ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ইসরাইলের সামনে কুমির, পেছনে বাঘ

Daily Inqilab ড. মো. কামরুজ্জামান

২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম

যেদিন লেখাটি প্রস্তুত করছি সেদিন গাজা যুদ্ধের তিন মাস দশ দিন পার হলো। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে অতর্কিত এক হামলা পরিচালনা করে। এ হামলায় হাজারের অধিক ইহুদি মৃত্যুবরণ করে। ওইদিন হামাস যোদ্ধারা ২৫০ জন ইসরাইলি সৈন্য ও নাগরিককে অপহরণ করে ইসরাইল থেকে গাজায় নিয়ে যায়। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল ওইদিনই গাজায় তিন লাখ সৈন্য মোতায়েন করে। গাজাকে চারিদিক দিয়ে ইসরাইল ঘিরে ফেলে। একই সাথে ইসরাইল আকাশ থেকে বিমান হামলা শুরু করে। আজও ইসরাইলের সেই বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। অসম এ যুদ্ধে শুধু নিহত হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনি। প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মুসলিম ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২০ হাজার হলো শিশু ও নারী। যুদ্ধরত একজন হামাস সদস্যকেও কোনো ক্ষতি তারা করতে পারেনি। হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার, যারা মাটির উপরে কখনও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেনি। তারা বেসমরিক গোষ্ঠি বলেই পরিচিত। পশ্চিমা বিশ^ আর তাদের অনুচরবৃন্দ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি বলে অপবাদ দেয়। এটি একটি বিস্ময়ের ব্যাপার যে, ৩০ হাজার বেসামরিক হামাস যোদ্ধা যুদ্ধ করছে বিশে^র অন্যতম শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে! শুরুতে বিষয়টি ছিল ইঁদুর আর বাঘের মধ্যে যুদ্ধের মতো। হামাসকে মনে করা হতো ইঁদুর। সেই ইঁদুরেরাই বাঘের বিরুদ্ধে সমানে লড়াই করে যাচ্ছে আজও। দিন যত গড়াচ্ছে দৃশ্যপটের পরিবর্তন হচ্ছে। বাঘই যেন আজ ইঁদুরের অবস্থানে চলে এসেছে। আর ইঁদুর অবস্থান নিয়েছে বাঘের জায়গায়। গাজার চারিদিকে মোতায়েনকৃত ইসরাইলি সৈন্যরা ভয়ে রীতিমতো গর্তে ঢুকার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই তারা কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে। তারা বিমান হামলা করে শুধু নিরীহ শিশু ও নারীদের হত্যা করে চলেছে। ২৩ লাখ মুসলমানের মধ্যে ২০ লাখ মানুষকেই তারা বাস্তচ্যুত করেছে। বাস্তচ্যুত মুসলিমগণ শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সেখানেও তারা নিরাপদ নয়। কারণ, জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত শরণার্থী শিবিরেও ইসরাইল হামলা করে কাপুরুষতা উদযাপন করছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসেও তারা একজন হামাস সদস্যেরও সন্ধান করতে পারেনি। ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে মুমিন হৃদয়ে তাবুক, হুনায়েন আর মুতার দৃশ্যপটটাই ভেসে ওঠে। গাজা পৃথিবীর ক্ষুদ্র ও অখ্যাত এক উপত্যকা, যার আয়তন মাত্র ১৭ বর্গমাইল। জনসংখ্যা ২৩ থেকে ২৫ লাখ। সেখানে কোথাও বন্দি করে রাখা আছে ইসরাইলি ২৫০ নাগরিক। অথচ, পৃথিবীর সেরা চৌকস বাহিনী বন্দিদের একজনকেও উদ্ধার করতে পারেলো না!

