খতনাও কি বিদেশে করতে হবে?

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

দেশের ধনী লোকরা সব রোগেরই চিকিৎসা করায় বিদেশে। দেশের চিকিৎসাসেবা নিম্নমানের হওয়ায় তারা এটা করে। সাধারণ মানুষেরও অনেকেই ভিটেমাটি বিক্রি করে জটিল রোগের চিকিৎসা করায় বিদেশে। বিডার তথ্য অনুযায়ী, ‘প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে সাত লাখ বাংলাদেশি’। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পিএইচএ গ্লোবাল সামিট-২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলনে পিএইচএ’র আহ্বায়ক ও ট্রাস্টি ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো দেশের বাইরে চলে যায়’। তবে এই ব্যয় আরো বেশি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখন দেখছি অতি সাধারণ বিষয় তথা সুন্নাতে খতনা, সেটাও বিদেশে করাতে হবে। কারণ, দেশের ডাক্তার দ্বারা সেটি করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। অথচ এই অতি সহজ ও ক্ষুদ্র কাজটি এ দেশের গ্রামাঞ্চলের অশিক্ষিত ও দরিদ্র হাজামরা শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত করে আসছে অত্যন্ত সফলভাবে। উপরন্তু তা প্রাচীন পদ্ধতি তথা বাঁশের চিমটা ও খুর দিয়ে এবং কোনো প্রকার ওষুধপত্র ছাড়াই। কিন্তু তাতে এ পর্যন্ত কোনো শিশুর ব্যাপক রক্তক্ষরণে অকাল মৃত্যু হয়েছে, এমন নজির নেই। আফ্রিকা অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে নারীদের খতনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি যৌনব্যাধি প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে অমুসলিমদেরও অনেকের খতনা করা হচ্ছে। এসবেও কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অথচ দেশে বর্তমানে সেই কাজে আধুনিক ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের দ্বারা আধুনিক পদ্ধতিতে খতনা করতে গিয়ে শিশুর অকাল মৃত্যু হচ্ছে রক্তক্ষরণ/জ্ঞান ফিরে না আসায়। সম্প্রতি পরপর ২/৩টি এমন ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় অবস্থিত বেসরকারি ও অনুমোদনহীন পৃথক দুটি হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারগণও বিএমডিসি’র সদস্য নয় বলে জানা গেছে। ফুটফুটে সুন্দর ও মেধাবী আহনাফ তাহমিদ ও আয়ানের প্রাণচাঞ্চল ছবি কেউ ভুলতে পারছে না। বিষয়টি টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বলেন, ‘সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে শিশু মৃত্যু, বিভিন্ন স্থানে ভুল চিকিৎসা, অবহেলা ও গাফিলতির কারণে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে। লাগামহীন নৈরাজ্য নিষ্ঠুরতায় পরিণত হয়েছে দেশের চিকিৎসা খাত’। ডিবি প্রধান বলেন, ‘রাজধানীতে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে অল্প দিনের ব্যবধানে দুই শিশুর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে’। মাহবুব উল আলম হানিফ,এমপি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বলেন, ‘সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত’। তিনি মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদের ব্যক্তিদের নীতি-নৈতিকতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা’হোক, উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুইজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার, চিকিৎসাকেন্দ্র দুটি বন্ধ ও মামলা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাহিয়ান নামে একটি শিশুর খতনা করাতে গিয়ে তার গোপন অঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন বলে খবরে প্রকাশ।
খতনা করতে গিয়ে শিশুর অকাল মৃত্যু ও মরণাপন্ন অবস্থা ডাক্তারদের অদক্ষতা ও কাজের প্রতি চরম অবহেলার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। অপরদিকে, খবরে প্রকাশ, দেশের স্বাস্থ্য খাতের ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্টাফ, মেশিনপত্র ও ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। অ্যানেসথেটিস্টের (অবেদনবিদের) ঘাটতি সর্বাধিক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের বিপরীতে অন্তত পাঁচ থেকে দশজন অ্যানেসথেটিস্ট থাকা দরকার। সেখানে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের জন্য অ্যানেসথেটিস্ট আছে ৩৫০০ জন। সে হিসাবে প্রায় অর্ধ লাখ (৪৮,৫৭১ জন) মানুষের জন্য আছে মাত্র একজন। ‘বাংলাদেশ হেলথ ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি ২০২৩’ শীর্ষক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলপত্রের তথ্য অনুযায়ী, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের অভাবে কোনো কোনো সরকারি হাসপাতালে সার্জারি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে অবেদনবিদের মতো বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংকট আরো বেশি।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত হচ্ছে: আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানব শরীরে ছোট-বড় যে কোনও ধরনের অস্ত্রোপচার করার আগে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা। অ্যানেসথেসিয়া দিলে শরীর বা তার কোনও অংশ অবশ হয়ে যায়, ফলে অস্ত্রোপচারের সময় রোগী কোনও ব্যথা অনুভব করে না। এতে নির্বিঘ্নে অস্ত্রোপচার করে ফেলা যায়। অ্যানেসথেসিয়ার একাধিক ধরন রয়েছে। যেমন: শরীরের কোনও নির্দিষ্ট অংশে ছোট অস্ত্রোপচার করার সময় কেবল ওই অংশটিকেই অবশ করা হয়। এটি ‘লোকাল অ্যানেসথেসিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত। আর বড় অস্ত্রোপচার করার আগে অনেক সময় পুরো শরীর অবশ করে ফেলা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় চলে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আবার জেগে ওঠে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে ঠিক কী ধরনের অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া দরকার, সেটি নির্ধারণ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা না করে ভুল সময়ে ভুল অ্যানেসথেসিয়া দিলে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে। তাই অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। বিশেষ করে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, বক্ষ ব্যাধি বা হৃদযন্ত্রে ত্রুটি আছে, তাদের সে অবস্থায় অ্যানেসথেসিয়া দিলে বড় রকমের সমস্যা হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. দেবব্রত বণিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার জন্য প্রশিক্ষিত নিবন্ধিত চিকিৎসক প্রয়োজন। কারণ, এটার জন্য রোগীর শারীরিক অবস্থা, মাত্রাসহ আরো অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হয়’।
অ্যানেসথেটিস্ট ছাড়াই দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল, ক্লিনিক, সেন্টার, চেম্বারে ইত্যাদিতে অপারেশন হচ্ছে অহরহ এবং তাতে অ্যানেসথেসিয়াও করা হচ্ছে। ফলে নানা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা বেসরকারি ও অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকে বেশি। তবুও দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি! এসব দীর্ঘদিন যাবত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাতে অহরহ রোগীর নানা সংকট, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায়ই হাঙ্গামা, মামলা ইত্যাদি হচ্ছে। গত ২৫ জানুয়ারি’২৪ স্বাস্থ্য বিভাগের দাখিলকৃত প্রতিবেদন মতে, সারাদেশে ১,২৮৫টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছয়টি অবৈধ হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পূর্ণভাবে সফল হবে, নাকি হকার-পুলিশের ন্যায় খেলা হবে, তা বলা কঠিন। কারণ, ইতোপূর্বে ২০২০ ও ২০২২ সালে অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান ব্যর্থ হয়েছে প্রভাবশালীদের প্রভাবে। উপরন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে বলেছে, কোনো অবস্থাতেই নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দেয়া যাবে না। তাতে মোট ১০টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ আদেশও বাস্তবায়িত হবে কি-না তা বলা কঠিন। কারণ, স্বাস্থ্য খাতের বেশিরভাগ আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। যেমন: ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি না করা, প্রেসক্রিপশনে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা, লাইসেন্সহীন কোনো ফার্মেসি না চালানো ইত্যাদি।

খতনা করতে গিয়ে দুটি শিশুর অকালে মৃত্যু এবং অন্য একটি শিশুর মরণাপন্ন অবস্থার কারণে দেশবাসীর মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। তাই নানাজন নানা অভিমত ব্যক্ত করছে, যার প্রধানতম হচ্ছে, ডাক্তারের চেয়ে হাজামদের দ্বারাই খতনা করা ভালো। খতনা করতেও কি বিদেশে যেতে হবে? স্মরণীয় যে, চীন-ভারতসহ বহু দেশে ডাক্তার তাঁর রোগীকে কয়েকশ’ মাইল দূরত্বে রেখে ৫জির মাধ্যমে জটিল অপারেশন করছেন অত্যন্ত সফলভাবে। টেলি মেডিসিনও চলছে অত্যন্ত সফলভাবে। সেখানে আমাদের অধিকাংশ ডাক্তার রোগীর গায়ে হাত দিয়ে খতনা ও সিজারিয়ানের মতো সামান্য অপারেশনেই রোগীর অঙ্গহানি/প্রাণহানি ঘটাচ্ছেন!

যা’হোক, খতনা নিয়ে জনমনে সৃষ্ট আতংক দূর করতে হবে। সংশ্লিষ্ট তিনটি শিশুর খতনার সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে অতি দ্রুত। উপরন্তু অ্যানেসথেটিস্ট ছাড়া কোনো রোগীকে যেন অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া না হয় তা নিশ্চিত, অ্যানেসথেটিস্টদের ঘাটতি পূরণ, চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বোপরি মেডিক্যাল শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। কারণ, দক্ষতার সাথে শিক্ষার সম্পর্ক রয়েছে। দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার মান খুব ভালো নয়। তাই বাংলাদেশে মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করার পর ভারত ও নেপালের বেশিরভাগ ডাক্তার দেশে লাইসেন্স পায় না। একই কারণে এ দেশের অধিকাংশ ডাক্তার, নার্স, টেকনোলোজিস্টের সেবার মান খারাপ। তাই স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য মেডিক্যাল শিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত: মেডিক্যাল কলেজের সাথে হাসপাতাল থাকা বাধ্যতামূলক। হলেও সত্য যে, দেশের সরকারি বহু মেডিক্যাল কলেজের সাথে হাসপাতাল নেই। তাই সেখানকার শিক্ষার্থীদের অন্যত্র প্র্যাকটিকাল করতে হয় বলে খবরে প্রকাশ। সর্বোপরি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকের অনুমোদিত পদের ৪২% পদ শূন্য বলে সম্প্রতি খবরে প্রকাশ। এই যদি হয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অবস্থা, তাহলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অবস্থা কি তা সহজেই অনুমেয়। এই অবস্থায় ডাক্তাররা দক্ষ হবে কীভাবে? দ্বিতীয়ত: দেশের সব শিক্ষারও মানোন্নয়ন করা দরকার। কারণ, নিম্নস্তরের শিক্ষার মান খারাপ হলে উচ্চ স্তরে গিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের স্বাস্থ্যখাতের প্রশাসনিক ব্যবস্থাও চরম ভঙ্গুর, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যসেবায়। যেমন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আকস্মিকভাবে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সিএমএসডি যান এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম এবং নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবার পণ্য সেখানে অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ অনিয়ম, দুরবস্থা শুধু সিএমএসডিতেই নয়, দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সর্বত্রই কম-বেশি চলছে একই অবস্থা। সেই সাথে দুর্নীতিও। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই এসব হচ্ছে। তাই দেশের স্বাস্থ্যখাতে মেজর অপারেশন ছাড়া কোনো উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসায় গাফিলতির ঘটনা ঘটলে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন। আমি সেটাই করছি।কোন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে পারবে না। এক মাসের অভিযানে প্রায় ১,২২৭টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এ অভিযান এখনো চলছে। বৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিকেও প্রয়োজনীয় জনবল ও মেশিনপত্র থাকতে হবে। নতুবা চলতে পারবে না। হ্যাঁ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব কথা পূর্ণভাবে কার্যকর হলে স্বাস্থ্যখাতের অনেক উন্নতি হবে। অবশ্য, স্বাস্থ্যখাতের কাক্সিক্ষত উন্নতির জন্য সব শূন্য পদ পূরণ, প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র সরবরাহ ও সার্বক্ষণিক সচল রাখা, সরকারি ব্যয় কমপক্ষে ২-৩ গুণ বৃদ্ধি এবং সর্বত্রই জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নতুবা সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দৌলতখানে নেয়ামতপুর চরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত -৩০

দৌলতখানে নেয়ামতপুর চরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত -৩০

কুষ্টিয়ায় রহমতের বৃষ্টি

কুষ্টিয়ায় রহমতের বৃষ্টি

দেশে পুরুষ বেকার বেড়ে কমেছে নারী, যা বলছেন নেটিজেনরা

দেশে পুরুষ বেকার বেড়ে কমেছে নারী, যা বলছেন নেটিজেনরা

১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী

১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী

বিশ্বের নবম বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ ইরান

বিশ্বের নবম বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ ইরান

দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ

দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমান

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ বিদ্যালয়র সভাপতি মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধ দূর্নীতির অভিযাগ: ছয় সদস্যের পদত্যাগ

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

বজ্রপাতে মাদারীপুরে পৃথক স্থানে দুই জন নিহত

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহে অতিষ্ট চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যে অবশেষে মিললো স্বস্তির শিলা বৃষ্টি

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান

আমেরিকা ও ইউরোপের বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান

প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ করা প্রসঙ্গে।

প্রশ্ন : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ঋণ নিয়ে হজ্জ করা প্রসঙ্গে।

মধুখালি ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হাফেজ খুন,স্বজনরা উল্টো আতঙ্কে কেটে গেল ১৮ প্রহর

মধুখালি ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর হাফেজ খুন,স্বজনরা উল্টো আতঙ্কে কেটে গেল ১৮ প্রহর

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৪ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৪ জনের মৃত্যু

নিজ কক্ষে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ

নিজ কক্ষে মিললো আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ

শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মীরসরাই

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মীরসরাই

কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়ি আটকে ভাঙচুর , আটক ৪

কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়ি আটকে ভাঙচুর , আটক ৪

খুলনায় কাটলো তাপদাহ, নামলো বৃষ্টি

খুলনায় কাটলো তাপদাহ, নামলো বৃষ্টি

সিরিজ নিশ্চিতের অভিযানে শান্ত-হৃদয়রা

সিরিজ নিশ্চিতের অভিযানে শান্ত-হৃদয়রা