যেকোনো সৃজনশীল কাজ আত্মতুষ্টির পাশাপাশি অন্য যে কাউকে আনন্দ অথবা উপার্জনের পথ বাতলে দেয়। হোক সেটা গান, আবৃত্তি, নাচ, কবিতা/ছড়া লেখা কিংবা আবিষ্কারের মতো সৃজনশীল কর্ম। আবার আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক কাজ যেমন- ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওসহ আরও বহুবিধ কাজ করছেন। এসব কাজ বিনোদনের পাশাপাশি রুজি-রোজগারেরও একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই আবার উদ্যোক্তা হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমাদের চারদিকে দৃষ্টি দিলে এমন হাজারো স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীকে দেখতে পাই। যারা তাদের নিজস্ব প্রতিভা কাজে লাগিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অপরকে তার কাজের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসব স্বপ্নবাজ উদ্যোমী মানুষদের আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন একটু উৎসাহ এবং মানসিক সাপোর্ট। পরিবার, সমাজ, বন্ধুবান্ধবসহ চারপাশের সবার ভরসা এবং সামান্য অনুপ্রেরণা তাদের কাজকে আরও ত্বরান্বিত করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এসব স্বপ্নবাজদের কাজে উৎসাহ প্রদান না করে বরং তাদের নানাভাবে উপহাস করা হয়। তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং হেয় প্রতিপন্ন করে বিভিন্ন প্রকার কটাক্ষ করা হয়। গায়ক, কবি সাহেব, আবৃত্তিকার, লেখক, উদ্যোক্তা, ইউটিউবারসহ নানা শব্দে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়। এর ফলে তারা তাদের কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। অনেকে তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যান। কেউ কেউ হীনমন্যতা এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন। ফলস্বরূপ একটি সম্ভাবনাময় স্বপ্নবাজের স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এসব স্বপ্নবাজ উদ্যোমী মানুষদের উপহাস না করে একটু উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।

মো. সুমন ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।