পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সামরিক এবং বেসামরিক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের চাঞ্চল্যকর কাহিনী
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম
একটি বিষয় ভাবতে অবাক লাগে যে, পবিত্র ইসলামের ল্যাবরেটরি হিসেবে যে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পাকিস্তান আজ মারাত্মক সমস্যায় ক্ষত-বিক্ষত। যে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তার শৌর্যবীর্যের জন্য সমগ্র মুসলিম জাহানে ছিল সমাদৃত ও সম্মানিত, সেই পাকিস্তান প্রধানত সামরিক বাহিনীর জন্যই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। বিভক্তির দ্বিতীয় দেশটি হলো বাংলাদেশ। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো শিক্ষা হয়নি। আজ বেলুচিস্তানে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠি, প্রতিবেশীদের মদদে হলেও, বিচ্ছিন্নতার ক্ষীণকণ্ঠ আওয়াজ তুলেছে। পাকিস্তানের বৃহৎ প্রতিবেশী প্রধানত তিনটি দেশ। এগুলি হলো ভারত, আফগানিস্তান এবং ইরান। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে আফগানিস্তান, যেখানকার নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠি হলো পশতুন বা পাঠান। তেমনি পাকিস্তানেও সাবেক উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বা বর্তমান খাইবার পাখতুনখোয়ার সমস্ত অধিবাসী পাঠান। অন্যদিকে পাকিস্তানের পশ্চিমাংশে রয়েছে বেলুচিস্তান। তারা নৃতাত্ত্বিকভাবে বেলুচ। তেমনি ইরানেও পাকিস্তানের বেলুচিস্তান সন্নিহিত প্রদেশের নাম সিস্তান বেলুচিস্তান। এই প্রদেশের অধিবাসীরাও নৃতাত্ত্বিকভাবে বেলুচ। ইরানের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক আপাত মধুর। কিন্তু বেলুচ বিদ্রোহ মাঝে মাঝে দুই মুসলিম দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করে। আফগানিস্তানে তালেবানদের পাকিস্তান সব সময়ই সাহায্য করেছে। এজন্য মুসলিম জাহানের অনেকে পাকিস্তানের প্রশংসা করেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করেন তখন ২০ বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হন বীর আফগানরা। এজন্য প্রথম দিকে আফগানিস্তানের সাথে দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানের অত্যন্ত সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এখন সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ আফগানদের পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করে সীমান্তের ওপারে পাঠানোর কারণে আফগান্তিানের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
ভারতের সাথে সম্পর্ক টানাপোড়েন নয়, রীতিমত বৈরীতাপূর্ণ। অবশ্য এই বৈরীতার কারণ পাকিস্তান বা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নয়। এর কারণ কাশ্মীরের পাকিস্তনভুক্তি ছিল ন্যায্য দাবি। সেখানে কাশ্মীরের দুই তৃতীয়াংশ ভারত ব্রুট মিলিটারি ফোর্সের সাহায্যে আজ ৭৫ বছর হলো দখল করে আছে। কঠোর বাস্তবতা হলো এই যে, পাকিস্তানের সব সীমান্তেই এখন অবস্থিত বৈরী প্রতিবেশী। এটি অবশ্যই যে কোনো স্বাধীন দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
চার দিকের প্রতিবেশী যখন বৈরী তখন দেশটির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হলো জনগণ। পাকিস্তানে বর্তমান জনসংখ্যা হলো ২৪ কোটি। এই বিশাল জনগোষ্ঠিই হলো পাকিস্তানের সম্পদ।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পশ্চিম পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ। পূর্ব বাংলার (১৯৫৬ সালের পর থেকে নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান) জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪০ লাখ। ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল প্রায় ৫ কোটি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭টি আসন। পক্ষান্তরে পশ্চিম পাকিস্তানের সবগুলি দল সম্মিলিতভাবে পায় ১৪৬টি আসন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নাই, বরং সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। সুতরাং গণতন্ত্র বলুন আর আইনের শাসন বলুন বা ইনসাফের কথা বলুন, যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে সেদিন সমগ্র পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করার কথা ছিল আওয়ামী লীগের এবং সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের।
আজ ৫৩ বছর পর বোধগম্য কারণেই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা একেবারে তলানীতে ঠেকেছে। এটা বুঝতে পেরে আওয়ামী সরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারে রাজি হতে ভয় পাচ্ছে এবং রাষ্ট্র শক্তির বলে একতরফা ও একদলীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করেছে। কিন্তু কঠোর বাস্তব এবং চরম সত্য হলো এই যে, সেদিন শেখ মুজিব তথা আওয়ামী লীগের হাতে সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা যদি হস্তান্তর করা হতো তাহলে হয়তো পাকিস্তান বা বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতেও পারতো।
॥দুই॥
দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো এই যে, সেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে ১৯৭১ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছে বলে মনে হয়। ১৯৭১ সালে অবিচার বা বেইনসাফি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। পরিণাম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা। ২০২২ থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারি পর্যন্ত অবিচার বা বেইনসাফি করা হচ্ছে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দল এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খানের সাথে। অনেকে ইমরান খানের বর্তমান জনপ্রিয়তা দেখে তাকে ১৯৭১ পূর্ব শেখ মুজিবের সাথে তুলনা করেন।
আওয়ামী লীগের সাথে বেইনসাফি করার জন্য পাকিস্তান দুই ভাগ হয়ে যায়। ইমরান খানের সাথে বেইনসাফি করার জন্য পাকিস্তান পুনরায় বিভক্ত হবে, এমন কথা আমরা বলছি না। তবে একটি প্রাথমিক নির্বাচনপূর্ব জরিপে দেখা যায় যে, ইমরান খান কারাবন্দি এবং তার দলের শীর্ষ নেতাসহ অন্তত ১৬ হাজার কর্মী কারাগারে থাকা অবস্থাতেও ইমরান ও তার দলের জনপ্রিয়তা ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ ২৪ কোটি জনগণের মধ্যে ১৭ কোটি জনগণ ইমরান ও তার দলের সমর্থক। ঐ জরিপে আরো বলা হয়েছে যে, যদি ইমরান খান এবং তার দল পিটিআই অবাধ রাজনৈতিক তৎপরতার সুযোগ পেত, অর্থাৎ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে যদি সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতো তাহলে ইমরান খান এবং তার দল ৮০ শতাংশ ভোট পেত। অর্থাৎ ২৪ কোটি জনগণের মধ্যে অন্তত ১৯ কোটি মানুষ তাকে সমর্থন করতো।
এখন পাকিস্তান বিভক্ত হোক বা না হোক, ২৪ কোটি লোকের মধ্যে ১৯ কোটি লোক রাজনীতি ও নির্বাচনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ সমর্থন করছে না। অন্য কথায়, সূক্ষ্মভাবে হোক বা প্রকাশ্যে হোক, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বর্তমান অবস্থান পাকিস্তানের জনগণের বিপক্ষে চলে গেছে। এটি পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য অশুভ সংকেত। বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্য আমাদের একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে।
॥তিন॥
১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির কম্পানিবাগ এলাকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। একটি জনসভায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে সরাসরি বুকে গুলি করে আকবর খান নামের এক ব্যক্তি। ধারণা করা হয় যে, আকবর খান খাইবার পাখতুনখোয়ার অপর পারে অবস্থিত একজন আফগান পশতুন। মৃত্যুশয্যায় লিয়াকত আলী খান বলেছিলেন, ‘খোদা পাকিস্তানকো হেফাজত কারো।’ অর্থাৎ আল্লাহ পাকিস্তানকে রক্ষা করুন। লিয়াকত আলী চাইলে কী হবে, সর্বশক্তিমান কোনো জাতিকে সাহায্য করেন না, যতক্ষণ না ঐ জাতি নিজেরাই নিজেদের সাহায্য করে।
এখানে একটি তথ্য দিয়ে রাখছি, যেটা অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না। সেটি হলো, প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্তির কথা ছিল ১৯৪৮ সালের আগস্ট মাসে। কিন্তু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর যক্ষ্মা ধরা পড়ে। তখনকার দিনে যক্ষ্মা ছিল দুরারোগ্য ব্যাধি। বলা হতো যে, যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পেয়েছিলেন যে, পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই যদি তার মৃত্যু হয় তাহলে পাকিস্তান কোনোদিন দিনের আলোর মুখ দেখবে না। ডাক্তাররা বলেছিলেন যে, মি. জিন্নাহ বড়জোর ২ বছর বাঁচতে পারেন। তাই মি. জিন্নাহ চান যে, মৃত্যুর আগেই যেন ভারত বিভক্ত হয় এবং পাকিস্তান কায়েম হয়। অতঃপর তিনি বড়লাট লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের সাথে আলোচনা করেন এবং ভারত বিভক্তি এক বছর এগিয়ে আনার অনুরোধ করেন। মাউন্ট ব্যাটেন সম্মত হন এবং ভারত বিভক্তির তারিখ নির্ধারিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট।
ইনিই সেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, যিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে তার প্রথম ভাষণে বলেন, আজ থেকে পাকিস্তানে হিন্দু আর হিন্দু থাকবে না, মুসলমান আর মুসলমান থাকবে না। আজ থেকে সকলের পরিচয় হবে পাকিস্তানি। অর্থাৎ হিন্দু-মুসলমান যার যার মতো নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাদের পরিচয় হবে পাকিস্তানি। এই, যেটি ছিল পাকিস্তানের ভিশন, সেই পাকিস্তানে আজ সামরিক বাহিনী প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আর জনগণ মনে হয় দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক।
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সারা পাকিস্তানভিত্তিক কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ভারত যেখানে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তাদের শাসনতন্ত্র রচনা ও কার্যকর করে সেখানে পাকিস্তানে শাসনতন্ত্র রচিত ও কার্যকর হয় ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ। ততদিন পর্যন্ত পাকিস্তান ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৯৫৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। এসব শাসকের মধ্যে রয়েছেন গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ, প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইসকান্দার মির্জা এবং সামরিক শাসক জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান। এরা ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন। ততদিন পাকিস্তানে গণতন্ত্র মোটেই বিকশিত হয়নি।
১৯৬৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান উভয় অঞ্চলে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রবল এবং ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ঘটে। এই গণঅভ্যুত্থানে পশ্চিম পাকিস্তানে নেতৃত্ব দেন জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং পূর্ব পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯ সালে এই গণঅভ্যুত্থানের পিঠে সওয়ার হয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সারা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৭০ সালে সামরিক আইনের অধীনে অর্থাৎ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অধীনে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র পাকিস্তানে এবং তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এটিই ছিল একমাত্র সাধারণ নির্বাচন, যা ছিল শতকরা ১০০ ভাগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এই নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭টি আসন এবং ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপলস পার্টি পায় ৮৮টি আসন। এভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সমগ্র পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে উত্থিত হন।
॥চার॥
পরের ঘটনা সকলেরই জানা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মিলিটারি ক্র্যাকডাউন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ঐ ধারে রয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তান, যেটি তারপর থেকে পাকিস্তান নামে পরিচিত।
স্থানাভাবে আজ এখানেই শেষ করছি। আগামী মঙ্গলবার লিখব দ্বিতীয় পর্ব। ওই পর্বে থাকবে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেনারেল জিয়াউল হকের বিমান রহস্যময়ভাবে বিধ্বস্ত হয় এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক, তখনকার আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আরনল্ড রাফেল ও মিলিটারি অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হারবার্ট এম ওয়াসম নিহত হন। ওই পর্বে স্থান সংকুলান হলে থাকবে পাকিস্তানের আণবিক বোমার নেপথ্য নায়ক, পাকিস্তানের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি। যদি স্থান সংকুলান হয় তাহলে থাকবে পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার নির্মাতা বৈজ্ঞানিক আব্দুল কাদির খানের কাহিনী। তাছাড়া আরো থাকবে ইমরান খানের উত্থান ও ভূমিধস জনপ্রিয়তা এবং পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের চক্রান্ত এই কলামের দ্বিতীয় পর্বে।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড
সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে