ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

একদলীয় গণতন্ত্রের পথে দেশ

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যে একতরফা হয়েছে, তাতে দ্বিমত নেই। সরকার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য ব্যাপক সেনা, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করেছিল কয়েকদিন আগেই। তবুও নির্বাচনে সহিংসতা ও খুন-জখম হয়েছে অনেক। বিভিন্ন কারণে বহু প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। জাপারও অনেক প্রার্থী ঠিকমতো টাকা না পাওয়ার অভিযোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই। কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগে অনেক মানুষ নিহত-আহত হয়েছে। নির্বাচনের প্রচারকালে বিভিন্ন স্থানে অনেক সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, অফিস ভাঙচুর, আচরণবিধি লঙ্ঘন ইত্যাদি হয়েছে আ’লীগে ও তার ডামি প্রার্থীদের মধ্যে। ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য আ’লীগের লোকরা ব্যাপক তৎপরতা ও প্রচারণা চালিয়েছে। এমনকি ভোট দিতে না গেলে সব সুবিধাভাতা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল অনেকেই। এসব কর্মে একটি বিশেষ মহলের তৎপরতা ছিল বেশি। তবুও নির্বাচনের কোনো আমেজ তৈরি হয়নি অতীতের মতো। এ নির্বাচন নিয়ে যেটুকু কথা-বার্তা হয়েছিল, তার মধ্যে বেশি হয়েছিল সংসদের বিরোধী দল হবে কে তা নিয়ে! তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন নিয়ে জনমনে ব্যাপক শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। বহুদিন থেকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও জাতিসংঘ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে এলেও সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকেই এগিয়েছে। তাতে মদদ দিয়েছে ভারত, চীন ও রাশিয়া ।

নির্বাচনের দিন অবশ্য মারাত্মক কোনো অঘটন ঘটেনি। খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে। জাল ভোট, কেন্দ্র দখল করে সিল মারা ইত্যাদি কিছু হয়েছে। নির্বাচনের দিন নির্বাচন বর্জনকারীদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি! নির্বাচনোত্তরও কিছু সংঘর্ষে নিহত-আহত হয়েছে অনেক। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো নির্বাচন সংক্রান্ত অনেক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ‘অসুস্থ গণতন্ত্রের বাংলাদেশে একপক্ষীয় নির্বাচন।’ সিএনএন বলেছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ নির্বাচনের দিন বিবিসি বলেছে, ‘স্বল্প ভোটার উপস্থিতি এবং বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-সহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।’ নির্বাচনের শেষ দিকে এসে জাপাসহ বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচন কমিশন অবশ্য বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে অনিয়মের অভিযোগে নয়টি আসনের ২১ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, আ’লীগের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমরা যেটা আশঙ্কা করছি সেটা হলো, আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয় কি না তা নিয়ে আমরা একটু শঙ্কিত।’ একই দিন জার্মান বেতারে প্রকাশ, সিইসি সকালে ঢাকার এক কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বলেন, নৌকার পক্ষের পোলিং এজেন্ট ছাড়া বাকী প্রার্থীদের কোনো লোকজন দেখতে পাইনি। হয়তবা তাদের পোলিং এজেন্ট দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ঢাকার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি একদমই কম, কর্মী-সমর্থক বেশি। গার্ডিয়ানের রিপোর্ট, এমন এক নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হলেন, যে নির্বাচনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া দমনপীড়ন ও কম ভোটার উপস্থিতির ছায়া পড়েছে। রয়টার্সের রিপোর্ট, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বেলা ৩টায় ভোট পড়ার হার ছিল ২৭.১৫%। অথচ, এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই হার ছিল ৮০ শতাংশের বেশি। অন্য খবরে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেন, বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় সারা দেশে গড়ে ২৭% ভোট পড়েছে। সিইসি বেলা ৫.৩০টায় প্রথমে বলেন, ভোটের হার ২৮%, পরে সংশোধন করে বলেন, প্রায় ৪০% হয়েছে। আবার পরের দিন তিনি বলেন, ভোটের হার হয়েছে ৪১.৮%। ইসির তথ্য মতে, শেষ এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৪.৮৪%। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, দু’নম্বরী ভোট না পড়লে কাস্টিং ভোটের হার ১০-১২% হতো। আল জাজিরার খবরে প্রকাশ, ‘বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করা ও নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকায় সরকারি হিসাবে শতকরা ৪০ ভাগ ভোট পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে’। প্রাক্তন ইসি ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এটাকে ইলেকশন বলা যাবে না, সিলেকশন হয়েছে। ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেছেন, এ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা ছিল না, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছিল না। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ‘সঠিক’ নির্বাচন হয়নি। এটি সরকারের ইচ্ছানুযায়ী একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ছিল। এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবে না, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা যেটা ছিল, সেটাও থাকবে না। স্মরণীয় যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণে হয়েছিল। উপরন্তু নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল।

নওগাঁ-২ আসনের এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সে আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ওই আসনের ফলাফলও স্থগিত রয়েছে। তাই শেষাবধি ২৯৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। তাতে আ’লীগ ও শরীকরা ২২২, জাপা ১১, স্বতন্ত্র ৬২ ও অন্যান্য ৩ জন জয়ী হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৯২ জন নারী প্রার্থী ছিলেন। তন্মধ্যে জয়ী হয়েছে ১৯ জন (আ’লীগের ১৫ ও স্বতন্ত্র ৪ জন)। মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৮৫২ জন। অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৮। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৯৭০। তন্মধ্যে স্বতন্ত্র ৪৩৬।

ইসি আলমগীর বলেছেন, খুব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং ভারত, রাশিয়া, চীনসহ ৩০টি দেশ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য আ’লীগ ও তার নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তবে, ভরতের শিবসেনা দল বলেছে, একতরফা নির্বাচনে হাসিনার দল আবার ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো এ নির্বাচনকে পাতানো ডামি নির্বাচন বলে প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচন দাবি করেছে।

