ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

হামলা-মামলা নয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই সংকটের সমাধান দিতে পারে

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত আহ্বান উপেক্ষা করে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের পথেই হাঁটছে সরকার। নির্বাচন কমিশন তড়িগড়ি করে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে, অনিশ্চিত ও সংঘাতময় হয়ে পড়ছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন ব্যবস্থা প্রধানত দ্বিদলীয় বৃত্তে আবদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন নির্বাচনে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হয়, ভারতে বিজেপি ও জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে, তেমনি বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষপাত, পুলিশি দমন-পীড়ন, আদালত ও হামলা-মামলার মাধ্যমে একটি দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয় না। বিগত দুইটি এমন একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। এহেন বাস্তবতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে নিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনায় আস্থাশীল পরিবেশ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা উন্নয়ন অংশীদাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীমত দমন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্মূলের ধারাবাহিক তৎপরতার উপর নিজেদের জোরালো অবস্থান বার বার তুলে ধরার পাশাপাশি একটি অংশ্রগহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করার লক্ষে অনড় অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা দেশি-বিদেশি সব পক্ষের যৌক্তিক ও ন্যায্য চাওয়া ও দাবি উপেক্ষা করেই একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বহুমাত্রিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের পথে ধাবিত হচ্ছে দেশ।

আশা করা হয়েছিল, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে সরকার ও বিরোধীদল ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে। একটি রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ অবারিত হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মনোভাব বেপরোয়া ও অপরিনামদর্শী। ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশের একপ্রান্তে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতের ঘটনাকে ঘিরে পুলিশের অ্যাকশন অত:পর রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপি’র উপর ক্র্যাকডাউন, গণগ্রেফতার এবং সরকারি দলের নেতাদের সহিংস বক্তব্য ও আন্দোলনে সহিংসতা ও নাশকতামূলক ঘটনাগুলোকে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একটি একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পিত রোডম্যাপ বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর অতিউৎসাহী দলবাজ সদস্য বিরোধীদলের উপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে। সেই সাথে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য সমাবেশ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। মুখোশধারি-হেলমেটধারি সন্ত্রাসীরা বিরোধীদলের সমাবেশে, গণপরিবহনে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরীর চেষ্টা করছে। একদিকে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর অগ্নিসন্ত্রাসের দায় চাপানো হচ্ছে, অন্যদিকে বাসে আগুন ও বিস্ফোরকসহ সরকারিদলের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে হাতে নাতে ধরা পড়ছে। বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক, প্রত্যাশিত। গত দুইদিনে ঢাকায় মির্জা আব্বাসের বাসা, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরির বাসা, যশোরে সাবেক বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাসাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মুখোশধারি-হেলমেটধারি ব্যক্তিরা মোটর সাইকেলে এসে হামলা, বোমা বিস্ফোরণ ও কুপিয়ে হত্যা বা জখম করে পালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় হেলমেট ও মুখোশধারিরা এসব করছে বলে জোরালো অভিযোগ রয়েছে। গতকাল প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে গত কিছুদিনে ৯৩জন বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলার কথা বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-মামলায় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার ও লাখ লাখ নেতাকর্মী আত্মগোপণে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারিদল ও দলবাজ প্রশাসন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করছে। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক মামলায় তড়িগড়ি করে শত শত বিএনপি নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীকে কারাদন্ড দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পন্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গত তিনমাসে ২৬ মামলায় ৪১১জন বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে এবং এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘ আবারো বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার আহ্বান জানিয়েছে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পক্ষে সম্ভাব্য সব উপায় অবলম্বনের দৃঢ় ঘোষণা পুর্নব্যক্ত করেছে। সংলাপ-সমঝোতার উদ্যোগ অগ্রাহ্য করা এবং এক তরফা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারণে ভিসানীতি, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মত কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে দেশের তৈরী পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিরোধীদলের ধারাবাহিক আন্দোলন ক্রমে জোরালো হয়ে উঠার সাথে সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটও ঘনীভূত হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট(পিআরআই) আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করেছে। তারা বলছে, রাজনীতি ঠিক না থাকলে অর্থনীতি ঠিক থাকবে না। রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও নওগা জেলাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হেলমেট ও মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে হামলা ও হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। গতকাল নিউএজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, জামায়াতে ইসলামির পক্ষ থেকে সোমবার এক রাতেই এ ধরনের ২০টি বাড়িতে হামলার ঘটনার তথ্য জানা যায়। রাস্তায় পুলিশের সতর্ক পাহারার মধ্যে মাইক্রোবাস ও মোটরবাইকে এসে মুখশধারী ব্যক্তিরা এলোপাথারি কুপিয়ে, মারাত্মক জখম করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে। এ এক ভয়ানক পরিস্থিতি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল ছাড়া দেশের রাজনৈতিকÑঅর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ কথা অনস্বীকার্য যে, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব। দেশের মানুষের গণদাবি, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর তাগিদ উপেক্ষা করে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের ধকল সামলানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। দশম ও একাদশ নির্বাচনের মত নির্বাচন করে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক দমন-পীড়নের পাশাপাশি শ্রমিকদের আন্দোলন দমনের পুলিশি বলপ্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা এবং সহিংস ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণে এনডিআই ও আইআরআই-এর সমন্বয়ে একটি মার্কিন বিশেষজ্ঞ টিম নির্বাচনের আগে-পরে দেড় থেকে দুইমাস অবস্থান করবে বলে জানা যায়। দেশের মানুষ, জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের কারণে সম্প্রসারিত ভিসানীতির পাশাপাশি কোনো অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হবে। এ ধরনের আশঙ্কা পরিহার করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের আস্থাশীল পরিবেশ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ অফিসার নিহত অপর এক ঘটনায় নিহত ২

ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ অফিসার নিহত অপর এক ঘটনায় নিহত ২

আখাউড়ায় রেলওয়ের জায়গা থাকা ৪০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আখাউড়ায় রেলওয়ের জায়গা থাকা ৪০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬

সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?

সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে