত-চীনের ছায়াও আলোচিত। আর এ সবই ঘুরপাক খাচ্ছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে। বাংলাদেশের অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনগুলো ছিল ডমেস্টিক রাজনীতির ইস্যু। এবারও ব্যতিক্রম নয়। এবার নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে হাজির। সেই এজেন্ডায় রয়েছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অনেক বিষয়।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের গভীর বোঝাপড়ার সুবিধা আবারও অনিবার্যভাবে মিলবে বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগ। যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখবে না, এমন ঘোষণা অন্তত এবার কার্যকর হচ্ছে না বলে তথ্য আছে সরকারের কাছে। তা হচ্ছে, পরিস্থিতির প্রয়োজনে এবারও ভারতের চোখ দিয়েই বাংলাদেশকে দেখতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের, যার একতরফা বেনিফিসিয়ারি হবে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আবারো জেতার পর যাকে যেভাবে দরকার ম্যানেজ করে নেয়ার দাওয়াই তাদের ঠিক করা আছে বলে তথ্য ঘুরছে রাজনীতির আকাশে-বাতাসে এবং কূটনীতিতেও। মোটকথা এ নির্বাচনেও যে জনগণ বা ভোটাররা ফ্যাক্টর হবে না তা এরই মধ্যে অনেকটা পরিষ্কার। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত কী ভাবে? তারা কে কোনদিকে? এসব হন্যে হয়ে খোঁজার একটি কাঙালিপনা চলছে এখন রাজনীতির বাজারে। বাংলাদেশ কী ভাবে, সেই খোঁজ নিচ্ছে না কেউ-ই। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে এক হাত নেয়ার কাজে সরকার এখন আরো জোর পাচ্ছে। নানান কথাও রটাচ্ছে বেশ গর্বের সঙ্গে। দিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দেন দরবারের সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকেও ডেকে নেয়া হয়েছে এমন রটনা বাদ দেয়নি। তা মোটামোটি বিশ্বাসও করিয়ে ছেড়েছে। এর আগ পর্যন্ত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে, তাদের গভীর নজর আছে বাংলাদেশের দিকে। তারা খুব কাছ থেকে বাংলাদেশকে দেখছে, এমন কথাও বলেছে অহরহ।

বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধমক ছিল আরো কড়া। সম্প্রতি দেশে বিরোধী মতকে ধরপাকড়ের মাত্রা ও তীব্রতা নিয়ে ইইউ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। দূর থেকে-কাছ থেকে দুভাবেই দেখা এখন প্রায় শেষ। আবার বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্র হাফ ডান বা আধাআধি কাজ করে না। হয় পুরো কাজ করে, নইলে করেই না। গায়ে মাখে না। কিন্তু, বাংলাদেশ বিষয়ে তারা কেবল গা মাখেনি, একদম লেপ্টে ফেলেছে। এর বিপরীতে সরকারি তরফে নানা আজেবাজে মেঠো মন্তব্যসহ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের অবশিষ্টও রাখেনি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের জবাব কোমল-কুসুম। ঢাকায় তাদের একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত ও অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান দল রয়েছে জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি’। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতার পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিতে কষ্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। সরকারি দলের কারো কারো মধ্যে এ নিয়ে বিকৃত তৃপ্তিও লক্ষ করা গেছে।

দিল্লি আছে আমরা আছি। এ বার্তা সগর্বে আগেই দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরই মধ্যে চীনও সরকারকে অনেকটা ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছে। অন্তত ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের ম্যাসেজ এমনই। আসন্ন নির্বাচনের পরে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে আশা করে তিনি বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের ইঙ্গিত করেছেন। সেইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, চীনা বিনিয়োগকারীদের পছন্দের জায়গা হলো বাংলাদেশ। আরো বিনিয়োগের আশ্বাসও দেন তিনি। চীনের এমন ভূমিকা বিএনপিসহ বিরোধীদের জন্য বড় কষ্টের ও পীড়ার। কারণ, চীনই ছিল বিএনপির ঐতিহাসিক মিত্র। চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতিও দিয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মিতালির সূচনা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপির কিছু ভুলের সুযোগ নিয়ে সেই চীনকে আয়ত্ব করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের হিসাব ভিন্ন। তাদের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পরাশক্তি এখন শক্তের ভক্ত। সেই শক্ত-সামর্থ দেখানো অব্যাহত রাখলে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিমানের দিকেই আসবে এবং থাকবে। অবশ্য সেই তলের খবরটা এখনো অতলেই থেকে গেলো।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬

সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?

সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল

ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা