মির্জা ফখরুলের কথিত এই অদৃশ্য শক্তি কে? বিএনপির রাজনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
১৪ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বিএনপির রাজনীতি কি কোনো নতুন বাঁক নিচ্ছে? নির্বাচনের কিছুদিন পর থেকেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির কথায় এবং কাজে এই ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই রিজভিকে অনুসরণ করতে থাকেন সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক। রুহুল কবির রিজভি ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। নয়াপল্টনে এক সমাবেশে তিনি নিজের গায়ের আলোয়ান ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং তার কর্মীরা সেটি পুড়িয়ে দেয়। তার আলোয়ানটি ছিল ভারতীয়। এরপর জয়নুল আবেদিন ফারুকও শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, রীতিমত ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এই সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। ঐ বৈঠকের সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন প্রসঙ্গে বিএনপির তরফ থেকে বলা হয় যে, জনাব রিজভি যেটা করেছেন সেটি বিএনপির অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত মোতাবেক করা হয়নি। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে দেখা যায় যে, বিএনপির মফস্বল লেভেলেও অনেকে রিজভির সুরে কথা বলছেন। এই পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির তরফ থেকে বলা হয় যে, পণ্য বর্জনের ব্যাপারে বিএনপির অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর ফলে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়।
মানুষ সাধারণত মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তার অবস্থানের কারণে। গত ১১ মে তিনি প্রথম মোটামুটি বড় একটি দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে একটি বক্তব্য হলো এই যে, বিএনপি কি তার নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন সূচিত করেছে? এই প্রশ্নটি উদয় হওয়ার প্রধান কারণ হলো এবার তিনি এমন একটি বক্তব্য দিয়েছেন যেটি বিগত কয়েক বছরের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ নয়, বরং একটি অদৃশ্য শক্তি দেশ পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা দেশ চালাচ্ছে? আসলে কি তারা দেশ চালাচ্ছে? তারা দেশ চালায় না, এক অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে এবং যাদের নির্দেশে তারা আজকে বাংলাদেশে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে।
॥দুই॥
সৌদি আরব থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনের পর বিএনপি মহাসচিব একটি দলীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ওরা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে গিলে খেয়ে ফেলেছে। প্রতিবার নির্বাচনে তারা একেকটা নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে। এবার করা হয়েছে ডামি নির্বাচন। এই একটা অবস্থার মধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিয়ে গেছে, একটা ক্যারিক্যাচার, একটা তামাশা, একটা কৌতুক করার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তিনি বলেন, হিটলার-নমরুদ-ফেরাউন কেউ টিকে থাকতে পারে নাই মানুষের ওপর নির্যাতন করে, টিকে থাকতে পারে নাই এরশাদ ও আইয়ুব খানও, পারছে কি? পারে নাই। এটা ভুলে যাবেন না।
যদি এগুলো শুধুমাত্র বিএনপির কথা হতো তাহলে হয়তো এত সবিস্তারে আমরা এগুলো বর্ণনা করতাম না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বিগত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার চর মাস পরেও যখন রাজনৈতিক কার্যকলাপে, বিশেষ করে বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপে সম্পূর্ণ স্থবিরতা এসেছে তখন কয়েকজন অরাজনৈতিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও প্রায় একই ধরনের কথা বলছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, আওয়ামী ঘরানার প্রবীণ অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, আওয়ামী ঘরানার আরেক অর্থনীতিবিদ, আমলা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন আহমেদ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন সাধারণত সরাসরি কোনো রাজনৈতিক কথা বলেন না। বলতে গেলে তিনি নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেন। কিন্তু সেই তিনিও বলেছেন যে, দেশে রাজনীতি বলতে কিছু নাই। আছে শাসক দল। তারা বলে, হয় তুমি আমাদের সাথে আসো, নাহলে তুমি আমাদের শত্রু। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে তার ভাষায় কোনো মাল্টি পার্টি সিস্টেম বা বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা নাই। তিনি বলেন, এভাবে কোনো দেশের ডেমোক্র্যাটিক প্রসেস চলে না। পত্রপত্রিকাসমূহ সেলফ সেন্সরশিপে আছে। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২২ শতাংশ। তিনি বলেন, ভারত থেকে যে এসেছিলেন শ্রী রাধা দত্ত, যিনি বিজেপিপন্থী, তিনিও বলেছেন যে ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারের একটি বক্তব্যে চরম বিস্ময় প্রকাশ করেন। ঐ পুলিশ অফিসার বলেছেন যে, বিগত ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্র নাকি রক্ষা পেয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত অতি রঞ্জিত কিছু বলেননি। আমরা যদি আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, সরকারি উচ্চ পদস্থ আমলারা অহরহ রাজনৈতিক কথা বলে যাচ্ছেন। আয়ারল্যান্ডে একজন অত্যন্ত উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা আয়ারল্যান্ডের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন এবং তিনি সরকারের পক্ষে কথা বলেন। এ কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এটিই হলো সঠিক প্রশাসন এবং সঠিক বিচার। সরকারি বা পুলিশ আমলারা সরকারের পক্ষেও বলতে পারবেন না, বিপক্ষেও বলতে পারবেন না। সরকার অফিসিয়ালি যেসব সিদ্ধান্ত নেবেন সেগুলো তারা বাস্তবায়ন করবেন মাত্র।
॥তিন॥
আর যেসব বিদগ্ধ ব্যক্তির নাম ওপরে উল্লেখ করেছি তাদের সকলের কথা হয়তো স্থানাভাবে এখানে দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে এদের মধ্যে অন্তত তিন জন খ্যাতনামা ব্যক্তি বলেছেন যে, এভাবে রাষ্ট্র চলতে পারে না। সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে (State apparatus) কব্জা করা হয়েছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক সময় প্রো-আওয়ামী লীগার ছিলেন। তার মতো ব্যক্তিও বলেছেন যে, এখন ঋণ খেলাপিরা ক্ষমতাবান। রাষ্ট্রের বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের ঠিকাদাররা প্রভাবশালী। সবচেয়ে মারাত্মক যে কথা দেবপ্রিয় বলেছেন, সেটি হলো, সার্বিকভাবে বিগত সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সার্বভৌমত্ব চলে গেছে। আগে রাজনীতিবিদরাই এলিট ছিলেন। এখন যুক্ত হয়েছেন নতুন সব গোষ্ঠি। তার ভাষায়, এই গোষ্ঠির ‘কেউ উর্দি পরা, আবার কেউ উর্দি ছাড়া’।
ব্যাংক ব্যবস্থা, বলা যায় ভেঙ্গে পড়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেন এতগুলো ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হলো? মহিউদ্দিন খান আলমগীরের এমন কি ক্রিডেন্সিয়াল ছিল যে, তাকে ফার্মার্স ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হলো? তিনি ব্যাংকটির লাল বাতি জ¦ালিয়েছেন। তারপরেও তাকে আবার চাঙ্গা করার জন্য ফার্মার্স ব্যাংকের নাম বদলে পদ্মা ব্যাংক করা হয়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই রকম একটি ব্যাংক নয়, অনেকগুলো খারাপ ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সাথে একীভূত করার উদ্যোগ চলছে। সেই উদ্যোগও হোঁচট খেয়েছে।
এত কথা জমে গেছে যেগুলো বলতে গেলে মহাকাব্য রচনা করতে হবে। কীভাবে ইসলামী ব্যাংকের মতো দেশের সবচেয়ে মর্যাদাশীল ও বৃহত্তম ব্যাংক রীতিমত দখল করা হলো সেটি এখন আর গোপন নাই। যে ব্যক্তি এই ব্যাংক দখল করার ক্ষমতা রাখে সেই একই ব্যক্তি আরো ৫টি ব্যাংক দখল করেছেন। তিনি বিদেশে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে একটি ইংরেজি পত্রিকায় দলিল দস্তাবেজ ও প্রমাণপত্রসহ ১৮ কলাম (দুই পৃষ্ঠা) নিউজ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্ট এই টাকা পাচারের তদন্ত করার রায় দিলে সেই তদন্ত স্থগিত করা হয়। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, ঐ টাকাওয়ালা ব্যক্তি দোষী কি নির্দোষ, সেটি প্রমাণ নয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করার মতো মাল মসলা আছে কিনা সেটি তদন্তও করা যাবে না, এটা কেমন কথা?
॥চার॥
ফিরে আসছি বিএনপির রাজনীতিতে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, অদৃশ্য শক্তি দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু তিনি সেই অদৃশ্য শক্তির নাম প্রকাশ করেননি। শুধুমাত্র শিক্ষত মানুষই নয়, সাধারণ মানুষও বুঝতে পেরেছেন যে মির্জা ফখরুল কোন্ দিকে ইশারা করছেন। গণতন্ত্র মঞ্চের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে, ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। তারপরেও আমরা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারিনি। তার অর্থ এই নয় যে, ঐ ৯৫ শতাংশ মানুষ ঘুরে গেছে এবং সরকারকে সমর্থন করছে। তাদের এক শতাংশও ঘুরে যায়নি। তারা হয়তো হতাশায় ভুগছেন।
মির্জা ফখরুল যেদিকেই ইশারা করেছেন তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত নয়। কারণ, তারা পদে পদে আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে। সর্বশেষ আঘাত এসেছে প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পে। এই প্রকল্পটি চীনের করার কথা। আওয়ামী লীগ সরকারের অনুরোধেই তারা এই প্রকল্পটির কাজে হাত দেয়। প্রয়োজনীয় সার্ভে হয়েছে, প্রোজেক্ট প্রোফাইল হয়েছে, এস্টিমেটেড কস্ট ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন আবার চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী অকস্মাৎ দৃশ্যপটে এসেছে। চীন করলে তাদের ভয় কী? ভয় হলো এই যে, যেখানে তিস্তা প্রোজেক্ট শেষ হবে সেই এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে মাত্র ২৭ মাইল দূরে। বাড়ির কাছে চীনের উপস্থিতি ঘাড়ের ওপর নিঃশ^াস ফেলার সমান। এখন কি বাংলাদেশ এই প্রোজেক্ট থেকে সরে আসবে? আসলে কি উত্তরবঙ্গ মরুভূমিতে পরিণত হবে না? একটি দেশ যেন নাখোশ না হয় সেজন্য আমাদের দেশের মরুকরণকেও মেনে নিতে হবে, সেটি কেমন কথা?
বিএনপিকে ফিরে যেতে হবে জেনারেল জিয়ার রাজনীতিতে। বিএনপিকে ফিরে যেতে হবে বেগম জিয়ার রাজনীতিতে। সেই রাজনীতি, যে রাজনীতিতে বেগম জিয়া স্বয়ং শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘সিকিম নয় ভুটান নয়/এদেশ আমার বাংলাদেশ’। যেদেশ সম্পর্কে পল্টন ময়দান থেকে ১৯৭২ সালে মেজর জলিল এবং আ স ম আব্দুর রব যখন বজ্রকণ্ঠে শ্লোগান ধরেছিলেন, ‘ভারত প্রেমের পরিণাম’, তখন সেদিন পল্টন ময়দানের লক্ষ মানুষ বজ্রের ধ্বনি কেড়ে নিয়ে ঐ দুই নেতার শ্লোগানের জবাব দিয়েছিলেন, ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে সেনসিটিভ বিষয় হলো ভারতীয় প্রভূত্ব। এ ব্যাপারে বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ এবং অন্যান্য বিরোধী দলকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে এবং সেই ভাষাকে মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে দিতে হবে।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গর্ভে থাকা সন্তান মারা গেলে মা-বাবা প্রতিদান প্রসঙ্গে?
হাজীগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে কিশোরসহ ৪ জনের অবস্থা গুরুত্বর : আহত ৫০
উত্তরপ্রদেশে নেকড়ের পর এবার রাজস্থানে চিতাবাঘের হামলা, দুদিনে নিহত ৩
কলকাতায় ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের
দুই রাজ্যে সংঘাত, ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকল পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা
ডায়নার সঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল দেহ, এবার ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই ডোডির বাবা
ভারতে 'এক দেশ এক ভোট’ আয়োজন কতটা সম্ভব হবে?
বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৯
কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা
এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন
৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত