ডোনাল্ড লু’র প্রস্তাব নাকচ : আওয়ামী লীগের আত্মতৃপ্তি অন্যদিকে বিরোধীদের নতুন শক্তি সঞ্চয়
২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

যদি শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতির নিরিখে বিচার করা হয়, যদি সেখানে আদর্শের কোনো প্রশ্ন না থাকে, তাহলে বলতে হবে, নির্বাচনী রাজনীতির চ্যালেঞ্জ বাউটের এই রাউন্ডে আওয়ামী লীগ আপার হ্যান্ড পেয়েছে। অন্য পক্ষে অর্থাৎ বিরোধী দলের জন্য এটা তো শুধুমাত্র ক্ষমতার লড়াই নয়, এটি একটি আদর্শেরও লড়াই। সেজন্য বিএনপি বার বার বলে আসছে যে, বিএনপি এজন্য লড়াই করছেন না যে, আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হোক। বিএনপি অষ্টপ্রহর বলছে যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার তথা গণতন্ত্র, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি তথা আইনের শাসন ছিনতাই করা হয়েছে। এই ছিনতাইকাণ্ড করেছে আওয়ামী লীগ এবং সেটা করেছে ২০১১ সালে কেয়ারটেকার সরকার তথা ত্রয়োদশ সংশোধনী (সংবিধানের ১৩ নং সংশোধনী) বাতিল করে পঞ্চদশ সংশোধনী (১৫ নং সংশোধনী) অন্তর্ভুক্ত করে। এই ১৫ নং সংশোধনীর মাধ্যমেই জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়েছে। এখন যে লড়াইটি চলমান, সেটি ওই ছিনতাই হওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই। লড়াইয়ের এই বাউটে শুধুমাত্র বিএনপি নয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক শিবির তথা গণতন্ত্রকামী জনগণ পরাস্ত হয়েছে।
এটি কি সত্যিকারভাবে আওয়ামী লীগের সাময়িক বিজয়? নাকি তাদের জন্মলগ্নে প্রদত্ত অঙ্গীকারের পরাজয়? বোদ্ধা ব্যক্তিদের মতে, এই সাময়িক বিজয় আওয়ামী লীগের জন্য Self-defeating,, আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে They have
betrayed themselves. বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন যে, তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করছেন। তো সাধারণভাবে প্রশ্ন আসে যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কী ছিল? তিনি আজ যত কথাই বলুন না কেন, যারা শেখ মুজিবের বিভিন্ন জনসভায় প্রদত্ত বক্তৃতা শুনেছেন এবং পড়েছেন তারা জানেন যে, তার স্বপ্ন ছিল দুটি। একটি সাবেক পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের পরিপূর্ণ স্বায়ত্বশাসন অর্জন। শেখ মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের ধারণা সম্পূর্ণভাবে বিধৃত হয়েছে তার ৬ দফায়। তার দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল সাবেক পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
বস্তুত নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শের প্রধান স্তম্ভ বলা যায়। এ সম্পর্কে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে মহাকাব্য রচনা করা যায়। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই যে, আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য ছিল সেটি কয়েক লাইনে এভাবে লিপিবদ্ধ করা যায়: পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিষাক্ত বীজ উপ্ত হয়। শুরু হয় তৎকালীন গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদের আমল থেকে। তারপর জেনারেল ইসকান্দার মির্জা, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী এবং জেনারেল আইয়ুব খানের মাধ্যমে সেই বীজ মহীরুহে পরিণত হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ও স্টেটসম্যানকে যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে কয়েক বছর রাখা হতো এবং তার হাত দিয়ে যদি পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচিত হতো তাহলে ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হতো।
১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক নির্বাচন অর্থাৎ পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিধ্বস বিজয় লাভ করে যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্টে ২১ দফার অন্যতম প্রধান দফা ছিল নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। জেনারেল আইয়ুব খানের ১০ বছরের শাসনে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী, আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমেদ, আব্দুস সালাম খান এবং শেখ মুজিব প্রমুখের প্রধান লড়াইটাই ছিল প্রথমে গভর্নর জেনারেল, পরে প্রেসিডেন্টের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে নিখাদ সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। অন্যদের কথা বাদ দেই। এমনকি শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লেও সেটি জানা যায়।
॥দুই॥
বাংলাদেশেও জেনারেল এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে প্রধান দাবি ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এসব পুরাতন কাহিনী বলতে গেলে এই লেখাটি লম্বা হয়ে যাবে। অতি সংক্ষেপে বলতে গেলে ব্যাপারটি এই দাঁড়ায় যে, ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, যেটিকে তখন দেশে-বিদেশে ইংরেজিতে বলা হতো Restoration of Democracy.. সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয় বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। বেগম জিয়ার আমলে বিরোধী দল ছিল আওয়ামী লীগ। বেগম জিয়ার আমলেই জাতীয় সংসদে কেয়ারটেকার সরকারের বিল উত্থাপন করে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় সংসদে তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৮। যে কোনো কারণেই হোক, জামায়াতের এই বিলটি হিমাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ১৯৯৪/৯৫ সালে আওয়ামী লীগ কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭৩ দিনের হরতাল এবং অন্তত পক্ষে ২৫ জন সংগ্রামী নেতাকর্মীর জীবনের বিনিময়ে সেই কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আওয়ামী লীগ আদায় করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই ওয়াদা করেছিলেন যে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সারা জীবন থাকবে।
সেই কেয়ারটেকার ব্যবস্থা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে বাতিল করে। এটি মরহুম আব্দুল আলিমের অমর পল্লী সংগীতের প্রথম লাইনের মতো, ‘হাকিম হইয়া হুকুম করো/ওঝা হইয়া ঝাড়ো’। যে কেয়ারটেকার ব্যবস্থা, যে গণতন্ত্রের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এবং তাদের পূর্বসূরীরা জেল-জুলুমসহ নির্যাতনের স্টিম রোলার সহ্য করেছেন, সেই তাদের আমলেই আমরা এখন কী দেখছি? গণতন্ত্রের এ কী করুণ এবং বেহাল দশা! ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৮ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে যেতে থাকে। গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে তারা স্বৈরতন্ত্র এবং কর্তৃত্ববাদের দিকে কদম বাড়ায়।
আজ যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রশ্নে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে সেই আওয়ামী লীগকে প্রশ্ন করতে হয়, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে কমনওয়েলথের মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গভর্নর জেনারেল স্যার নিনিয়ান স্টিফেনকে কি মধ্যস্থতা করতে আনা হয়নি? তিনি কি দূত হিসেবে বাংলাদেশে এক মাস অবস্থান করেননি? বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ফার্নান্দেজ তারানকো কি বাংলাদেশে আসেননি? জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দূতিয়ালি করার জন্য নিশা দেশাই কি বাংলাদেশে আসেননি? ২০১৪ এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যখন নির্বাচন বর্জন করে তখন তাকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং কি বাংলাদেশে আসেননি? এই তো কয়েক মাস আগে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তিনি কি বলেননি যে, আর একটি মেয়াদের জন্য আপনারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দিন। এই প্রতিটি বিদেশি দূতিয়ালিতে কি আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেনি?
আজ তাহলে নিঃশর্ত ডায়ালগ বা আলোচনার কথা বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে আসামির কাঠগড়ায় উঠানোর চেষ্টা কেন? আজ সেই নিঃশর্ত ডায়ালগ বা আলোচনার পরামর্শ দিয়ে চিঠি লেখার জন্য আমেরিকার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুকে আসামির কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা কেন?
॥তিন॥
একটি কথা আজ স্পষ্ট করে বলতে চাই। নিরপেক্ষতা, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপ ইত্যাদি ব্যাপারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঠিক ও নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এলে সেটি হস্তক্ষেপ হয় না। কিন্তু পিটার হাস কথা বললে বা ডোনান্ড লু কথা বললে সেটি হস্তক্ষেপ হয় কেন? এটি আমার বা দৈনিক ইনকিলাবের কথা নয়। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, আমেরিকায় কাজ করা সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরসহ নাগরিক সমাজের অনেক সেন্সিবল ব্যক্তি বলছেন যে আমেরিকার সাথে বৈরিতা করা বাংলাদেশের উচিৎ হচ্ছে না। তারা বলছেন যে, এটি দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিশ^ রাজনৈতিক অঙ্গনে স্পষ্ট মেরুকরণ হয়েছে। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করছে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং তাদের অনুগত হাতে গোনা দু’চারটি রাষ্ট্র। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ নেয়নি, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দুনিয়া।
॥চার॥
নিঃশর্ত আলোচনা সংক্রান্ত ডোনাল্ড লুর প্রস্তাব পত্রপাঠ প্রত্যাখান করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, এই যুক্তিতে যে, আলোচনা করার মতো সময় এখন নাকি আর হাতে নাই। কিন্তু সেই আলোচনার প্রস্তাব তো শুধুমাত্র ডোনাল্ড লুর ১৪ নভেম্বরের পত্রেই দেওয়া হয়নি। গত মাসের ৩১ অক্টোবর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সিইসি হাবিবুল আউয়ালের সাথে দেখা করেন। তাকে তিনি যে প্রস্তাব দেন সেই প্রস্তাবটি বাইরে এসে সাংবাদিকদেরও বলেন। ওই প্রস্তাবে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন যে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির (ওরা ইংরেজিতে বলেছেন স্টেক হোল্ডার) মধ্যে নিঃশর্ত সংলাপ করুন। তারপর তো ১৪ দিন গড়িয়ে গেল। এই ১৪ দিন তারা কী করলেন?
॥পাঁচ॥
বাংলাদেশের রাজনীতির সাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় কেয়ারটেকার সরকারকেন্দ্রিক বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলনকে ঘিরে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় ২৮ অক্টোবর বিএনপির ১০ লক্ষ লোকের সভায় পুলিশি অভিযান করে পণ্ড করে দেওয়া এবং তারপর থেকে অবিরাম ও নির্বিচারে বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে। ৩ নং বিপদ সংকেত উত্তোলিত হয় ডোনাল্ড লুর চিঠিকে পত্রপাঠ নাকচ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ এবং সরকার যদি মনে করে থাকেন যে, ঘূর্ণিঝড় সরে গেছে, তাহলে ভুল হবে। এখনও কয়েকটি তারিখ বাকি আছে। একটি হলো ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। দ্বিতীয়টি হলো মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহরের শেষ ১৭ ডিসেম্বর। আর তৃতীয় তারিখটি হলো মনোনয়ন পত্র চূড়ান্ত হওয়া এবং ইলেকশন ক্যাম্পেইন শুরু করার তারিখ ১৮ ডিসেম্বর। কথায় বলে, চায়ের কাপ এবং ঠোঁটের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব আছে।
অন্যদিকে দীর্ঘ ৫ বছর পর বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যেকার জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করেছে (ডেইলি স্টার, ১৯ নভেম্বর)। আন্দোলনে শামিল হচ্ছে চরমোনাইয়ের পীরের ইসলামী আন্দোলন এবং খেলাফত মজলিশ। আলাদা মঞ্চ হলেও আন্দোলনে শরিক হয়েছে সিপিবির নেতৃত্বাধীন বাম জোট। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিএনপির জোট শরিকরা তো রয়েছেই। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ৭ জানুয়ারি ২০২৪। এখনও ৪৭ দিন বাকি। আমি বিখ্যাত কবি রবার্ট ফ্রস্টের চারটি কালজয়ী পংক্তি দিয়ে আজকের লেখাটি শেষ করছি।
The woods are lovely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep.
অনুবাদ: বনটি ঘন অন্ধকার এবং চমৎকার
কিন্তু আমাকে আমার ওয়াদা রাখতে হবে,
আমার ঘুম আসছে কিন্তু
আমাকে যেতে হবে অনেক পথ
আমাকে যেতে হবে অনেক পথ।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ঘুরে দাঁড়িয়ে লুটনের বিপক্ষে সিটির স্বস্তির জয়

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিত্যক্ত
বছরের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন গুলোকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো ৭ম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড

টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের সেবা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ

বিশ্বজুড়ে মানবিক বিপর্যয় রোধের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে গুজবে কান দিবেন না : কুমিল্লা সিভিল সার্জন

দেশে দেশে মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদে খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সরকার মানবাধিকারের চরম লংঘন ঘটিয়ে চলেছে : গণতন্ত্র মঞ্চ

গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে ‘কল্যাণ পার্টি’র নতুন কমিটি

আমেরিকার মদদে ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে

‘ইসরাইলকে সমর্থন করে বিশ^ব্যাপী মানবাধিকারের দীক্ষা দেয়া সংগত নয়’: ড. মশিউর রহমান

বিএনপি নেতা আমিনুল ও মজনু অসুস্থ মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি পরিবারের

মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার নীতির প্রতি অবিচল অঙ্গীকার ১৪ কূটনৈতিক মিশনের

ইসরায়েলি সেনাদের ব্যারাক উড়িয়ে দিল হিজবুল্লাহ

পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে চীনা ড্রোন উদ্ধার
ভারতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে ৩০০ কোটি রুপি জব্দ

লৌহজংয়ে পেঁয়াজের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সিএনজি চালকের বাড়িতে হামলা
পার্থ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন আবরার