কিছুদিন আগে প্রকাশিত এই কলামে বলেছিলাম, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদের সরকারি দল হবে আ’লীগের এ টিম আর বিরোধী দল হবে আ’লীগের বি টিম তথা ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে দেশে নবতর গণতন্ত্রের প্রবর্তন হবে। আমাদের সে ভবিষ্যৎবাণী সঠিক হয়েছে। এখন দেখার পালা সংসদের বিরোধী দলের নেতা কে হন।

যা’হোক, দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন যেভাবেই হোক সম্পন্ন হয়েছে। এখন নতুন সংসদ ও সরকারের যাত্রা শুরু। ইতোমধ্যেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন। আজ নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। চীন ও ইইউ বলেছে, তারা নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। নতুন সংসদের যাত্রা শুরু হবে অচিরেই। কিন্তু নয়া সরকারকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, যার অন্যতম হচ্ছে: রাজনৈতিক সংকট, ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি, ব্যাপক বেকারত্ব, গণতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন ইত্যাদি। ইতোমধ্যেই নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো নির্বাচনোত্তর আন্দোলন শুরু করেছে। অবশ্য, এই সংকট মোকাবেলার জন্য অতীতের ন্যায় দলীয়করণকৃত প্রশাসন ও পুলিশই যথেষ্ট। ব্যাপক হামলা-মামলা ও কারাদ- দিয়ে বিএনপিকে অনেকটা দুর্বল করা হয়েছে। আগামীতে দিন-রাত আদালত বসিয়ে দ্রুত গতিতে বিচার কার্য চালিয়ে বাকীদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদ- ও নাশকতার মামলায় আসামি করে দলটির মেরুদ- ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। জামায়াতের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। বামপন্থীদের অবস্থা তেমন শক্ত নয়। বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই সীমিত। কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের অবস্থাও তথৈবচ। এভাবে সরকার বিরোধী তৎপরতা দমন করার চেষ্টা করবে, এমন মত অনেক পর্যবেক্ষকের। অপরদিকে, আ’লীগ রাজনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করবে। জাতীয় সংসদ চলবে আ’লীগের এ টিম ও বি টিম তথা স্বতন্ত্রদের নিয়ে (৬২ জন স্বতন্ত্রের মধ্যে ৫৮ জন আ’লীগের)। তাই যে কোনো বিল বা সিদ্ধান্ত ভোটে দেওয়ার সাথে সাথে হ্যাঁ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হবে সংসদ ভবন। সাথে সাথে স্পিকার বলবেন, হ্যাঁ ভোট জয়যুক্ত হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও সংসদে পাশ হওয়া বিল পাওয়ার সাথে সাথেই তাতে সাক্ষর করবেন। তার পর বিলটি আইনে পরিণত হয়ে কার্যকর হবে। এভাবে সংসদ ও সংসদের বাইরে একদলীয় গণতন্ত্রের কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত হবে, যা প-িতদের ভাষায় বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণের পালা শুরু হবে। অবশ্য, সৃষ্ট ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট দূর করা কঠিন। কারণ, অর্থনৈতিক প্রায় সব সূচকেই চলছে অধোগতি, যা থেকে উত্তরণ সহজতর নয়। সর্বোপরি দেশের ঋণের পরিমাণ বেড়ে জিডিপির প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ঋণের বার্ষিক কিস্তি ও সুদ পরিশোধের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কিন্তু এখনই ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে নতুন করে ঋণ করতে হচ্ছে। তবুও ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তাই আগামীতে বাড়ন্ত কিস্তি ও সুদ পরিশোধ হবে কীভাবে তা নিয়ে শংকিত পন্ডিতরা। খেলাপী ঋণের ভারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যুজ্ব হয়ে পড়েছে। শেয়ার বাজারের অবস্থাও তথৈবচ। এ অবস্থায় অর্থনীতির সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন। জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধ করতে বন্ড ছাড়তে হয়েছে। আগামীতে আরো কিছু পণ্যের বকেয়া পরিশোধ করতে আরো বন্ড ছাড়তে হতে পারে। অপরদিকে, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আয় বৈষম্য, মাদক, দূষণ বন্ধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার পরিধি ও কর জিডিপির হার বৃদ্ধি করা জরুরি।

নতুন সরকারের দ্বিতীয় বড় সংকট হচ্ছে: গণতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন। তাদের কাক্সিক্ষত নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্থলে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। এটাকে তারা কীভাবে নেবে তা এখনই বলা কঠিন। তাদের মনোভাব নেতিবাচক হলে তা ভারত, চীন ও রাশিয়ার দ্বারা মোকাবেলা করা কঠিন। কারণ, এই পক্ষ দিয়ে আমাদের আয় হয় সামান্য। আর বিপরীত পক্ষ দিয়ে আমাদের আয় হয় অনেক। যেমন: ঋণ, অনুদান, বিনিয়োগ, শিক্ষা, রেমিটেন্স ইত্যাদি আসার সুবিধা সর্বাধিক এবং আমাদের গার্মেন্টের প্রধান ক্রেতা তারা। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া, জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র সোটো নিনো বলেছেন, বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা দেখেছে জাতিসংঘ। কী ঘটছে অব্যাহতভাবে তা অনুসরণ করছেন সংস্থার মহাসচিব। বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তও তিনি আমলে নিয়েছেন। উপরন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার বলেছেন, বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের অনেকেই এ নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। এ প্রেক্ষিতে তারা কোনো অ্যাকশনে যায় কি-না সেটাই ভাবনার বিষয়।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে

১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল

ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা

মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা

বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস

বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস

বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা

বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা