ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

জিয়ার আদর্শে ফিরে গেলে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে ফিরতে পারবে

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমানর

০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম

জিয়ার আদর্শে ফিরে গেলে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে ফিরতে পারবে
বিবার সকাল থেকেই ভাবছিলাম কোন বিষয় নিয়ে লিখবো। আমি তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। একটি হলো, সদ্য ঘটে যাওয়া একটি বিভৎস কিন্তু অত্যন্ত করুণ ঘটনা। ৪৬ জন মানুষ এক ঘণ্টার মধ্যে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। তাও কোনো রোগবালাই বা অসুখবিসুখে নয়। তারা মারা গেলেন মানুষের দ্রুত অর্থ কামাবার উদগ্র লালসার কারণে। তারা মারা গেলেন কর্তৃপক্ষের আইন প্রয়োগে সীমাহীন গাফিলতির কারণে। এই বিষয়টি নিয়ে যতই ভাবছি ততই একটি বিষয় আমার কানে অনবরত বাজছে যে, বাংলাদেশে এখন প্রতিটি পণ্যের মূল্য শুধু বেশি নয়, রীতিমত আকাশচুম্বী। কিন্তু এই রকেটের গতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্যেও একটি পদার্থের মূল্য দিনের পর দিন নেমে যাচ্ছে। বর্তমানে এই পদার্থটিই এখন সবচেয়ে সস্তা। এটি হলো বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জীবন। সম্মানিত পাঠক, বড় দুঃখে পড়ে, অনেক মানসিক যাতনা নিয়ে এমন একটি কথা বলতে হলো। অথচ, মানুষের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান হলো তার প্রাণ। সেই প্রাণটি যেখানে সেখানে যখন তখন অবহেলায় অথবা মানবসৃষ্ট দুর্যোগে পড়ে ঝরে যাচ্ছে। তাই যদি না হবে তাহলে একটি করে ঘটনা ঘটবে, বেশ কিছু লোক মারা যাবেন এবং সেটি নিয়ে দুই চারদিন আমরা আহাজারি করবো। পত্রপত্রিকা কঠোর ভাষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করবে। তারপর ধীরে ধীরে আমরা সবকিছু ভুলে যাবো। এর ৩/৪ বছর পর আবার ওই রকম আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে আর আমাদের বিবেক হঠাৎ করে নড়ে উঠবে। আগেই বলেছি, আবার এখনও বলছি, তাই যদি না হবে তাহলে নিমতলীর অগ্নিকা- থেকে অসহায় আদম সন্তানরা যেরূপ বেঘোরে প্রাণ দিয়েছেন, সেটি একটি নিয়মিত ইন্টারভেলে ঘটছে। নিমতলীর পর চুড়িহাট্টা থেকে শুরু করে রানা প্লাজা এবং সব শেষে বেইলি রোডে শিক্ষিত সচেতন মানুষদের লাশের মিছিল। 
এসব ঘটনা শুরু হয়েছে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকের মতে, ২০১০ সাল থেকে। এখন ২০২৪ সাল। মাঝখানে ১৩টি বছর পার হয়েছে। ওই দৈনিকটি এবং সাথে আরো কয়েকটি ইংরেজি ও বাংলা দৈনিক কোনো রাখঢাক না করে লিখেছে যে, এই ১৩ বছরে শতাধিক লোক অপঘাতে মরলো। অথচ আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও বিচার সম্পন্ন হয়নি। কয়েকটি ঘটনা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু একটিরও রায় বের হয়নি। আর বেশ কয়েকটির তদন্তও আজ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এগুলোকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে বিবেচনার কোনো অবকাশ নাই। এগুলো রীতিমত হত্যাকা-। আর এসব হত্যাকা-ের জন্য যাদের গাফিলতি বা দ্রুত ধনী হওয়ার উদগ্র বাসনা দায়ী, তাদের আজ পর্যন্ত একজনেরও কঠিন শাস্তি না হওয়ার ফলে তারা এসব দুষ্কর্ম করার লাই পেয়ে যাচ্ছে। রবিবার বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা এ সম্পর্কে অতীতের ঘটনাবলী নিয়ে লিখেছে। আমি আজ তাই সে সম্পর্কে আর বেশি কিছু লিখলাম না। 
আরেকটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করছিলাম। সেটি হলো, আমাদের বান্দরবান এবং কক্সবাজার সীমান্তের ওপারের গৃহযুদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় প্রতিদিন যেসব খবর পড়ছি, সেসব খবরের বাইরেও আরো কিছু খবর আছে। পশ্চিমা দুনিয়াতে তো বটেই, এমনকি পাশের দেশ ভারতের পত্র পত্রিকাতেও সেই সব বিরল এবং দুর্লভ খবর পাওয়া যায়। আজ সে সম্পর্কেও লিখবো না। তবে অতি শীঘ্রই লিখবো। আজ শুধু এটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই যে, বাংলাদেশের প্রধান উদ্বেগ হলো রাখাইন প্রদেশ, যেটা এক সময় আরাকান প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশের সাথে বার্মার আরেকটি প্রদেশের বর্ডার রয়েছে। সেটি হলো চিন প্রদেশ। কেউ আবার যেন চিন প্রদেশকে গণচীন বলে ভুল না করেন। একটি কথা এখন বলতে চাই যে, আমেরিকা বলুন, চীন বলুন আর ভারত বলুন, খুব শীঘ্রই সকলের মাথা ব্যাথার প্রধান কারণ হবে আরাকান। বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে যে মাতামাতি শুরু করেছে সেটি ইতোমধ্যেই অনেক কমে গেছে। খুব দ্রুত সেই দিন আসছে যখন বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষের এবং সেইসঙ্গে চীন, ভারত ও আমেরিকার ফোকাস বেশিরভাগ নিক্ষিপ্ত হবে আরাকানের ওপর।  আজ তাই আরাকান নিয়ে আর বেশিদূর অগ্রসর হলাম না। 
॥দুই॥আমি এই কলামে গত সপ্তাহেই লিখেছি যে মার্কিন নির্ভরতা নয়, বরং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপিকে নিজের পায়ের ওপর দাঁড়াতে হবে। এই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিক্ষিপ্তভাবে আমার কাছে কিছু খবর এসেছে। যেগুলো শুনে আমি কনভিন্সড যে, আমেরিকা বিএনপি তথা বিরোধী দলগুলোর সাথে এক ধরনের খেলা খেলছে। বিএনপি সেই খেলা কতদূর ধরতে পেরেছে, সেটা আমি জানি না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো বিকল্প নাই। তাই বিএনপির শত ভুল থাকলেও সেগুলো নিয়ে জাবর কাটলে চলবে না। বরং ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে এবং আগামীতে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
আগেই বলেছি যে, বিএনপির আন্দোলন যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সেকথা সর্বাংশে সত্য নয়। তবে বস্তুনিষ্ঠ এবং নির্মোহ বিশ্লেষণের স্বার্থে একথা ভুললে চলবে না যে, বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলন করা জোট এবং দলসমূহের দাবি ছিল হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সেই অন্তর্বর্তীকালীন বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এসব দাবির একটিও পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার থেকে গেছে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার হয়নি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই একাদশ সংসদ বহাল রেখেই তাদের স্টাইলে নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং এদিক বিচার করলে আন্দোলন সফলতা লাভ করতে পারেনি। ধীরস্থির কিন্তু রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি বা মহলের মধ্যে অনুক্ষণ এই প্রশ্ন উঠছে যে, এত বিপুল জনসর্থন প্রকট এবং দৃশ্যমান হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির কোনো দাবিই আদায় করা সম্ভব হলো না কেন? এখন সময় এসেছে বিএনপির ঐবধৎঃ ংবধৎপযরহম বা আত্মানুসন্ধানের সময়। তাদেরকে এবং সেই সাথে সকলকে ভাবতে হবে, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে বিএনপির বিরোধিতা কাজে আসলো না কেন? কেন বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিরতিহীনভাবে ক্ষমতায় আছে?
ধীমান পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত আন্দোলনের ফলাফলকে অতি সংক্ষেপে এভাবে বর্ণনা করা যায়। সেটি হলো, বিগত ১৬ বছর ধরে শুধু বিএনপি নয়, সমস্ত বিরোধী দল এই সরকারের অপশাসন, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, টাকা পাচার এবং স্বাধীন কণ্ঠসমূহকে স্তব্ধ করা সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দিয়ে এসেছে সেসব বক্তব্য জনগণ ১০০ ভাগ গ্রহণ করেছেন। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি সরকারের দমননীতি সম্পর্কে সঠিক বিশ্লেষণই দিয়ে গেছে। কিন্তু এত বছরে সরকারের যে চারিত্রিক রূপান্তর ঘটেছে সেটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। তারা মুখে বলেছে যে, এটি একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এসে প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ ও সার্বক্ষণিক মদদে আওয়ামী সরকার ধীরে ধীরে শুধু ফ্যাসিবাদী নয়, রীতিমত নাৎসিবাদী এবং একত্ববাদী (ঞড়ঃধষরঃধৎরধহরংস) সরকারে পরিণত হয়েছে। সেই বিষয়টি বিএনপি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। ভোটের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশেও বর্তমান সরকারকে গণতান্ত্রিক পথে অপসারণ করা কি অত সহজ হবে? 
॥তিন॥বিএনপি-জামায়াত বা অন্যান্য বিরোধী দল সংবিধানবহির্ভূত পন্থায় সরকার উৎখাতে বিশ^াস করে না। তারা সামরিক অভ্যুত্থান বা সন্ত্রাসী পন্থায় বিশ^াস করে না। তাদের সামনে একটি মাত্র পথই খোলা। আর সেটি হলো, সর্ব শ্রেণীর জনগণকে আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে শামিল করা। জনগণকে প্রত্যক্ষভাবে শামিল করতে হলে জনগণের মনের ব্যক্ত ও অব্যক্ত অভিযোগ ও আর্তনাদকে আন্দোলনে বাঙময় করতে হবে। মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়া সেটি করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আজকের বিএনপি জিয়ার বিএনপি নয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টোতে কোনোদিন উল্লেখ করা না হলেও অকস্মাৎ ১৯৭২ সালের সংবিধানে এই দুটি মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত হয়। ভারতে ১৯৫০ সালে তাদের সংবিধান গৃহীত হলেও ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৯৭৬ সালে, অর্থাৎ ২৬ বছর পর।
॥চার॥মরহুম জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের বহুদিন ধরে লালিত রাষ্ট্রীয় মূলনীতিকে দুঃসাহসিকভাবে উল্টে দিয়েছেন। ৭০ দশকের পট পরিবর্তনের পর যে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি এবং রাষ্ট্রীয় শ্লোগান পরিবর্তিত হয়েছিল, জিয়াউর রহমান সেই সব পরিবর্তন শুধুমাত্র অক্ষতই রাখেননি, বরং সেগুলিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরদার করেছেন। জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচার, ইসলামী মূল্যবোধ, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব জোরদার করা, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রশ্রয় না দেওয়া ইত্যাদি বাংলাদেশকে এক নতুন দিক দর্শন দিয়েছিল। এই নতুন দিকদর্শন ১৯৭২ সালে গৃহীত সংবিধানের কয়েকটি মূলনীতির বিপরীত এবং বাস্তবে দেখা গেল যে, এই নতুন দিক দর্শনই দেশের ৯২ শতাংশ মানুষের আশাআকাক্সক্ষার বাস্তব প্রতিফলন। তাই হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো জনগণ কাতারবন্দি হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিতে।
জিয়ার বিএনপির আরেকটি উদার নীতি ছিল, বিভাজন নয়, একটি সংহত শক্তিশালী দেশ গঠনের জন্য চাই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। তাই যেসব রাজনৈতিক দলকে ’৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেগুলির সবগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে জিয়ার বিএনপির শাসন। পররাষ্ট্র নীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। রুশ-ভারতের মৈত্রী ছাড়াও আমেরিকা-ইউরোপ এবং মুসলিম জাহানে জিয়ার বিএনপি ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়ায়।
॥পাঁচ॥আগেই বলেছি, আজকের বিএনপি জিয়ার বিএনপি নয়। জিয়ার বিএনপি আমলে শ্লোগান ছিল, ‘সিকিম নয়, ভূটান নয়/এদেশ আমার বাংলাদেশ’। তার আমলে অন্যান্য ইসলামী দল তো বটেই, খোদ বিএনপির অভ্যন্তরেও ‘নারায়ে তাকবীর/আল্লাহুআকবার’ ধ্বনি উত্থিত হতো। আজকের বিএনপি নেতারা প্রগতিবাদী চেহারা দেওয়ার জন্য সব রকম ইসলামী অর্থাৎ ধর্মীয় সংশ্রব পরিত্যাগ করায় ব্যস্ত। তারা এই ভ্রান্ত ধারণায় বিশ^াস করেন যে, ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব অপরিহার্য। 
বর্তমান বিএনপি ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ছেড়ে ভারত যে আর কাউকে ফেভার করবে না, সেটি বিএনপিকে ভালো করে বুঝতে হবে। এটি বোঝার জন্য ১৯৬১-৬২ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগেরই বয়ানে ভারতের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক স্থাপনের ইতিহাস ভালো করে পড়তে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগের ভূমিকা, ভারতের ভূমিকা ইত্যাদি সম্পর্কে বিএনপিকে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং সেটা করতে পারলেই বিএনপি সঠিক পথে ফিরে আসবে। আর সঠিক পথে ফিরে এলেই আন্দোলন সম্পর্কেও সঠিক কৌশল গ্রহণ করতে পারবে। 
Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