স্থলপথে ইসরাইলের সেনারা হামাসের কাছে চরমভাবে মার খেয়েছে ও খাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, প্রতিদিনই ইসরাইল গাজায় নতুন নতুন হামলার শিকার হচ্ছে। যুদ্ধে ফিরতে ইসরাইল নিত্যদিন নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। প্রতিদিন ইসরাইলের অপেক্ষাকৃত চৌকস এলিট ফোর্স গাজায় মোতায়েন করছে। কিন্তু তারা কিছুতেই কিছু করতে পারছে না। হামাসের কৌশলের কাছে তারা বারবার হেরে যাচ্ছে। অধিকন্তু প্রতিদিন ইসরাইলের শত শত সামরিক কমান্ডার হামাসের হামলায় মৃত্যুবরণ করছে, নয়তো পঙ্গু হচ্ছে। যারা মনে করছিল, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে নির্মূল করে গাজার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেবে, তারা আজ চরম হতাশায় ভুগছে। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন মাসে তাদের অর্জন শূন্য। তারা এখন হতাশা আর ব্যর্থতার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। ইসরাইলের ব্যর্থতা আর কাপুরষতার খবর এখন গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যারা অস্ত্র শক্তির বলে মধ্যপ্রাচ্যকে ভেড়া বানিয়ে ফেলেছিল তারা আজ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করছে। স্মর্তব্য এই যে, গাজার তিনদিকে ইসরাইল আর এক দিকে সাগর। গাজায় কোনো সাহায্য আসতে হলে ইসরাইলের অনুমতি লাগে। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস যাবত গাজা একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। শিশুদের ঘাস ও বালু খেতে দেখা গিয়েছে। গাজার ৩৬টি হাসপাতাল ইসরাইল ধ্বংস করেছে। এ মুহূর্তে গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তথাপিও ইহুদিরা গাজায় কোনো খাবার ও ওষুধ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এক খবরে প্রকাশ, ইসরাইলের হামলায় ইসরাইলের বন্দিরাই আহত হয়েছে। নেতানিয়াহু এ খবর জানতে পেরে কাতারের মাধ্যমে বন্দিদের জন্য ওষুধ পাঠাতে ব্যকুল হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিবলে বন্দিরা ওষুধ পাবে। অথচ, ইসরাইলি কারাগারে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। কিশোর অবস্থায় যাদের বন্দি করেছে তারা আজ বুড়ো হয়ে গেছে। তারপরও তারা মুক্তি পায় না। তাদের ইসরাইলের সামরিক আদালতে বিচার করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে ন্যূনতম মানবিক আচরণ করা হয় না। নারী বন্দিদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে ইহুদিদের কোনো মানবিকতা প্রকাশ পায় না। এসব কারণেই পৃথিবীর কোথাও ইহুদিরা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেনি। কারো সাথে তারা মিলেমিশে বাস করতে পারেনি। অবশেষে তারা উড়ে এস জুড়ে বসেছে মধ্যপ্রাচ্যে।

যাহোক, ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষকরা এ যুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত পরাজয় উপলব্ধি করছে। আমরিকার সাবেক ও বর্তমান সামরিক বিশ্লেষকরাও একই মত পোষণ করেছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ্যন্টনি জে. ব্লিঙ্কেন দ্বিরাষ্ট্রতত্ত্বের বিষয়টি বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছেন। তার কণ্ঠে ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার বিষয়টিও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ইসরাইলের এ পরাজয়ের গ্লানি নেতানিয়াহু কোনোভাবেই মানতে পারছে না। লজ্জায় আর অপমানে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। ইসরাইলের প্রভু আমেরিকার নির্দেশ নেতানিয়াহু অগ্রাহ্য করে চলেছেন। আমেরিকা যুদ্ধ থামাতে চাপ দিলেও নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে চাইছেন না। যুদ্ধে জয়ী হতে আমেরিকার কাছে নেতানিয়াহু আরো ছয় মাস সময় চাইছেন। স্থলপথে ইসরাইলি সৈন্যরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে ইসরাইলের পঞ্চাশ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে। ভীত-সন্ত্রস্ত ৫০ হাজার ইসরাইলি সৈন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার সৈন্য পলায়ন অব্যাহত রেখেছে। তাদের ৩০ হাজার সৈন্য পাগল হয়ে গিয়েছে। ইসরাইলের হাসপাতালগুলোতে পাগল রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে হাসপাতালে আসন সংকট দেখা দিয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকে রাফাহ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরাইলের ২৫ হাজার সৈন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছে। কারো হাত, কারো পা, চোখ, কান ইত্যাদি উড়ে গেছে। কেউবা বাকহীন বোবায় পরিণত হয়েছে। যারা আর কখনও যুদ্ধে ফিরতে পারবে না। সংক্ষিপ্ত এ আলোচনায় এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, পৃথিবীর নির্যাতিত, অস্বীকৃত ও অখ্যাত অতিশয় এক দুর্বল গোষ্ঠির কাছে নাকানি চুবানি খেয়েই চলেছে বিশ^মোড়ল আমেরিকা ও তার দোসররা। পৃথিবীর কোনো একটি মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে না। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না সেটা নিয়ে এর আগে একটি নিবন্ধে আমি উল্লেখ করেছি। আজ নতুনভাবে আরেকটি কারণ আমি উল্লেখ করতে চাই। পৃথিবীতে ইসরাইল ছাড়া ইহুদিদের দ্বিতীয় কোনো রাষ্ট্র নেই। এ রাষ্ট্র রক্ষায় তারা সবকিছু করেছে ও করে যাচ্ছে। ইসরাইল যেহেতু মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দ্বারা বেষ্টিত, তাই এক্ষেত্রে তাদের প্রথম টার্গেট হলো মুসলিম রাজা-বাদশাহ। তাদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র নষ্ট করাই ইহুদিদের প্রথম ও একমাত্র টার্গেট। এ টার্গেট বাস্তবায়ন করতে ইহুদিরা সাগরের মধ্যে অনেক দ্বীপ ক্রয় করেছে। সেসব দ্বীপে ইহুদিরা নানা ধরনের প্রমোদনগরী স্থাপন করেছে। এসব প্রমোদনগরীতে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিনোদনের সকল উপাদান নিশ্চিত করেছে। এসব নগরীতে নির্মিত হয়েছে মনমাতানো আর চোখজুড়ানো অসংখ্য টাওয়ার। সুন্দরী ললনা, কিশোরী নারী ও পৃথিবীর সেরা সুস্বাদু মদের সাপ্লাই সেন্টার হলো এসব টাওয়ার। মুসলিম রাজা-বাদশাহগণ এসব স্থানে নিয়মিত প্রমোদভ্রমণে যান। সেখানে তারা মাসের পর মাস অতিবাহিত করেন। ভ্রমণের নামে পাপের স্বর্গে মত্ত থাকেন মুসলিম রাজা-বাদশাহগণ। আর এসব কুকর্ম গোপনে ভিডিও করে রাখে ইহুদিরা। এসব রাজা-বাদশাহ যখনই ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তখনি এসব ভিডিও তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে। এসব পাপের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ২৫টি রাষ্ট্রের প্রায় সবাই ফিলিস্তিন বিষয়ে নিরবতা পালন করে। আবার কেউ কেউতো সরাসরি ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করে।

তবে সম্প্রতি ইরান, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাক ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভূমিকা রেখে চলেছে। ইরান সমর্থিত ইয়ামেনি হুথিরা লোহিত সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে। ফলে লোহিত সাগরে ইসরাইল এবং তাদের মিত্র শক্তির সকল জাহাজ গমনাগমন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হুথিরা ইসরাইলগামী পণ্যবাহী জাহাজে প্রায়ই হামলা করছে। অত্যাধুনিক বোট দিয়ে গোটা সাগরে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক জাহাজকে আটক করেছে। উপায়ান্ত না পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন ইয়েমেনে বিমান হামলা করেছে। জবাবে হুথিরা ইঙ্গ-মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শপথ গ্রহণ করেছে।

ইউরোপ ও আমেরিকার সাথে ইসরাইলের যাবতীয় আমদানি রফতানি থমকে গেছে। আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরাইলে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ^ব্যাপী অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ১৯২৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরের নিয়ন্ত্রক ছিল ইসরাইল, আমেরিকা ও ইউরোপ। বর্তমানে সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইয়েমেনি নৌবাহিনী। লেবাননি হেজবুল্লাহ, সিরিয়া এবং ইরাকি মিলশিয়াদের ভূমিকাও ব্যাপক প্রশংসার দাবি রাখে। এ বাহিনীগুলো একযোগে ইসরাইলে হামলা শুরু করেছে। চতুর্মুখী হামলায় ইসরাইলের বিভিন্ন শহর বর্তমানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। ইসরাইলের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রাণভয়ে ইসরাইলের সাধারণ নাগরিক বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভয়ে বাংকারে অবস্থান করছে। যুদ্ধে নেতানিয়াহুর ভাতিজা যিনি ছিলেন একজন চৌকস সামরিক কমান্ডার, নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের আগামীর সেনাপ্রধানেরও মৃত্যু ঘটেছে।

এ যুদ্ধে ইরান সরাসরি জড়িয়ে গেছে বলা যেতে পারে। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনকে সকল প্রকার অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে ইরান। অন্যদিকে তুরস্ক যাবতীয় কূটনৈতিক সহযোগিতা করে চলেছে। মোসাদের দুর্ধর্ষ ৩০ জন এজেন্টকে তুরস্ক সরকার গ্রেফতার করেছে। ইরাকে অবস্থিত ইসরাইলের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টার ও আমেরিকার কনসুলেট ইরানের মিসাইল হামলায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। এখানে নিয়োজিত বহু ইসরাইল ও আমেরিকার সৈন্য নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইরান থেকে ইরাকে অবস্থিত ইসরাইলের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টারের দূরত্ব ১২শ’ কিলোমিটার। আমেরিকা ও ইসরাইলের স্যাটেলাইট ইমেজ ফাঁকি দিয়ে ইরান এ হামলা পরিচালনা করেছে। ইরান থেকে ইসরাইলের দূরত্ব দুই হাজার তিনশত এগারো কিলোমিটার। এই দূরত্বেও সফল ও নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে শতভাগ সক্ষম ইরান। ইসরাইলের অবস্থা এমন যে, তার সামনে এখন কুমির আর পেছনে বাঘ। যুদ্ধ চালাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে ইসরাইল। সুতরাং বলা যায়, হামাসের হাত ধরে ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক: অধ্যাপক, দা‘ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে